আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারা সপ্তাহ কাজের শেষে ছুটির দিনগুলোতে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে যান্ত্রিক এই শহরে দল বেঁধে ঘোরা বা আড্ডা দেয়ার জায়গা কমে আসছে দিনকে দিন। তবে রাজধানীর আশপাশেই আছে বেড়ানোর বেশকিছু জায়গা। চাইলেই সময় করে পরিবারসহ ঘুরে আসতে পারেন এসব স্থান থেকে।

মায়াদ্বীপ: নারায়ণগঞ্জ জেলার বারদি ইউনিয়নের মায়াদ্বীপ হতে পারে এক বিকেল কাটানোর দুর্দান্ত স্থান। মায়াদ্বীপ হলো মেঘনা নদীর বুকে ভেসে ওঠা একটি চরের নাম।মূল ভূ-খণ্ড থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপের অবস্থান। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রাম মেঘনা নদীর কারণে সোনারগাঁয়ের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। নদীপথে সোনারগাঁ থেকে স্থানটি ৪-৫ কিলোমিটার দূরে। মায়াদ্বীপের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা নদীর নীল পানি মুগ্ধ করবে মুহূর্তেই। মেঘনার জলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্যও উপভোগ করা যায় এই দ্বীপে।

যাবেন যেভাবে: রাজধানী থেকে মায়াদ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে গুলিস্তান। এরপর সেখান থেকে দোয়েল, স্বদেশ অথবা বোরাকের এসি কিংবা নন-এসি বাসে উঠে চলে যান মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে যেকোনো অটোরিকশা নিয়ে যেতে হবে বারদী বৈদ্যেরবাজারে। বারদী বৈদ্যেরবাজারে এসে মেঘনা নদীর ঘাট  থেকে প্রয়োজন অনুসারে ঘণ্টা চুক্তিতে (২০০ টাকা) কিংবা দিন চুক্তিতে (১২০০ টাকা) একটি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারবেন।

সারিঘাট, কেরানীগঞ্জ: কায়াকিং ভালোবাসেন বা পছন্দ করেন যারা তাদের জন্য ছুটির দিনে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা হতে পারে সারিঘাট। এটি কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা  রিভারভিউ প্রকল্পের পেছনের একটি স্থান। যা আইন্তা ও আড়াকুল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের অংশ বিশেষ। খালের পাশ দিয়ে সারি ধরে করই গাছ আছে। এ কারণেই জায়গাটি সারিঘাট নামে বেশি পরিচিত।  খাল-বিল আর গাছপালার কারণে সেখানকার পরিবেশ অনেকটাই গ্রামীণ। কিছু অস্থায়ী খাবারের দোকানও পাবেন। কাশবন ছাড়াও সারিঘাটে পাবেন, কায়াকিং ও নৌকা ভ্রমণের সুযোগ। সারিঘাটের শুরুতেই পড়বে কায়াকিং, ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। বিকেলে ভিড় থাকে, তাই কায়াকিং করতে চাইলে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়াও নৌকা ভাড়া করলে ঘণ্টা প্রতি ১০০ টাকা গুনতে হবে। তবে আগেই দামাদামি করে নেওয়া ভালো।

যাবেন যেভাবে: কেরানীগঞ্জের সারিঘাট যাওয়ার জন্য ঢাকার যেকোনো জায়গা প্রথমে যাত্রাবাড়ী আসতে হবে। সেখান থেকে জুরাইন রেলগেট। এখান থেকে পোস্তগলা ব্রিজ পার হতে হবে। ব্রিজ পার হলেই সারিঘাট যাওয়ার অটোরিকশা মিলবে। এ ছাড়া, চাইলে জুরাইন রেলগেট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভও নেওয়া যাবে।

গোলাপ গ্রাম:  গোলাপ গ্রাম - ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে বেশ পছন্দের একটি নাম।  এর অবস্থান সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে। তুরাগ নদীর তীরের সাদুল্লাপুর গ্রামটিই বর্তমানে গোলাপ গ্রাম হিসাবে পরিচিত। এর কারণ এই পুরো গ্রামটি জুড়েই হয় গোলাপ ফুলের চাষ। নানা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা সমস্ত সাদুল্লাহপুর গ্রামটিকে একটি বাগান মনে হয়। এখানে সাধারণত মিরান্ডি জাতের গোলাপে চাষ বেশি হয়। গ্রামের বুকের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার দুপাশের বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান সারাক্ষণ মোহিত করে রাখবে। হাতে সময় থাকলে এখানকার কয়েকটি জমিদার বাড়ি থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন।

