আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এবারও বুক চিতিয়ে উপকূলকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবন যেন উপকূল এলাকায় প্রকৃতির দেয়াল। আর এই দেওয়ালের কারণে উপকূল এলাকায় বন্যার পানি, দমকা বাতাস ঢুকতে পারে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ছোবল থেকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় সুন্দরবন যে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে, এমনটাই বলছেন সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব ও পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহি।

অপরদিকে নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী ও মনে করেন সুন্দরবনের কারণেই বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে সাতক্ষীরা উপকূল। এই সুন্দরবন না থাকলে সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বড় ধরনের তাণ্ডব হতে পারতো বলে তিনি মনে করেন করেন।

আশেক-ই এলাহি বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলের জন্য সুন্দরবন যেন একটি দেয়াল। সুন্দরবনের জন্যই প্রতিবছর বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় সাতক্ষীরা উপকূল। তবে এই সুন্দরবন রক্ষার জন্য কারোর কোন মাথাব্যথা নেই। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

রোববার (২৬ মে) রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর এটি সুন্দরবনের খুলনা, বাগেরহাট ও মংলাসহ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়।

তবে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সাতক্ষীরা উপকূলে সেভাবে পড়েনি। বনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যেখানে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছিল, সেটা বন পার হয়ে লোকালয়ে যেতে যেতে শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাস লোকালয়ে পৌঁছানোর আগে সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক কমে যায়। এ কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তেমন থাকে না বলে বলছেন পরিবেশবিদরা।

উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার, কিন্তু সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সেটির প্রভাব ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের মত অনুভূত হয় বলে বলছেন পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ইলাহী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মূলত সুন্দরবনের উপর দিয়ে দুই ধরনের ধাক্কা যায়। প্রথমত তীব্রগতির বাতাস এরপর জলোচ্ছ্বাস। উপকূলীয় এলাকা থেকে বড় বড় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে এর আগেও ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সুন্দরবন। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। যদিও সেই দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বনাঞ্চল।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ধারণা করছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্য প্রাণীদের ওপর বড় ধরনের কোনোন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। কেননা সুন্দরবনে যে সময়টায় জোয়ার হয়, সে সময়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেনি। যার কারণে এবার পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে খুব একটা বেশি ছিল না। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, এবারে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি তেমন একটা হয়নি।

তিনি বলেন, তবে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বন কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুন্দরবনে জরিপ চালিয়ে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

বনে যত্রতত্র গাছ কাটা ঠেকাতে ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বনের নিরাপত্তা বাড়ানো, সেইসঙ্গে বনায়নের জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানোর সুপারিশ করেছেন উপকূলবাসী।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি বলেন, সোমবার সকাল থেকে আশঙ্কা মুক্ত উপকূলীয় এলাকা। নতুন করে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবন নেই বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১১ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। সড়কের কালিহাতী উপজেলার চরবাবলা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। এ দিকে যানজট নিরসনে ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে ঢাকার দিকে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে একমুখী চলাচল করছে।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।

যাত্রী ও চালকরা জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করলেও। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়কে শৃঙ্খলা না মেনে পাল্লাপাল্লি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুটোই বেড়েছে। ফলে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কেন বাদ পড়লেন আহমাদিনেজাদ?

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সেই তালিকায় নেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছিলেন আহমাদিনেজাদ। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি এই প্রেসিডেন্টকে মনোনয়ন দেয়নি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থিতার আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে দুবারই অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।

গত ২ জুন প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধনের কথা জানান আহমাদিনেজাদ। তবে বিশ্লেষকরা সে সময় মত দিয়েছিলেন, গার্ডিয়ান কাউন্সিল খুব সম্ভবত তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কারণ হিসেবে তারা দেখান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস সেনাদলের সাবেক সদস্য আহমাদিনেজাদ প্রথম ২০০৫ আলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মেয়াদ পূর্তির পর পদ ছেড়ে দেন।

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সে সময় আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের নেতৃত্বে সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়।

সে সময়য় এই রক্তাক্ত দমনপীড়ন অভিযানে অসংখ্য মানুষ নিহত হন ও হাজারো বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে এসে খামেনির সমালোচনায় মুখর হন আহমাদিনেজাদ।

২০১৬ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে সতর্ক করে বলেন, তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের স্বার্থপরিপন্থি। এরপর ২০১৭ সালে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৮ সালে আহমাদিনেজাদ খামেনির সরাসরি সমালোচনা করেন, যা ইরানে খুবই বিরল। তিনি তাকে চিঠি পাঠিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। ইরানের সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খামেনির একছত্র আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহমাদিনেজাদ। এরপর থেকেই খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।

ইরানের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলেন, পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি। এ ছাড়াও রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুধু একজন সংস্কারপন্থি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তিনি হলেন, ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।


আরও খবর



ঈদে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদ মানেই গরু, খাসির মাংসের নানা পদ খাওয়া। অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেই উৎসবের এ দিনগুলিতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ সময় সুস্থ থাকতে খাদ্য গ্রহণে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি।

ভেবেচিন্তে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন :দিনের খাদ্যতালিকতায় প্রোটিন, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যাতে থাকে তা নিশ্চিত করুন। শুধুমাত্র মাংস না খেয়ে শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় সেজন্য বাড়তি কিছু খাবার রাখুন।

চর্বিহীন মাংস বেছে নিন: গরু- খাসির মাংস খান তবে চর্বিছাড়া। মাংসে লেগে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলুন। অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে ভাজার পরিবর্তে গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং করে মাংস খেতে পারেন। চর্বিহীন মাংস কেবল প্রয়োজনীয় প্রোটিনই সরবরাহ করে না বরং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শাকসবজি যুক্ত করুন: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। উৎসবের দিনগুলোতে মাংসের নানা পদের পাশাপাশি সবজির পদ, সালাদ রাখুন। এতে খাবারে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

ছোট প্লেটে খান: বেশি খাওয়ার লোভ এড়াতে খাওয়ার জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার করুন।

পানি ও পানীয় : সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। পানি, ভেষজ চা, ফলের রস রাখুন খাদ্যতালিকায়।

চিনিযুক্ত খাবার এবং ডেজার্ট সীমিত করুন: মিষ্টান্ন ঈদ উদযাপনের একটি প্রধান উপাদান। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। খেজুর বা মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি দিয়ে তৈরি ডেজার্ট খেতে পারেন। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দই রাখতে পারেন।

মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: ধীরে ধীরে ও মনোযোগ সহকারে খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখুন : ঈদ উৎসবের মধ্যে শরীরচর্চা করতে ভুলে যাবেন না। খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করুন। অন্য কাজকর্মে সক্রিয় থাকুন। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে ভূমিকা রাখে।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



বিষখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরগুনার বামনা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় পানি ঢুকে সাধারণ জনগণের ব্যপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বামনা উপজেলার চলাভাঙ্গা, রামনা ও চেচান এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সংরক্ষিত ১৪ আসনের মহিলা সদস্য মোসাঃ ফারজানা সুমি, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আঃ ছালাম পিপিএম।

মন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা থেকে স্প্রিডবোট যোগে বরগুনা জেলার বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।


আরও খবর