আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের দিন যেসব এলাকায় হতে পারে অতিভারী বৃষ্টি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিন। আগামীকাল আষাঢ় মাসের এক তারিখ। সে অনুযায়ী দেশে এখন বর্ষা মৌসুম। আর তিনদিন পর, ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আসছে আবহাওয়া অফিস। সে অনুযায়ী, ঈদের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, এখন মনসুন মৌসুম, সে অনুযায়ী সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে যাচ্ছে ঈদের দিন সেভাবে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা সামান্য পরিমাণে হতে পারে।

অন্যদিকে, রাজশাহী খুলনা ও বরিশালে খুবই সামান্য বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসলে এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিক সেভাবেই থাকবে। খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। তবে কাল আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে।

ঈদের দিন তাপমাত্রা নিয়ে বলেন, যে অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম সে জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকবে। সে অনুযায়ী খুলনা, বরিশাল, রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঈদের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম।

এদিকে শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে।


আরও খবর
নয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24




পশ্চিমবঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই ‘তাপপ্রবাহের’ সতর্কতা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকার তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি নিঃসন্দেহে উষ্ণ আবহাওয়া হলেও গত এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের তুলনায় যেন কিছুই না। ওই সময় দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়মিত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। খোদ রাজধানীতেও ৩৭-৩৮ ডিগ্রি ছিল রোজকার তাপমাত্রা।

সেই অভাবনীয় তাপ সহ্য করা মানুষদের সামনে যদি বলা হয়, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে ভয়ানক গরম, তাহলে হাসি তো আসতেই পারে! কারণ এ দেশে অনেকের এয়ারকন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রাই থাকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, যুক্তরাজ্যে তার থেকে মাত্র এক ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রাকে বলা হচ্ছে ভয়ংকর তাপপ্রবাহ!

গত সপ্তাহে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের শিরোনাম ছিল, ইউকে ওয়েদার: ফোরটি এইট আওয়ার টোয়েন্টি সিক্স ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটওয়েভ টু হিট অ্যান্ড ফাইভ ইংলিশ সিটিস উইল বি দ্য হটেস্ট। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহ আঘাত হানবে এবং ইংল্যান্ডের পাঁচটি শহর থাকবে সবচেয়ে উষ্ণ।

খবরে বলা হয়, জুন মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে একটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকেই, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষজন। সেখানে উঠে এসেছে মজার মজার সব মন্তব্য।

একজন লিখেছেন, ভারতে এটি (২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এসির তাপমাত্রা। আরেকজন বলেছেন, আমার এসির তাপমাত্রা এখন যুক্তরাজ্যের তাপপ্রবাহের স্তরে রয়েছে। তৃতীয় এক ব্যক্তি লিখেছেন, কারও তাপপ্রবাহ, কারও ঘরের তাপমাত্রা।

দুই অঞ্চলের আবহাওয়ার এমন পার্থক্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যের শীতপ্রধান আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, সেখানে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরামদায়ক উষ্ণতা অনুভূত হবে, কিন্তু ভারতে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হতে পারে। একইভাবে, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ভারতে যেমন আনন্দদায়ক, তা যুক্তরাজ্যে একেবারেই অসহনীয়।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে আসামীরা তার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে সামছুল ও তার বাবা সেই জমিতে আলুর বীজ বপণ করছিলেন। সেই সময় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সামছুল ও তার বাবাকে মারপিট করে আহত করেন।

এসময় সামছুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জয়পুরহাট সদর, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে সেখানে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



জব্দের আগেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করেছেন বেনজীর!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জব্দের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার। দুদকের তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ মে তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তবে এসব অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ টাকা ছিল, তা জানা যায়নি।

তিনি দেশে আছেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিবার নিয়ে বেনজীর দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।

বেনজীরের সম্পদের বিষয়ে যেসব সরকারি সংস্থা খোঁজ রাখছে, তাদের মধ্যে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, গত সপ্তাহে তার অ্যাকাউন্টগুলো ফাঁকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, যখনই কেউ বুঝতে পারেন তাকে ধরার চেষ্টা চলছে, তখনই তিনি টাকা সরিয়ে ফেলেন।

অবশ্য টাকা তুললেও নগদে রেখেছেন, নাকি অন্য কারও অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন তা বের করা সম্ভব।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুরো বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলেন, ডকুমেন্টের ভিত্তিতে কাজ করে ব্যাংক। ফলে সুনির্দিষ্ট আদেশের কপি ছাড়া মৌখিক কোনো তথ্য কিংবা গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে কারও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বা স্থানান্তর না করতে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা, আদালত কারো অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দিলে পরে স্থগিতাদেশ দিতে পারেন।

তিনি বলেন, সাধারণভাবে এ ধরনের ব্যক্তির বিভিন্ন পর্যায়ে নিজস্ব লোক থাকে। ফলে গোপনে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। আবার পত্রিকায় লেখালেখি এবং দুদকের কার্যক্রমের ফলে এমনিতেই তিনি টাকা সরিয়ে ফেলতে পারেন। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নগদে তুলে বিশ্বস্ত কারো কাছে রাখা হয়।

এখন দেখার বিষয় বেনজীর ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন প্রোফাইলের নিয়ম মেনে টাকা উত্তোলন হয়েছে কি না। আবার টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তরের পর ব্যাংকগুলো নিয়ম মেনে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (এসটিআর) এবং নগদ লেনদেন রিপোর্ট (সিটিআর) করেছে কি না।

এদিকে বেনজীর আহমেদের দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সিটিজেন টিভির মালিকানার তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালে এ টিভির অনুমোদনের সময় তারা দুজনই ছিলেন শিক্ষার্থী।

দেশের সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিদেশে থাকা সম্পদ অনুসন্ধানেও নেমেছে দুদক। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে তাদের কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সেসবের খোঁজও নেওয়া হচ্ছে। দুদকের তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হাফিজুল ইসলামের সই করা চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে বিএফআইইউ। সংস্থাটি এগমন্ট গ্রুপ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে। ২০১৩ সালে এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায় বিএফআইইউ।

জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, শুধু দেশের সম্পদই নয়, আমরা বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি।

তিনি আরও বলেন, যদি সম্পদ অবৈধ হয় তাহলে আদালত রাষ্ট্রের অনুকূলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন। এ জন্য অনুসন্ধান পর্যায়ে তার (বেনজীর) সম্পদ ফ্রিজ (জব্দ) করা হয়েছে। কারণ ফ্রিজ না করলে এসব সম্পদ হস্তান্তর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।এরই মধ্যে আদালতের আদেশে বেনজীর পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশানে বিশালাকৃতির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা জমি জব্দ এবং অসংখ্য ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করেছে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বেনজীর, তার বেশির ভাগই তিনি কেনেন আইজিপি পদে আধিষ্ঠিত হওয়ার পর।

তিনি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, চাকরিজীবনের শেষ দুই বছরে অর্থাৎ আইজিপি থাকাকালেই পরিবারের সদস্যদের নামে ৪৬৬ বিঘা জমি কেনেন বেনজীর। ১৯টি প্রতিষ্ঠানে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তার পরিবার হয়ে যায় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী পরিবার। আইজিপি পদটি যেন তার কাছে হয়ে উঠে আলাদীনের চেরাগ


আরও খবর



পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। ঘরমুখী যাত্রীর ভিড়ে আজ (১৪ জুন) শুক্রবার ভোর থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাওয়ার পদ্মা সেতু টোল প্লাজা থেকে শুরু করে শ্রীনগর উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তায় ছোট বড় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে পদ্মা সেতু মাওয়া টোল ঘর থেকে শ্রীনগর উপজেলার ফেরিঘাট পর্যন্ত ছোট বড় যানবাহনের দীর্ঘ সারি লেগে আছে।

পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সাতটি টোল বুথে যানবাহনের টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছেন সেতু নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে রাজধানী থেকে যানবাহনের তীব্র চাপে দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষজনের অভিযোগ, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহনের টোল আদায় কার্যক্রম ধীর গতিতে চলায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গাড়িচালক ও যাত্রীদের। তাদের দাবি দ্রুত টোল আদায় ও বুথ সংখ্যা বাড়ালে যাত্রী ভোগান্তি কমবে।

এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভারটেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন হাইওয়ে পুলিশ।

তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।


আরও খবর