যাবেন যেভাবে: ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে কয়েকটি উপায়ে গোলাপ গ্রামে যাওয়া সম্ভব। উত্তরার দিয়াবাড়ি দিয়ে প্রথমে যেতে হবে বিরুলিয়া ব্রিজ। সেখান থেকে অটোতে করে যাওয়া যাবে সাদুল্লাহপুর। চাইলে বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে রিজার্ভ নৌকা ভাড়া নিয়েও যেতে পারবেন।  যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান কিংবা ফার্মগেট থেকে মিরপুর বেড়িবাঁধে আসার অনেক বাস পাওয়া যায়। আবার মিরপুর ১, মিরপুর ১০ কিংবা গাবতলী থেকে রিকশা বা সিএনজি করে দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাওয়া যায়। এখানে বলে রাখা ভালো, এই দিয়াবাড়ি উত্তরার দিয়াবাড়ি নয়। দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে শ্যালোইঞ্জিনের বিভিন্ন নৌকা ১০ মিনিট পরপর সাদুল্লাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নেভারল্যান্ড: নামের সঙ্গে মিল রেখে গড়ে তোলা হয়েছে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সড়কে প্রায় ১২ একর জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন পিকনিক ও শুটিং স্পট। সুশীতল ছায়াঘেরা নদী তীরের মুক্ত বাতাস ও কোলাহলহীন পরিবেশে পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অবসর সময় কাটানোর জন্য রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১-এর চটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত নেভারল্যান্ড থাকতে পারে ভ্রমণের তালিকায়। এই জায়গায় আছে বাচ্চাদের জন্য প্লে-জোন, বাংলা ও চাইনিজ খাবারের রেস্তোরাঁ, কার পার্কিং ও নৌ-ভ্রমণের ব্যবস্থা। এ ছাড়া, বেড়িবাঁধ ধরে নেভারল্যান্ড পার্কে যাওয়ার রাস্তাটি খুবই উপভোগ্য। জায়গাটি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ করতে কোন ফি দিতে হয় না। তবে তুরাগ নদীতে ১ ঘন্টার জন্য ময়ূরপঙ্খী নৌকায় চড়তে জনপ্রতি ১০০ টাকা লাগে।

যাবেন যেভাবে: ঢাকার যে কোন স্থান থেকে মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড বা মাজার রোড এসে রিকশা নিয়ে যেমন যাওয়া যাবে নেভারল্যান্ডে তেমনি নিজস্ব যানবাহনেও যাওয়া যাবে এই জায়গাটিতে।


আরও খবর



ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত হাসোমের’ নামে একটি ঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আগুন নেভাতে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি দল কাজ করে।

তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হল সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

ক্রাইসিস২৪ নামের অপর এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে আগুনের কারণে সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামীকাল (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে।   সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙ্গরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে।

মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে কোন প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনাতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে ও বেতারে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে।  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে প্রথম ধাপে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, আজ সবচেয়ে বেশি ভোট গ্রহণ হচ্ছে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। এই রাজ্যের ২০টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই ভোট হচ্ছে। দ্বিতীয় দফা ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, অ্যানি রাজা, শশী থারুর, নবনীত রানা, ওম বিড়লা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল এবং প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।

কেরালা নানা করণেই এবার লোকসভা ভোটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজ্যটির ওয়ানাড়ে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধী। গতবারের জয়ী তিনি। এছাড়াও লড়ছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যটির ২০ আসনের ভোট যুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ভোটার ১৯৪ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। আর নানা করণে ওয়ানাড়ে, ত্রিশুর এবং তিরুবন্তপুরম এই তিন আসনের দিকে নজর গোটা দেশের।

ভোট বৈচিত্র্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চমক হচ্ছে এখানে মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি নারী। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, রাজ্যটির মোট ভোটারের সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭২৯ জন। আর পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ২৮৮ জন। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ৩০৯ জন।


আরও খবর



ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের জ্যেষ্ঠ এক রাজনীতিক মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিরস্ত্রীকরণ করবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরিত হবে। খবর সিএনএনের

কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার এক সাক্ষাৎকারে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া এসব বলেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। দেশটি হামাসকে শেষ করে দিতে শপথবদ্ধ। আর দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধী।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল-হাইয়া যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইস্তানবুলে এপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল-হাইয়া বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রেজল্যুশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন হামাস মেনে নেবে।

আল-হাইয়া আরো বলেন, যদি তা হয়, তবে তাদের সামরিক শাখা বিলুপ্ত হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা, অধিকার ও রাষ্ট্র পেয়ে গেলে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা গোষ্ঠীটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর