আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে উপজেলার সুত্রাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও দুইজন। 

নিহতরা হলেন, উপজেলার টালাবহ গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মফজেল হোসেন (৬৫), আব্বাস জোয়াদ্দারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০), এবং একই উপজেলার বাউমান টালাবহ গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে শওকত আলী (৪২)। নিহত তিনজন এবং আহত আরও দুইজন অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তারা সকলেই র্নিমাণ শ্রমিক ।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোমবার ভোর সাড়ে পাচঁটার দিকে বোডঘর এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে ওই পাঁচ ব্যক্তি অটোরিকশা যোগে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দিয়ে উল্টোপথে আসছিলেন। এসময় চন্দ্রা থেকে ছেড়ে আসা (ঢাকা মেট্রো উ-১৪-১৫৪৫ )একটি মালবাহী ট্রাক মূল মহাসড়ক ব্যবহার না করে সার্ভিস সড়ক দিয়ে মির্জাপুর দিয়ে যাচ্ছিলো। পথে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।

ঘটনাস্থলে পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও খবর



ফোর্বসের শতকোটিপতির তালিকা প্রকাশ, শীর্ষে বার্নার্ড আর্নল্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি বছরটি বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের দারুণ কাটছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০২৪ সালের ধনীদের নতুন তালিকা থেকে জানা গেছে, গত এক বছরে তাদের সম্পদমূল্য বেড়েছে দুই লাখ কোটি ডলার।

ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এই বছরে সবার ওপরে বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। গত জানুয়ারিতেই ইলন মাস্ককে হটিয়ে বার্নার্ড আর্নল্ট বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসন লাভ করেন। তার সম্পদমূল্য ২২ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে প্রথম স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্ট পরিবার ছাড়া বাকি সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আর্নল্ট পরিবার ফরাসি।

ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, তার সম্পদমূল্য ১৯ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে আছেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তার সম্পদমূল্য ১৯ হাজার ২০ কোটি ডলার। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। তার সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। আর তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। তার সম্পদমূল্য ১৫ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার।

ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন ওরাকল অব ওমাহা ও বিনিয়োগ গুরু হিসেবে খ্যাত ওয়ারেন বাফেট। তার মোট সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৭০ কোটি ডলার। অষ্টম স্থানে আছেন অ্যালফাবেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। তার সম্পদমূল্য ১২ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।

ফোর্বসের তথ্যমতে, নবম স্থানে যৌথভাবে দুইজন শীষ ধনী রয়েছেন। ১২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে নবম স্থানে আছেন লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্সের স্বত্বাধিকারী স্টিভ বালমার এবং অ্যালফাবেটের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সার্জেই ব্রিন আছেন নবম স্থানে। তার সম্পদমূল্য ১২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।

তালিকায় ১১তম স্থানে আছেন ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদমূল্য ১১ হাজার ৬২০ কোটি ডলার। আরেক ভারতীয় শীর্ষ ধনী ও একসময় এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ৮ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। তার অবস্থান ১৭তম।

এদিকে ধনীদের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি শতকোটিপতি আছেন চীনে। দেশটির ধনীদের মধ্যে শতকোটিপতির সংখ্যা ৪৭৩ জন। তবে সামগ্রিকভাবে চীনা ধনীদের সম্পদমূল্য কমেছে ৩০ হাজার কোটি ডলার।

২০০ বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতি নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারত, দেশটির ধনীদের জন্য এটি নতুন রেকর্ড। অর্থাৎ এর আগে আর কখনো এতসংখ্যক ভারতীয় শতকোটিপতি ছিলেন না।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত অভিবাসীদের সবাই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর