আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ইসি নিয়ে কথা বলেন বলেও দাবি করেন সিইসি।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভোটার তালিকায় পিতা-মাতা পরিচয়হীনদের তালিকাভুক্তির সমস্যা ও করণীয়-বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে গতকাল ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। এছাড়া তিনি নিজেদের দায় স্বীকারমূলক মন্তব্যও করেন।

বিষয়টি নিয়ে সিইসির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি তো এ রকম সব সময় বলেন। একেক সময় একেক শব্দচয়ন করেন, মিডিয়ায় প্রচার করার জন্য। এই কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা। অপ্রচারমূলক কথা। নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়া কথা। ভোটযুদ্ধ আছে, ভোট নেই, তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোত্থেকে আসে? টেলিভিশনে দেখিয়েছেন সারিবদ্ধভাবে নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কী ভোটার নন? সুতরাং উনার কথার কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, উনি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলেন। হয়তো উনার কোনো এজেন্ডা আছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য, নির্বাচন কমিশনকে হেয় করার জন্য এই কথা বারবার বলেন। এই কথাটা মিথ্যাচার, অপ্রাসঙ্গিক, অপবাদ। উনি মিথ্যা কথা বলেন।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা ও মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। সহিংস ঘটনাগুলো ঘটেছে কেন্দ্রের বাইরে। আমরা তাদের বারবার বলি সহনশীল হতে।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য মর্মাহত। এগুলো অপ্রত্যাশিত। আমরা এগুলো চাই না। প্রার্থীদের আমরা বারবার অনুরোধ করি, নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়, রক্তপাত নয়।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে সহিংসতা হচ্ছে। পুলিশও অনেক সময় ভিকটিম হচ্ছে, আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। প্রচুর ধৈর্য সহকারে তারা দায়িত্বপালন করেন।’

নিউজ ট্যাগ: কে এম নূরুল হুদা

আরও খবর



ভারতে শিশুর দেহে বার্ড ফ্লু শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক শিশুর দেহে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ডব্লিউএইচও জানায়, শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটির ধরন এইচ৯এন২। আক্রান্ত শিশুটির বয়স চার বছর। সে ভারতের দ্বিতীয়জন হিসেবে ভাইরাসটির এ ধরনে আক্রান্ত হলো। এর আগে ২০১৯ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে ভাইরাসটির এ ধরন শনাক্ত হয়েছিল।

ভাইরাসটিতে আক্রান্ত শিশুটির হাল জানাতে গিয়ে ডব্লিউএইচও বলে, শিশুটি তীব্র শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও পাকস্থলির সমস্যায় ভোগে। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির অবস্থা এতই নাজুক হয়ে পড়ে যে তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে প্রায় তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র পায়। এ ঘটনাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসের বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

খবর পেয়ে শিশুটির ব্যাপারে খোঁজ নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা কেস স্টাডি শুরু করে। জানা যায়, আক্রান্ত শিশুটির বাড়ির আশপাশে হাঁস-মুরগি আছে। এসবের সংস্পর্শে ছিল শিশুটি। তার পরিবারের লোকজনও এসব প্রাণির সংস্পর্শে আসে। তবে অন্য কারও দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব মেলেনি।

এ মাসের শুরুতে ডব্লিউএইচও মেক্সিকোতে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর জানায়। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এইচ৫এন২ ধরন সংক্রমিত হয়েছিল। বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে ধরনটি শনাক্ত হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান।

৬ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল ৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান। তার জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাবের লক্ষণ ছিল। তার অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে পড়ে। এতে তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তি আগে থেকে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মেক্সিকোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। তারা বলছে, ওই ব্যক্তি কিডনি রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

আরেকটি তথ্য সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। ওই ব্যক্তির সরাসরি খামার বা অন্য প্রাণির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস নেই। এতে ভাইরাসের উৎস খোঁজা আরও জটিল হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার বাড়ির আশপাশের খামার নজরদারিতে রেখেছে। ওই এলাকার গবাদিপশু-পাখি এবং মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি আছে কি না তা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।

এর আগেও মেক্সিকোর খামারগুলোতে এইচ৫এন২ ধরনের সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে কোনো মানুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটিই ছিল প্রথম।


আরও খবর



তানজিম সাকিবের পর তাসকিন, দিশেহারা দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তানজিম সাকিবের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সঙ্গে জ্বলে উঠলেন তাসকিন আহমেদও। তার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। টানা তৃতীয় ওভার বল করতে এসে আবারও উইকেট নিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ট্রিস্টান স্টাবস ক্যাচ দিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে।

দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেট নেন তানজিম সাকিব এবং ১ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।

এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান। ডেভিড মিলার ২ রানে এবং হেনরিকস ক্লাসেন শূন্য রানে উইকেটে রয়েছেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিম সাকিবের প্রথম বল দেখে খেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন তিনি। পরের বলে বাউন্ডারি। এরপর সিঙ্গেল।

স্ট্রাইকে গেলেন অপর ওপেনার রিজা হেন্ডরিকস। মারমুখি ব্যাটার হিসেবে পরিচিত তিনি। কিন্তু তানজিম সাকিবকে খেলতে সমস্য হলো তার। ওভরের শেষ বলে হলেন পরাস্ত। এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন প্রোটিয়া ওপেনার রিজা হেন্ডরিকস।

প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু উপহার দিলেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ১১ রান হজম করলেও ১টি উইকেটের পতন তো ঘটাতে পেরেছেন তিনি।

নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে যেন আরও বেশি বিধ্বংসী তানজিম সাকিব। এবার ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করে দেন তিনি কুইন্টন ডি কককে। ১১ বলে ১৮ রান করে আউট হন ডি কক। মাঝের ওভারে অবশ্য তাসকিন আহমেদকেও ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। এর আগে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম।


আরও খবর



খুলে দেওয়া হচ্ছে বেনজীরের রিসোর্ট: আয় যাবে সরকারি কোষাগারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগামীকাল থেকে ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড চালু থাকলেও বন্ধ থাকবে কটেজ। ফলে অবকাশযাপন করতে পারবেন না কোনো দর্শনার্থী।

এদিকে পুলিশ, আনসার ও সাভানা ইকো রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা রিসোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে আনসার ভিডিপি ও রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করবে জেলা প্রশাসন।

পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব এবং গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। আর এ পার্ক থেকে সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জমা হবে। পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য আবেদন জানানো হবে। আশা করি সকাল থেকেই  পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও সাভানার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্বে আছেন।

ক্রোক আদেশের পর পার্কটি চালু থাকলেও গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

অন্যদিকে ১২ জুন রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন ১৩ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।

এছাড়া গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় হাতেহাতে জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গোপনে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৮

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি। এ বছর হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০৯টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন ও জেদ্দায় দুইজন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪১ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।


আরও খবর



হজে গিয়ে ৫১ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে মক্কায় ৪০ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩৮ এবং মহিলা ১৩ জন। হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৬৩ হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ৩০টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। সৌদিতে তীব্র দাবদাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৩৪ জন‌ হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন।


আরও খবর