আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সু চির জন্মদিন পালন করায় গ্রেপ্তার ২২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির জন্মদিন পালন করার 'অপরাধে' জান্তা পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই নারী নেত্রীর জন্মদিন ছিল বুধবার।

জান্তাপন্থি হিসেবে পরিচিত একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে ঐ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি নিজের চুলে ফুল পরে থাকেন। তার ভক্তরা চুলে তার আদলেই ফুল পরে বুধবার তার জন্মদিন উদযাপন করেন। এই নেত্রীকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি করে রেখেছে দেশটির জান্তা সরকার।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

বুধবার ছিল সু চির ৭৯তম জন্মবার্ষিকী। শারীরিক নানা জটিলতায় তিনি এখন অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠন থেকে জান্তা সরকারের কাছে সু চিকে ছেড়ে দেওয়ায় আহ্বান জানানো হলেও তারা সে আহ্বানে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। সু চিকে তার পরিবার বা অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

অভ্যুত্থানের পর সু চিকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা করা হয় এবং ঐ সব মামলার কয়েকটিতে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সামরিক আদালতে হওয়া ঐ বিচারকে প্রহসন বলেছে নানা মানবাধিকার সংগঠন। তাদের অভিযোগ, সু চিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এটা করা হচ্ছে।


আরও খবর



পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে পিয়া জান্নাতুলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে এবার চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন। এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে পিয়া জান্নাতুল লেখেন, এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় যিনি ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি আর আম্মা প্রতিদিনই আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম। এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলকভাবে এবং জোরপূর্বক সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দির জন্য জোরপূর্বক আব্বার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

পিয়া আরও লেখেন, আমি আব্বাকে সম্মতি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম, কারণ তিনি এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে পৌঁছার আগেই তিনি (সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে পরদিন আদালতে জমা দেন। এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। অথচ তাঁর জানা ছিল না, আমি চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পিয়া আরও লেখেন, যেদিন তিনি এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেপ্তার করেছিলেন, আব্বা তখন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন আব্বার বয়স ছিল ৭৭ বছরের বেশি!

সাকলায়েন সম্পর্কে পিয়া বলেন, আমার দেখা মতে, এই জনাব সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, প্রতিভাবান এবং ধূর্ত। কিন্তু একটা ভুল তাঁর সবকিছু তছনছ করে দিল! যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাদের ক্ষমা করে দিই, কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান সব সময় রয়েছেন সঠিক বিচার করার জন্য।

পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সময় তিনি গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনা সামনে আসার পরে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। এরপরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, পরীমণিকাণ্ডে বিভাগীয় মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গোলাম সাকলায়েনকে গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান পরামর্শের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে। তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৩ জুন বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনলে মামলা হয়। মামলার পরদিনই আসামি হিসেবে ক্লাব নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও কয়েকজন সহযোগী।

মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তখনই ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। এরপর দুজনের মধ্যে শুরু হয় যোগাযোগ। নিয়মিত পরীমণির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন গোলাম সাকলায়েন শিথিল। মাঝে-মধ্যেই গাড়ি নিয়ে বের হতেন দুজনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, সবশেষ পরীমণি ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের রাজারবাগের মধুমতি ভবনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাতে গ্রেফতারের পর পরীমণি অকপটে স্বীকার করেন সবকিছু।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১১ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। সড়কের কালিহাতী উপজেলার চরবাবলা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। এ দিকে যানজট নিরসনে ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে ঢাকার দিকে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে একমুখী চলাচল করছে।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।

যাত্রী ও চালকরা জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করলেও। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়কে শৃঙ্খলা না মেনে পাল্লাপাল্লি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুটোই বেড়েছে। ফলে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, এলাকাবাসী আতঙ্কে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে তহিরন নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের কাচা রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তহিরন নেছা আগজেঠাইল কাঁচা রাজাপুর গ্রামের মৃত মজিবুরের স্ত্রী ।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নাতনীর বিয়ে উপলক্ষে সকালে আদা-রসুন ব্লেন্ডার করছিলেন তহিরন নেছা। হঠাৎ পাশের ঝোপ থেকে এসে একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, সাপটি রাসেল ভাইপার কিনা তা আমরা সঠিক জানতে পারিনি। তবে পাশের সাটুরিয়ার এলাকায় ও ধামরাইয়ের জালসা এলাকায় রাসেল ভাইপারে দেখা পাওয়ার খরব পাওয়া গেছে। সাপের কামড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা জানান, রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক সারা দেশেই প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরাও তার বাইরে নই। তাই তা দ্রুত প্রতিহত করতে সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের রোগীদের এন্টিভেনম রাখার অতি প্রয়োজন।


আরও খবর



জনগণের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্লাটিনাম জুবিলি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

Image

পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশির ভাগ সময়ই কেটে গেছে লড়াই আর সংগ্রামে। হত্যা, ষড়যন্ত্রসবই দেখেছে দলটি। এরই মধ্যে ৭৪ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয়া দলটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ৭৫ বছরে পা দিল টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা দলটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ’—ইতিহাসে এ তিন নাম একই সূত্রে গাঁথা।

পাকিস্তানের সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দলটি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপসহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সমগ্র জাতির জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এর পর থেকে তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একুশ বছর লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে। মাঝে এক মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের আইভী রহমান সহ অনেক নেতাকর্মী নিহত হন ও আহত হন। ২০০১ ও ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আরেক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় দলটি। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার স¤প্রসারণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, মহিলা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকগুলোর ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহু দূর।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় বৈশিক মহামারী কভিড-১৯-এর করালগ্রাস থেকে দেশের আপামর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশাল অবদান রেখেছে। উদ্বোধন হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল। এছাড়া চলমান রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলো।

১৯৮১ সালের ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ বছরের অধিক সময় প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে কেউ এত বছর সরকারপ্রধান হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে পারেননি। এর বাইরে ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আজ তার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগের মোট ২৪ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন দেশ-বিদেশে আলোচিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২ হাজার ৭৮২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল ৯৯ মার্কিন ডলার।

বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন হয়েছে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গি দমনে সাফল্য সারা বিশ্বে আলোচিত। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, গৃহহীনদের গৃহ প্রদান ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকুক আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবিলি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই সাধারণ মানুশের প্রত্যাশা।


আরও খবর