তবে বুধবার (১ নভেম্বর) ভোরে পিরোজপুর-ঢাকা মহাসড়ক এবং পিরোজপুর-বরিশাল মহাসড়কে পৃথক ভাবে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে বিএনপির কর্মীরা। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের উপস্থিতির খবরে অবরোধ পন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে বাস চলাচল করেছে। পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা-বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। অবরোধ পন্ড হওয়ার পর সারাদিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা মেলেনি।
এদিকে, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নির্দেশে অবরোধের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে নাশকতা ঠেকাতে পিরোজপুরের পুরানো বাসস্ট্যান্ড, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ছাত্রলীগ শহরের বাইপাস সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবির হোসেন বলেন, অবরোধকে কেন্দ্র করে নাশকতার প্রস্তুতিকালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। যানবাহন চলাচলের জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করছি।
জেলার নাজিরপুর ও ইন্দুরকানীতেও অবরোধের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।