আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঘোষিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জনযোগ্য: জিপেক ওয়েবিনারে বক্তারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বাংলাদেশে করোনার মধ্যে অর্থনীতি সবল রাখতে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬.২%। তবে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ দিতে অনেক দেশই আগ্রহী

এবারের বাজেটে কর হ্রাসের মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষপে গ্রহণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতিতে আয় বাড়বে। ফলে ভোগ ও চাহিদা বাড়বে, অর্থনীতি সবল হবে এবং কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। তাই এ বাজেট প্রবৃদ্ধি অর্জনযোগ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গভর্নেন্স পলিসি এক্সপ্লোর সেন্টার (জিপেক) আয়োজিত সদ্য ঘোষিত বাজেট নিয়ে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভায় আলোচকরা এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, কিছু বিষয় বাদ দিলে এ বাজেট অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনবে। তবে করোনার অভিঘাতে গ্রামীণ ও শহুরে নতুন দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে সঠিকভাবে দরিদ্রের তথ্যভান্ডার বা ডাটাবেজ গড়ে তোলা জরুরী। বাজেটের অর্ন্তবর্তী মূল্যায়ণ ও সঠিক সময়ে এবং সঠিক গুণে ও মানে প্রকল্প সমাপ্তকারীকে পুরস্কার এবং ব্যর্থ হলে শাস্তির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

জিপেক বাজেট পর্যালোচনা ২০২১-২২ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিপেক এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (অনারারি) ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান জিপেক এর নির্বাহী পরিচালক ড. মিজানুর রহমান। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিক ব্যাংকের পরিচালক ও জিপেক চেয়ারপার্সন রাজীব পারভেজ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও জিপেক এর উপদেষ্টা মো. আবদুল কাইয়ুম এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ বাশার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক্ অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব, ফৌজিয়া হক এফসিএ, টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এর সম্পাদক নাজনীন নাহার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হালিমা হক প্রমুখ।

ওয়েবিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনার মধ্যে অর্থনীতি সবল রাখতে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬.২%। তবে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ দিতে অনেক দেশই আগ্রহী হওয়ায় বাংলাদেশ সহজে বৈদেশিক ঋণ গ্রহন করতে পারবে। আবার বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে অর্থ প্রাপ্তি সম্ভব। কোভিড-১৯ অতিমারির পরেও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ও মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ করতে হবে। ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য শস্য বীমা বা কৃষি বীমা, গবাদি পশু বীমা চালু করতে হবে। সার্বজনীন পেনশন স্কীম (কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করে) চালু করা যেতে পারে। বিনিয়োগবৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে চলমান ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত ১ শতাংশের অতিরিক্ত সব ধরনের শুল্ক-কর প্রত্যাহার করতে হবে। ই- কমার্স খাতের বিকাশের জন্য কর আরোপের পরিবর্তে প্রণোদনা, প্রযুক্তিগত সহায়তা, কর মওকুফ ও ইন্টারনেট খরচ কমানোর সুপারিশ করা হয়ছে। স্টার্টআপদের জন্য ট্যাক্স হলিডে বাড়াতে হবে। একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মূলধন বৃদ্ধি করা ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোতে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং রেজিস্টার্ড আউটসোর্সারদের জন্য ঋণসুবিধার ব্যবস্থা করা। উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের জন্য নিয়মিত এডিপির অতিরিক্ত একটি নির্দিষ্ট শতাংশিক হারে গ্রহণযোগ্য এডিপির বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। বাজেটে অন্যান্য দেশের মতো ইনোভেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট খাত তৈরি করে বাজেট বরাদ্দ দেয়ার সুপারশি করা হয়েছে।

মোবাইল আর্থিক সেবার উপর কর্পোরেট কর বাড়ানোয় দরিদ্র লোকদের আর্থিক অর্ন্তভুক্তি অনিশ্চিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে এ খাতে বিনিয়োগ সংকুচিত হতে পারে। তাই এ খাতে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভুত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর বসালে তা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে। এ কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে করোনার সময়ে ব্যবসায়, উৎপাদনে মন্দা, কর্মহীন হয়ে যাওয়া ও জনগণের আয় কমে যাওয়ায় এই আয়সীমা ৪ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়ছে।

উপস্থাপিত প্রবন্ধে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়িক টার্নওভার ট্যাক্স হ্রাস, বিত্তবানদের সম্পদের উপর সারচার্জ বৃদ্ধি, করনেট সম্প্রসারণে টিআইএন- এর বাধ্যবাধকতা, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে আইটি খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতির সুপারশি করা হয়। নারী উদ্যোক্তাদের ৭০ লক্ষ টাকা টার্নওভার সুবিধা, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা, স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি বিনিয়োগ, বিদেশী পণ্যের নির্ভরশীলতা কমাতে দেশীয় শিল্পের ভ্যাট ও আগাম অব্যাহতি, কৃষি উপকরণে ও নারী স্বাস্থ্য সংরক্ষণে ভ্যাট অব্যহতি ও দেশীয় চাষীদের প্রতিরক্ষণের কথা বলা হয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার।

ওয়েবিনারে আলোচকরা বলেন, একটি বাজেটের দর্শন হলো মূল নিয়ামক। তাই দর্শনকে ভিত্তি বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। বাজেটে অধিক অর্থ বরাদ্দের আবেদনের চেয়ে এর সঠিক ব্যবহারের জোর তদারকি দরকার এখন বেশি। স্বাস্থ্য খাত এর জ্বলন্ত উদাহরণ। তাই আলোচকরা মনে করেন বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি বিশেষ প্রয়োজন। বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন, বর্তমান বাজেটে জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ অনেক বেশি, যা কমানো যেতে পারে, কৃষিক্ষেত্রে সুদের হার আরো কমানো, সামজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ব্যক্তি করসীমা বাড়ানো, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ট্রেনিংকে উৎসাহিত করা, গার্মেন্টস এর মতো অন্য শিল্পকেও গুরুত্বারোপ, ব্যবসা বহুমুখীকরণ, বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ বিবেচনায় নেয়ার আহবান জানান।

কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গে বলা হয়, ঢালাও সুযোগ না দিয়ে হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ, জরিমানা আদায় ও টাকার উৎস জানানো সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী না থাকাই ভালো। এতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: জিপেক

আরও খবর



নরসিংদীতে বজ্রপাতে একই পরিবারের ২ জনসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে বজ্রপাতে দুই নারীসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে আলোকবালী গ্রামের ইমন মিয়া, সুফিয়া বেগম এবং কাইয়ুম মিয়া মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল পরিবারের আরও ৩ সদস্য। দুপুর ১২টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। নিহত সুফিয়া এবং ইমন সম্পর্কে মা-ছেলে। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতরা চিকিৎসাধীন।


আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আজ দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই তাকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তীব্র গরমে যে পরামর্শ সাবিলা নূরের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত গাছপালা ও বনায়ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। এই অসহনীয় তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এবার ভক্তদের গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে ভক্তদের পরামর্শও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সাবিলা নূর লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিই। নিজ নিজ এলাকায় অন্তত ১০টি করে গাছ লাগাই। আর এটাকে একটা ইভেন্টে পরিণত করি। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে মিলিত হই। সেলফি/রিল/টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে আসি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এই ধরনের কোনো ইভেন্টকে। কেমন হবে বলুন তো?

অভিনেত্রীর এমন পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ভক্তরা। তারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, খুব ভালো উদ্যোগ।

নিউজ ট্যাগ: সাবিলা নূর

আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর