গাজায় এবার একটি হাসপাতালে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সে উদ্দেশ্যে স্থাপনাটিতে অবস্থানরতদের স্থান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে রোববার বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হাসপাতালটির নাম আল-কুদস। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ইসরায়েলের হামলায় আহত অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতো সংখ্যক রোগী অতি দ্রুত স্থানান্তরিত করা সম্ভব না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের অনতিবিলম্বে গাজার আল-কুদস হাসপাতাল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল এই হাসপাতালে বোমা হামলা চালাবে।’
রোববার (২৯ অক্টোবর) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এমন তথ্য জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
আরও পড়ুন>> হামাসের হামলায় ৩৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত
এ ব্যাপারে এক্সে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট লিখেছে, ‘জরুরি: ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট দখলদার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গুরুতর হুমকি পেয়েছে— অনতিবিলম্বে গাজা উপত্যকার আল-কুদস হাসপাতাল যেন খালি করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে বোমা হামলা চালানো হবে।
আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার সতর্কবার্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, এই খবর গভীরে উদ্বেগজনক। আমরা আবারও বলছি, রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে না ফেলে একটি হাসপাতাল খালি করা অসম্ভব।
এক বিবৃতিতে পিআরসিএস বলেছে, হাসপাতাল খালি করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ফোন কল একটি স্পষ্ট ও সরাসরি হুমকি। আমাদের বলা হয়েছে, অবিলম্বে খালি না করলে হাসপাতালে থাকা সবার জীবনের দায় পিআরসিএসকে নিতে হবে।
হাসপাতালটির মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিমান হামলায় আহত শিশুতে পূর্ণ আইসিইউ। বেশিরভাগ অক্সিজেন মেশিনের সঙ্গে যুক্ত। হাসপাতাল থেকে তাদের সরানোর অর্থ হবে হত্যা করা।