![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/97cd90e7d9a682cfec009d1374aaac61.jpeg)
এবারের ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সারা দেশে ২৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩০১ জন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। গত ১১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সংগঠিত দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদ পূর্ববর্তী ১১ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ৬ দিনে সারা দেশে ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহত ও ১২৩ জন আহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২১ জন আহত হয়। আর ঈদ পরবর্তী ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৭ দিনে সারা দেশে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত ও ১৭৪জন আহত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৭৩৯টি মামলায় ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে আগে যেমন প্রধান সড়কে রিকশা চলত না, এখনো তেমন চলবে না।
সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর তুলনায় আহতের সংখ্যা কেন কম হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আসলে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। এসব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা কম থাকে। ছোট যানবাহনের যাত্রীরা ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই মারা যান। একটা সিএনজি বা ইজিবাইকের দুর্ঘটনা হলে ৫-৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত থাকে না বললেই চলে।