হামাসের হাতে
আটক প্রায় এক ডজন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে
আলোচনা করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, এই চুক্তির ফলে সীমিত পরিমাণে জ্বালানিসহ
অন্যান্য সাহায্য প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। কর্মকর্তা ও কূটনীতিকের মতে কাতার, মিসর এবং
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলে এ মধ্যস্থতার আয়োজন করছে।
মিসরের দুই
কর্মকর্তা, জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা, একজন পশ্চিমা কূটনীতিক এ সমঝোতা আলোচনায় বসবেন।
সংবেদনশীল কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার কারণে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।
হামাসের সাথে
ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, মুক্তির তালিকায় থাকাদের মধ্যে ছয়জন আমেরিকান।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার সন্ধ্যায় জোর দিয়ে বলেছেন, বন্দিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। তবে কতজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। বন্দিদের জাতীয়তার ব্যাপারে কোনো অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ব্রিটিশ এমপির পদত্যাগ
এদিকে, ইসরায়েল
জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত তাদের ৩১ সেনা নিহত হয়েছে। এ সময়
আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৬০ সেনা।
এদিকে গাজায়
স্থল অভিযান চলাকালে ইসরায়েলের ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে ফিলিস্তিন। হামাসের
সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের
১৩৬ সামরিক যান ধ্বংসের তালিকা নথিভুক্ত করেছে।
সামরিক শাখার
মুখপাত্র আবু উবায়দা আল আকসা টিভিতে বক্তৃতাকালে বলেন, আমরা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর
১৩৬ যান ধ্বংস করেছি। এগুলোর কোনোটা আংশিক আবার কোনোটা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এসব যান ধ্বংস করা হয়েছে।