আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কেরু থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব, গোডাউন সিলগালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারি বিভাগের ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্পিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল) গায়েবের ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিনা আক্তার গোডাউনটি সিলগালা করেন।

এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এর আগে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫০০ বা ১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭০০ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮০০ বা ৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭০০ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি গভীরতার স্পিরিট কম। রেকর্ড অনুযায়ী ও সরেজমিনে মালামালের পরিমাণ গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

দর্শনা ডিস্টিলারি বিভাগের পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না মর্মে গত ২ মে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকে লিখিতভাবে জানান। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হয় ও ডি‌নেচার স্পিরিট গোডাউন সিলগালা করা হয়। বর্তমানে গোডাউনটি সিলগালা অবস্থায় আছে।


আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন বিরাট কোহলি। গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ, সুপার এইটের ৩ ম্যাচ ও সেমিফাইনাল খেলেও ফিফটির দেখা পাননি তিনি। তবে ফাইনালে হাসল কিং কোহলির ব্যাট। ধীরগতির হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরে ফাইনাল ম্যাচে খেললেন ৭৬ রানের ইনিংস। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের বড় পুঁজি পেল ভারত। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে আগের ম্যাচগুলোতে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও ফাইনালে ব্যর্থ রোহিত। রান পাননি তিনে নামা ঋশাভ পান্ত ও চারে নামা সূর্যকুমার যাদবও। ৩৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অফফর্মে থাকা কোহলি। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে গড়েন ৭২ রানের জুটি।

এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন অক্ষর। তবে ভারতের সেমিফাইনালের নায়ক আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। নন-স্ট্রাইকে থেকে রান নিতে গিয়েও ফিরতে পারেননি। উইকেটের পেছন থেকে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত এক থ্রোতে বিদায় নেন অক্ষর। ততক্ষণে ৩১ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন তিনি।

অক্ষরের বিদায়ের পর শিভাম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন কোহলি। নিজের ফিফটি তুলতে ব্যয় করেন ৪৮ বল। ফিফটির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবারের বিশ্বকাপে পজিশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরার আগে করেন ৭৬ রান। ৫৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২ ছক্কায়।

ছয়ে নামা শিভাম ১৬ বলে ২৭ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। আরেক পাশে হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে, খেলেছেন ২ বল। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রানে থামে মেন ইন ব্লুরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন নিজের প্রথম ওভারেই রোহিত ও পান্তকে ফেরান স্পিনার কেশাভ মহারাজ। ৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তিনিই। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে রান খরচায় ১ উইকেট নেন এনরিখ নোর্কিয়া। একটি করে উইকেট নেন মার্কো জেনসেন ও কাগিসো রাবাদা।


আরও খবর



মহেশপুরে ফসলি জমি থেকে ইউপি সদস্যের বালু উত্তোলন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির চুন্নিরআইট গ্রামে ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। সেখানে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন নিজে উপস্থিত থেকে এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে বালু তোলার কাজ করছে। সে বালু জমানো হচ্ছে পাঁকা রাস্তার পাশে একটি জায়গায়। এক পাশে রয়েছে বাড়ি ও আরেক পাশে রয়েছে মেহগুনি বাগান। বালু উত্তলনের ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, বিচার দেবো কোথায়, কার কাছেই বা দেবো যেখানে আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার নাসির উদ্দিন নিজেই বালু তুলে আমাদের ক্ষতির মুখে ফেলছে। তাহলে অন্য জায়গায় বিচার দিয়ে কি বিচার পাবো? তারা আরও বলেন তারপরও আমরা চেয়ারম্যান ও এ্যাসিল্যান্ডকে জানিয়ে ছিলাম। তারা একদিন এসে পাইপ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কিন্তু আবারো একই ভাবে চলছে বালু উত্তোলন। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমিতে পুকুর খননের নামে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, কিছু না কিছু তো করে খেতে হবে, সে কারণে বালু তুলছি। শুধু মেম্বার গিরি করে তোর আর পেট চলবে না? তিনি আরও বলেন কম বেশি সবাইকে ম্যনেজ করেই বালু তোলার কাজ করছি।

ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ্য ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন বন্ধে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য নাসির উদ্ধিনের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসায়মিন মনিরা বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ্য ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, নিয়মিত মামলা হবে।


আরও খবর



বাঁশখালীতে শাশুড়ির মামলায় ২৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত জামাই গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

বাঁশখালীতে শ্বাশুড়ির মামলায় ২৯ বছর ধরে পলাতক ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত জামাতা কামরুল ইসলাম (৫২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কামরুলের ভাই মো. সেলিম (৪৮) কেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়ার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাট থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কামরুল ইসলাম ও মো. সেলিম বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের চাঁপাছড়ি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে কিশোরী শওকত আরা বেগম রুমিকে অপহরণ করে কামরুল ইসলাম ও তার ভাই সেলিম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী রুমির মা বুলবুল আক্তার বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৯ সালে আদালত ওই মামলায় দুই আসামিকে ১০ বছর সাজা দেন। একই সাথে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাই।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, গ্রেপ্তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি করে মোট দুইটি জিআর সাজা পরোয়ানা আছে। দুই মামলায় উভয়ের ১০ বছর করে সাজা পরোয়ানা রয়েছে। একই সাথে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাস করে সাজা আছে। কামরুলের বর্তমানে ছেলে-মেয়ে এবং নাতি পর্যন্ত হয়ে গেছে।


আরও খবর



প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই খালেদা জিয়া এখনো সুস্থ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা প্রয়োজন তিনি যে হাসপাতালে আছেন, সেই হাসপাতাল থেকে সেটি পাচ্ছেন বলেই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। তার যেসব অসুখ আছে তারমধ্যে কিছু সারার মতো না, সেগুলোকে ট্রিটমেন্ট করে কমিয়ে রাখতে হবে। রোববার (২৩ জুন) বিকেল ৪টায় বিএনপি নেত্রীর হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছে। সেই পেসমেকারে তিনি এখন যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে আমি খবর পেয়েছি।

খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন দেশের চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে তার কিছু চিকিৎসা করতে হবে, তখন সরকার কিন্তু এর অনুমতি দিতে কার্পণ্য করেনি। সে সময়ও আমি সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছি। আমার জন্য খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন না, যারা এই কথা বলছেন তারা নিজেকেই হাস্যরসে পরিণত করছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ভারসাম্য ঠিক নেই বলেই তারা (বিএনপি) এসব বলছে। সংবাদ সম্মেলন করে যদি তারা আমার প্রতি রাগ, উষ্মা প্রকাশ করতে চান সেটা তাদের ব্যাপার। বাংলাদেশে সবকিছুর স্বাধীনতা আছে। তারা সেটা করতে পারে, কিন্তু আমি আশা করবো তারা সত্য কথা বলবে এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে না।


আরও খবর