আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঈদুল আযহার আমেজ নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামারপল্লীতে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। বিদেশী দা, ছুরির হাঁকডাকে দেশীয় তৈরী পণ্যের চাহিদা কমায় ভাল নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামার শিল্পের সাথে জাড়িতরা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এক সময় টুং টাং শব্দে কামারপল্লী মুখরিত থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন।

এ শিল্পের সাথে জড়িতরা জানিয়েছেন, চাহিদা না থাকায় কমেছে তাদের ব্যস্ততা। তবে যেটুকু উৎপাদন করা হচ্ছে তারও বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। দা, ছুরি, খান্ডসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরীর উপকরণের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে বিদেশী পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে টিকে থাকতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এক সময় বৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামারপল্লীতে দিন-রাত দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ততা থাকত। তবে এবার অনেকটাই অলস সময় কাটছে কামারদের। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানের কামারপল্লী যেন হারিয়েছে তাদের চিরচেনা রুপ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা কোরবানির সামগ্রী ক্রয়ের জন্য এখানে আসত। সারা বছরের ক্ষতি এ সময়ে কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিত তারা। তবে এবার শুধুমাত্র দা, বটি, খান্ডা সান দেওয়া ছাড়া নতুন সামগ্রী তৈরীর চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।

কর্মকাররা জানান, কোরবানির সামগ্রী তৈরীর কাঁচা মালসহ লোহা কয়লা ও রেতের দাম বেড়েছে।  প্রতি কেজিতে লোহার দাম ৪০ টাকা বেড়ে ১শ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতি টিন কয়লা ৪০/৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০/২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে উৎপদন খরচ বাড়লেও কমেছে লাভের পরিমান। তেমন চাহিদা না থাকায় বানানো পন্য তারা সীমিত লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এখানে ১শ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় হাজার টাকার বিভিন্ন কোরবাণির সামগ্রী রয়েছে।

কামারপল্লীর কারিগর দুলাল কর্মকার জানান, আগে এই কর্মের অনেক কদর ছিল। ঈদ এলে আমাদের কাজের অনেক ব্যস্ততা বেড়ে যেত। আমরা আনন্দের সাথে দিনরাত কোরবানির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতাম। এখন আর কামার পল্লিতে তেমন কাজ নেই। বাপ-দাদার কর্ম হিসাবে এই পেশাকে এখনো আকরে রেখেছি। এখন আর এই কর্ম দিয়ে জীবন চলে না। অনেক কষ্টে জীবন জাপন করছি।

আরেক প্রবীণ কারিগর গৌরপদ কর্মকার জানান, কোরবানির সামগ্রীর কাজকর্ম এখন আর আগের মত নেই। আগের নেওয়া অর্ডারের টুক টাক কাজ এখনো করছি। নতুন কোন অর্ডার পাইনি। বর্তমানের লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমান অনেকাংশে কমে গেছে। এই শিল্পটির দুর্দিন থাকায় আমাদের বংশের নতুন প্রজন্মও এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার যদি আমাদের কামারদের প্রতি নজর রাখে তাহলে আমরা এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে পারব।

উল্লেখ্য, জেলায় প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার কামার পরিবার এখনো তাদের পৈত্রিক পেশা আকড়ে ধরে আছে।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



রাশিয়ায় সেতু থেকে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেতু থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত সতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৯০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যায় ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ব্যাপক বন্যার কারণে কয়েকশ শহর পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান সড়কগুলো এখন অবরুদ্ধ।

প্রদেশের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।


আরও খবর



ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বড় ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় জিডি করেন তিনি। তারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধেও জিডি করেছেন আবদুল কাদের মির্জা।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বাদল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তারা দুজনই কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।

কাদের মির্জা বলেন, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল ও শাহাদাত হোসেনের অনুসারীরা গত কয়েক দিন ধরে একটি নম্বর থেকে আমিসহ আমার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী দাগনভূইঞা, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নানা তৎপরতা চালিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

জিডিতে ছোট ভাই শাহাদাতের বিষয়ে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, যে নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। জিডির বিষয়টি পাল্টা অভিযোগ তোলার পাঁয়তারা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, মেয়র কাদের মির্জার আবেদনটি সাধারণ ডায়েরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর