আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

ঈদে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদ মানেই গরু, খাসির মাংসের নানা পদ খাওয়া। অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেই উৎসবের এ দিনগুলিতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ সময় সুস্থ থাকতে খাদ্য গ্রহণে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি।

ভেবেচিন্তে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন :দিনের খাদ্যতালিকতায় প্রোটিন, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যাতে থাকে তা নিশ্চিত করুন। শুধুমাত্র মাংস না খেয়ে শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় সেজন্য বাড়তি কিছু খাবার রাখুন।

চর্বিহীন মাংস বেছে নিন: গরু- খাসির মাংস খান তবে চর্বিছাড়া। মাংসে লেগে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলুন। অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে ভাজার পরিবর্তে গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং করে মাংস খেতে পারেন। চর্বিহীন মাংস কেবল প্রয়োজনীয় প্রোটিনই সরবরাহ করে না বরং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শাকসবজি যুক্ত করুন: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। উৎসবের দিনগুলোতে মাংসের নানা পদের পাশাপাশি সবজির পদ, সালাদ রাখুন। এতে খাবারে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

ছোট প্লেটে খান: বেশি খাওয়ার লোভ এড়াতে খাওয়ার জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার করুন।

পানি ও পানীয় : সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। পানি, ভেষজ চা, ফলের রস রাখুন খাদ্যতালিকায়।

চিনিযুক্ত খাবার এবং ডেজার্ট সীমিত করুন: মিষ্টান্ন ঈদ উদযাপনের একটি প্রধান উপাদান। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। খেজুর বা মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি দিয়ে তৈরি ডেজার্ট খেতে পারেন। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দই রাখতে পারেন।

মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: ধীরে ধীরে ও মনোযোগ সহকারে খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখুন : ঈদ উৎসবের মধ্যে শরীরচর্চা করতে ভুলে যাবেন না। খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করুন। অন্য কাজকর্মে সক্রিয় থাকুন। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে ভূমিকা রাখে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারীরা।  এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মন্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মো. জাবেদসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার কাফকো সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ ও বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান।

আহত বাকিরা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজউদ্দীন, অজিদ কুমার নাথা, সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল আলম টিপু, কাকন আইচ, জামশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ এরশাদ, পথচারী মোহাম্মদ মনির। এদের মধ্যে অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কাফকো সেন্টারে আনন্দ মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়। একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর উপজেলার সাবেক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা। বিকেলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমরা বিকেল তিনটায় অবস্থান নিয়েছি। তারা বিকেল ৪টার দিকে এসে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মসূচি ঘোষণার পর তারা একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করে।

আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ বলেন, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় মো. জাবেদ নামে এক পুলিশ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



সারা দেশের রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ তালিকা দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব, কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে।

এর আগে সোমবার (১০ জুন) সারা দেশে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে পুরো কক্সবাজারে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চান হাইকোর্ট। কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনামে পুতিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনাম গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুদিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হ্যানয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় বিমানবন্দরে পুতিনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভ্যর্থনা জানান ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ত্রান হং হা এবং কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিকরা।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ভিয়েতনাম সফরে গেলেন পুতিন। সফরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট তু লাম, প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও আলোচনা করবেন বাণিজ্য, আঞ্চলিক রাজনীতি ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর এটি পুতিনের তৃতীয় বিদেশ সফর। এর আগে, বুধবার বহুল আলোচিত উত্তর কোরিয়া সফরে যান পুতিন। গার্ড অব অনারসহ জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে। দুপক্ষের কৌশলগত নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি হয় বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



এবারও বুক চিতিয়ে উপকূলকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবন যেন উপকূল এলাকায় প্রকৃতির দেয়াল। আর এই দেওয়ালের কারণে উপকূল এলাকায় বন্যার পানি, দমকা বাতাস ঢুকতে পারে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ছোবল থেকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় সুন্দরবন যে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে, এমনটাই বলছেন সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব ও পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহি।

অপরদিকে নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী ও মনে করেন সুন্দরবনের কারণেই বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে সাতক্ষীরা উপকূল। এই সুন্দরবন না থাকলে সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বড় ধরনের তাণ্ডব হতে পারতো বলে তিনি মনে করেন করেন।

আশেক-ই এলাহি বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলের জন্য সুন্দরবন যেন একটি দেয়াল। সুন্দরবনের জন্যই প্রতিবছর বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় সাতক্ষীরা উপকূল। তবে এই সুন্দরবন রক্ষার জন্য কারোর কোন মাথাব্যথা নেই। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

রোববার (২৬ মে) রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর এটি সুন্দরবনের খুলনা, বাগেরহাট ও মংলাসহ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়।

তবে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সাতক্ষীরা উপকূলে সেভাবে পড়েনি। বনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যেখানে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছিল, সেটা বন পার হয়ে লোকালয়ে যেতে যেতে শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাস লোকালয়ে পৌঁছানোর আগে সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক কমে যায়। এ কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তেমন থাকে না বলে বলছেন পরিবেশবিদরা।

উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার, কিন্তু সুন্দরবনের গাছপালার কারণে সেটির প্রভাব ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের মত অনুভূত হয় বলে বলছেন পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ইলাহী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মূলত সুন্দরবনের উপর দিয়ে দুই ধরনের ধাক্কা যায়। প্রথমত তীব্রগতির বাতাস এরপর জলোচ্ছ্বাস। উপকূলীয় এলাকা থেকে বড় বড় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে এর আগেও ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সুন্দরবন। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। যদিও সেই দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বনাঞ্চল।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ধারণা করছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্য প্রাণীদের ওপর বড় ধরনের কোনোন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। কেননা সুন্দরবনে যে সময়টায় জোয়ার হয়, সে সময়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেনি। যার কারণে এবার পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে খুব একটা বেশি ছিল না। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, এবারে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি তেমন একটা হয়নি।

তিনি বলেন, তবে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বন কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুন্দরবনে জরিপ চালিয়ে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

বনে যত্রতত্র গাছ কাটা ঠেকাতে ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বনের নিরাপত্তা বাড়ানো, সেইসঙ্গে বনায়নের জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানোর সুপারিশ করেছেন উপকূলবাসী।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি বলেন, সোমবার সকাল থেকে আশঙ্কা মুক্ত উপকূলীয় এলাকা। নতুন করে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবন নেই বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বাজেট: ৩ কোটি ৮০ লাখ কিডনি রোগীর খরচ কমবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে কিডনি রোগে ভোগা মানুষের আনুমানিক সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। এ রোগীদের বেশির ভাগকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। প্রস্তাবিত বাজেটে এ দুটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ দুটি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। এ পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।


আরও খবর