আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

একাই ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন সাবেক কৃষি কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি লাভের আশায় অবৈধভাবে ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন লায়েকুজ্জামান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা গত ৬ দিনে ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বাসায় এই তেল মজুত করেন।

অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া এলাকার ওই বাসা থেকে ৫১২ লিটার তেলসহ তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামান। এর পাশেই তার শ্বশুরের বাসাটিও তিনি দেখাশোনা করতেন। সেই বাসাতেই তিনি ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরের নেতৃত্বে একটি টিম ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই তেল জব্দসহ লায়েকুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লায়েকুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিপর্যায়ে তেলগুলো কিনে মজুত করে রেখেছেন। তার কাছে এসব তেল কেনার রশিদ দেখতে চাইলে তিনি কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজের একটি রশিদ দেখান। পরে রশিদটি যাচাই করে দেখা গেছে সেখান থেকে ১৫৯ টাকা দরে মাত্র ৪০ লিটার তেল কিনেছেন। বাকিগুলো তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। আর সূর্য এন্টারপ্রাইজের ওই রশিদের মাঝখানে নিজ হাতে বাকি তেলগুলোর পরিমাণ লিখে বিভিন্ন দাম বসিয়ে দিয়েছেন।

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতার লায়েকুজ্জামান মনে করেছেন যেহেতু বর্তমানে তেলের দাম বাড়তির দিকে, কয়েকদিন পর রমজানে আরও বাড়বে সে কারণে বাড়তি লাভের আশায় তিনি তেল কিনে মজুত করেছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লায়েকুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে পেলে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অতীতেও তিনি এমন কাজ করেছেন কি-না, কিংবা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লায়েকুজ্জামান কোনো ব্যবসায়ী নন, ডিলারও নন। প্রাথমিকভাবে এটি তার ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য বলেই মনে হয়েছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে তিনি তেল মজুত করেছেন। ৫১২ লিটার তেল মজুদ করা ফৌজদারি অপরাধ, এটি সঙ্কট সৃষ্টির অপপ্রয়াস।

৪০ লিটার তেল এক দোকান থেকে কিনেছেন, বাকিগুলো কোথা থেকে কীভাবে সরবরাহ করেছেন তা জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষি মার্কেটের ওই ব্যবসায়ী কেন একজনের কাছে একবারে ৪০ লিটার তেল বিক্রি করলেন এ বিষয়ে ব্যবসায়ীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া ভোজ্যতেলের এই সঙ্কট সৃষ্টি করতে ব্যবসায়িক পর্যায়ে কেউ মজুতদারি করছে কিনা, প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমরা যখনই সংবাদ পাব অভিযান পরিচালনা করব।

গত ৬ মার্চ থেকে ৬ দিনে লায়েকুজ্জামান বিপুল পরিমাণ এই তেল মজুত করেছেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৪০ লিটারের বাইরে বাকি তেলগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। কারণ অন্য জায়গা থেকে কিনলে সেটার রশিদ থাকতো।

জনসাধারণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এ ধরনের মজুতদারি করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: কৃষি কর্মকর্তা

আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

লোকসানের আশঙ্কায় বন্ধ রাখার ২০ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেল ৫টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরের প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুটি ট্রাকে ৩৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে হঠাৎ করে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। লোকসান হওয়ায় গেলো ২০ দিন ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাওয়া যায় আমদানি অবহৃতের পাশাপাশি ঈদের আগে আমদানি আরও বাড়বে।

উল্লেখ, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গেলো ৪ মে তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গেলো ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে আর প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ৭ টাকার মতো।

নিউজ ট্যাগ: পেঁয়াজ আমদানি

আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট। শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ৪১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে শাহজালালে পৌঁছায় ফ্লাইটটি।

তাদেরকে স্বাগত জানাতে স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় হাজীদের। এয়ারপোর্টেই দেয়া হয় জমজমের পানি।

এ সময় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিয়ে সন্তোষ জানান তারা। বলেন, নিজের গুনাহ মাফ চাওয়ার পাশাপাশি দেশ, পরিবার, ফিলিস্তিন ও পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিমানের এমডি জানান, ফিরতি হজ ফ্লাইট ভোগান্তিহীন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, হাজীদের যাওয়া-আসার পথে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে, হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুচারুভাবে হবে।


আরও খবর



অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে: মুমতারিন ডরিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে। তদবিরের চাপে যাতে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয়। মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছে- আইন, বিচার সব নিজস্ব গতিতেই চলবে। অপরাধীরা পার পাবে না।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যাকে আটক করা হয়েছে, সে আমাদের প্রতিপক্ষ না। সে বাবার শত্রু না। কে তাকে ধরাচ্ছে? তিনটি ফোন একদিনে হারিয়ে যাচ্ছে, টাকার লেনদেন হচ্ছে- এই বিষয়গুলো সন্দেহজনক। কে এই টাকার যোগানদাতা?


আরও খবর



বাঘায় আ. লীগরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে বাঘায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। অপর দিকে একই দিনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে এরমধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, আবদুল খালেক, জারমান আলী, আশিক হোসেন, সুলতান আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহাদত হোসেন, ইশতিয়াক হোসেন, কামাল হোসেনসহ অনন্ত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দিকে পথচারী উজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি পুলিশের টিয়ারসেলে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিআর শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় বাঘা বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর অনুসারীরা দেশিয় অস্ত্র হাতে বাঘা বাজারের দুই প্রান্তে অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচএ ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, এখানে ১৮ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকেই বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুত্ব হওয়ায় তাদের রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আর যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাঘ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া বাবুলকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লায়েব উদ্দিন লাভলু ও আক্কাছ আলীর পক্ষে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, কয়েব বছর ধরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ক্রেতার দলিল সম্পন্ন করতেন। এ নিয়ে সমিতি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান কমিটি পেশি শক্তি ব্যবহার করে সমিতির কাজকর্ম চালাতে চায়। আমরা এ সমিতির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিল এবং অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক কবীর বলেন, কিছুদিন হলো শাহিনুর রহমান পিন্টুকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আগে তারাই সমিতি কীভাবে চালাতেন ভাল বলতে পারবেন। তবে সমিতির নিয়মের বাইরে সাবেক সভাপতি চলতে চান। এ নিয়ে একটি পক্ষ মিছিল করার নামে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



মাংস মেরিনেটে যেসব ভুল নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

মেরিনেশন হলো রান্নার আগে বেশিরভাগ অ্যাসিডযুক্ত, তরল খাবারে ভেজানোর প্রক্রিয়া। রান্নার যা-ই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞদের মতে রেসিপির আসল মজা নাকি থাকে মেরিনেশনেই। তবে সঠিকভাবে মাংস ম্যারিনেট না হলে মাংসে ও হাড়ে ঠিকমতো মসলা প্রবেশ করতে না পারলে মাংস রান্না করলে সেই মাংসে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে না। তাই সঠিক ভাবে মাংস ম্যারিনেট করা প্রয়োজন।

ম্যারিনেট করার সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:

* রান্নার ধরণ অনুযায়ী মেরিনেট করুন। যদি একদম শুকনো মেরিনেশনের দরকার হয় সেক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ায় কোনো জলীয় পদার্থ ব্যবহার করবেন না। দই ব্যবহার করলেও পানি ঝরিয়ে তা ব্যবহার করুন।

* মেরিনেশনের সময় মাংস লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হয়। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ দেওয়া হলে মাছ বা মাংস থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যায়। আবার কাঁচা অবস্থায় মশলা চেখে দেখা যায় না। তাই লবণের সঙ্গে লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নেবেন। সেই সঙ্গে সামান্য চিনিও দিতে পারেন।

* মেরিনেট করার আগে খেয়াল রাখবেন মাছ বা মাংসে যেন অতিরিক্ত পানি না থাকে।

* ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বেশ খানিকক্ষণ নরমাল টেম্পারেচারে রাখতে হবে। তারপরে মাখবেন।

* ম্যারিনেটের আগে মাংস হালকা কেঁচে বা ছিদ্র করে নিন। এতে মশলা মাংসের ভেতরে ভাল ভাবে ঢুকবে। তবে বেশি ছিদ্র করবে না। বেশি ছিদ্র করলে রান্নার সময় তা ভেঙে যেতে পারে।


আরও খবর