আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

একাদশ জাতীয় সংসদের সফল মন্ত্রী যারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশ দেরি নেই। যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে তপশিল। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনকালীন সরকারে শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তারা পরবর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য দিন গুনতে থাকবেন। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার যেসব সদস্যের আমলনামা ভালো, তাদের কেউ কেউ হয়তো পরবর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। তাই গত প্রায় পাঁচ বছরে কোন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেমন চালিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য রয়েছে সরকারপ্রধানের কাছেও।

সরকারে উচ্চপর্যায়ের এক সূত্রমতে, ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও অন্তত এক ডজন মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে সুনাম কুড়িয়েছেন। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েও সুবিচার করতে না পারায় অনেকে হয়েছেন সমালোচিত। সফল ও ব্যর্থ এসব মন্ত্রীদের আমলনামা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনা মহামারির মতো অভিঘাত সত্ত্বেও বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষ ও সরকারের উচ্চমহলের সুনজর কেড়েছেন।

প্রায় ১৫ বছর সরকারপ্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একটানা দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে যখনই নতুন সরকার গঠন করেছেন, তখন তিনি তার সহযাত্রীদের পরিবর্তন করেছেন। তবে সরকার গঠনের পর বিশেষ বড় ধরনের কারণ ছাড়া মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে বাদ দেননি। যদিও মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিত, কাজের ধীর গতি ও এডিপি বাস্তবায়নে আশানুরূপ ফল অর্জন করতে না পারা মন্ত্রীর সংখ্যা কম নয়।

জানা গেছে, সব্যসাচীর ন্যায় দল ও মন্ত্রণালয় চালিয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা আন্দোলন করবে জানা সত্ত্বেও তা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের মতো দেশের প্রাচীন সংগঠনের তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। আন্দোলন মোকাবিলায় সারা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কোণঠাসা করার মূল কারিগরও তিনি। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই সম্পন্ন হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প, যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী এক দিনে একশ সড়ক এবং দেড়শ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। মহামারির সময় যখন সবাই ভীতসন্ত্রস্ততখনো মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে গেছেন তিনি।

অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক রাজনীতিতে যেমন সরব তেমনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখা নীতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এতে দেশে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিতে প্রণোদনার দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র সংশোধন ও আগামী নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী হচ্ছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। জাতীয় যে কোনো সংকট মোকাবিলা করেছেন বিচক্ষণতার সঙ্গে। তিনি প্রথম দফায় দেড় বছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তী সময়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদেও তাকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদালাপী এই মন্ত্রী জঙ্গি দমনসহ সীমান্তে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার কারণে এখন পর্যন্ত তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। প্রচারবিমুখ এই মন্ত্রীর দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে রয়েছেন।

সরকারের অন্যতম মুখপাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রাজনীতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কড়া জবাব যেমন দিয়েছেন, তেমনি মন্ত্রণালয় সামলাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মন্ত্রণালয়ের নাম পাল্টে তিনি পুরোনো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে নিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যমের উৎকর্ষ সাধনে রেখেছেন ভূমিকা। করোনাকালে গুজব প্রতিরোধ করেছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সম্মেলন ছাড়াও দলের সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিদেশি টিভি চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা, কেবল নেটওয়ার্কের পূর্ণ ডিজিটালে রূপায়ণ, টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করার মাধ্যমে অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং অবৈধ ডিশ টিভির দৌরাত্ম্য বন্ধ করেছেন তিনি। সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের কাজ চলমান হলেও উদ্যোগটি বেশ প্রশংসনীয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

নদী তীর দখলমুক্ত করা মাধ্যমে আলোচনায় আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথে নৌযান চলাচলের উপযোগী করার কাজও এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ, সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, সমুদ্র বন্দরগুলোর আধুনিকায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শাহরিয়ার আলম। সফল এই ব্যবসায়ী কূটনীতিতেও বেশ পারদর্শী। বিশেষ করেবিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে কাজ করে চলেছেন তিনি। যখনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অতিকথনের কারণে সমালোচিত হয়েছেন, তখন নেপথ্যে থেকে শাহরিয়ার আলম সরকারের কূটনীতি সামলেছেন। গুছিয়ে কথা বলার কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত। সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর ইস্যুতে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট সংযমী।

সুরক্ষা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা নিবন্ধন এবং গ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার পুরো কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারের ১৭ হাজার ৮০০-এর অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৮৫টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখেরও বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্যেও তিনি প্রশংসিত।

বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে নদীভাঙন এক-তৃতীয়াংশ কমে এসেছে।

নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকে একটি মহলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নোট-গাইড ও কোচিং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় সুশীল সমাজ, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

সৌজন্যে: কালবেলা


আরও খবর



গাজা উপকূলে বন্দর নির্মাণের ছবি প্রকাশ করল আমেরিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড গত সপ্তাহে গাজার উপকূলে নির্মাণ শুরু করা অস্থায়ী সামুদ্রিক বন্দরের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে। মে মাসের শুরুতে চালু হলে ছিটমহলে মানবিক সহায়তার প্রবাহ দ্রুত করার লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্চ মাসে বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এর আগে, সাহায্য কর্মকর্তারা গাজার ওভারল্যান্ড রুটে ত্রাণ সরবরাহ সহজ করার জন্য ইসরাইলকে অনুরোধ করেছিলেন।

বন্দরটি গাজা শহরের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। যুদ্ধের সময় গাজাকে দ্বিখণ্ডিত করতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নির্মিত রাস্তার সামান্য উত্তরে এটি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সোমবার রয়টার্সকে জানান, বন্দরটি নির্মাণের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা চলতি বছরের শুরুর দিকের প্রাথমিক অনুমানের দ্বিগুণ।


আরও খবর



বাবার চিকিৎসায় কিডনি বিক্রি করতে চান জবি শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাবার চিকিৎসার জন্য কিডনি বিক্রি করতে চায় ছেলে ফাতেহ আলী খান আকাশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (১১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। বাবা হায়দার আলী খান বর্তমানে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে এ শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিডনি বিক্রি করার জন্য সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহুর্তে পেইসমেকার লাগানোর মত এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।'

এ বিষয়ে ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদ্‌রোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার চিকিৎসা শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।

এবিষয়ে ফাতেহ আলীর বন্ধু মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, গান পাগল ছেলে বন্ধু ফাতেহ আলী খান আকাশ। সারাদিন গান নিয়ে মেতে থাকে। পড়াশোনা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে। কতটা অসহায় পরিস্থিতির স্বীকার হলে ছেলে তাঁর বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আকাশের বাবা (হায়দার আলী খান) আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, সাহায্য পাঠানোর জন্য ফাতেহ আলী খানের বিকাশ: 01799510783, নগদ: 01603581638, ডিবিবিএল: 7017341975820 এ নাম্বারগুলো ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, ফাতেহ আলী খান ক্যাম্পাসে গানের জন্য জনপ্রিয় এছাড়া তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন ব্যান্ড দলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর



ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত হাসোমের’ নামে একটি ঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আগুন নেভাতে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি দল কাজ করে।

তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হল সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

ক্রাইসিস২৪ নামের অপর এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে আগুনের কারণে সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।


আরও খবর