আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন ছবির মতো সুন্দর গ্রাম ‘জিরো ভ্যালি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নিরিবিল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমন স্থানে যারা কিছুটা সময় অবসর কাটাতে চান তারা যেতে পারেন ভারতের জিরো ভ্যালিতে। ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম দেখলে আপনার মনে হবে কোনো কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছেন। অনেকেই হয়তো ভাববেন, সব গ্রামের সৌন্দর্যই তো একই ধাঁচের! আসলে এই গ্রামের ঘন অরণ্য, বাঁশ বাগান ও ধানের খেত আর পাঁচটা গ্রামের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের জিরো ভ্যালি মূলত আদিবাসীদের একটি গ্রাম। জিরো ভ্যালির সংগীত উৎসব বিশ্ববিখ্যাত। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় নাম লিখিয়েছে এই জিরো উপত্যকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় দেড় হাজার মিটার। এই অঞ্চলে অনেক ধানের ক্ষেত দেখতে পাবেন। তবে পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই গ্রামের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

প্রচুর পাইন গাছের দেখা পাবে এই গ্রামে। শীত হোক বা গ্রীষ্ম এখানকার আবহাওয়া সব সময়ই কিন্তু শীতলই থাকে। জিরো ভ্যালিতে আবার এমন সব স্থান আছে যেগুলো ঘুরে আসতে ভুলবেন না সেখানে গেলে-

ট্যালি উপত্যকার জঙ্গল: ট্যালি ভ্যালি ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি অবস্থান করছে প্রায় ৩৩৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। জিরো ভ্যালির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এটি। এই জঙ্গলে বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল। যদিও এ অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা খুব কমই হয়। জঙ্গলে সিলভার ফার, অর্কিড, বাঁশ ও ফার্নের অত্যাশ্চর্য গাছ দেখা যায়। ট্যালি ভ্যালি জঙ্গলকে বলা হয় জৈব বৈচিত্র অঞ্চল।

মেঘনা গুহা মন্দির: জিরো ভ্যালিতে অবস্থিত মেঘনা গুহা মন্দিরও একটি দর্শনীয় স্থান। ৫ হাজার বছরেরও প্রাচীন এই গুহা মন্দিরের পুনরায় খোঁজ মেলে ১৯৬২ সালে। এটি প্রায় ৩০০ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। পর্বতমালা, সবুজ ঘন বন আর নিচে প্রবাহিত স্বচ্ছ নদী প্রকৃতিপ্রেমীদের খুশি করবে।

কিলে পাখো: পুরাতন জিরো থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কিলে পাখো পর্বত। স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেকেই পর্বতারোহণ করেন। পাহাড় থেকে এদিকে যেমন জিরো ভ্যালির মালভূমি অঞ্চলের সৌন্দর্য চাক্ষুস করা যায়, তেমনই অন্য দিকে চোখে পড়ে তুষার আচ্ছাদিত হিমালয় পর্বতমালা।

মিডি: নীলচে পাইন গাছ দেখতে চাইলে সোজা চলে যান মিডিতে। আপাতানি উপত্যকার সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে লম্বা পাইন গাছ এখানেই দেখতে পাবেন। হাইকিং এবং ট্রেকিংয়ের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।

জিরো পুটো: জিরো পুটো একটি পাহাডড়ের নাম। এখানে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬০ সালে সেনা ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জায়গাটি আর্মি পুটো নামেও পরিচিত। এই টিলা থেকে আপতানি মালভূমির অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ: জিরো ভ্যালি

আরও খবর



পিরোজপুরে আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

দীর্ঘ ৫২ বছর পর ১৮ মে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন ঘিরে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দ আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা ও তাদের নিজ নিজ ছবি দিয়ে তোরণ-ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তার দু’ধার। সম্মেলন উপলক্ষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থেকে এসব কাজ তদারকি করছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, আজ শনিবার ১৮ মে সকাল ১১টায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

পিরোজপুর যুবলীগ সূত্রে জানাগেছে ১৯৭২ পরবর্তী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বর্ষিক সম্মেলন ছাড়া শুধুমাত্র বর্ধিত সভা’ করার পর কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা কমিটি ঘোষনা দিতো। শেষ ২০১০ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় কমিটি। দির্ঘ ১৪ বছর বিভিন্ন অযুহাতে কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি।

বর্তমান কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, গাজী জিয়াউল আহসান জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

এদিকে ১৪ বছর পর যুবলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়ে তৎবির অব্যাহত রাখছেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

এর মধ্যে সভাপতি পদের দৌড়ে আছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বহী সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান জিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, বর্তমান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু।

সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়-ঝাপ করছেন সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি এস এম বায়েজীদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু সাঈদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য শ. ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনমহারাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

সালমা রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দয়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম সহ-সম্পাদক মো. গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় থাকবেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী জিয়াউল আহসান।

এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি। পিরোজপুরের যুবলীগের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারা জেলা থেকে যুবলীগের ৫০ হাজার নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ. ম রেজাউল করিম সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর



এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ মে ফল প্রকাশিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এসময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা চিঠিতে সই করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।

আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।  সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




অবৈধ কোটি টাকার সন্ধান

দুদকের মামলা খেলেন স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকা ও তার স্ত্রী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবিল হক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। আখতার ফারুক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

দুদকের সমন্বিত ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয় দুদক। পরে তারা তাদের সম্পত্তির প্রয়োজনীয় কাগজ দাখিল করেন দুদকের কাছে। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মো. আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।

অন্যদিকে ফারু‌কের স্ত্রী শিরীন আক্তা‌রের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা নিজ ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ পায় দুদক।

মামলার বিষ‌য়ে জান‌তে চা‌ইলে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুক মুঠোফোনে ব‌লেন, মামলা হওয়ার বিষয়‌টি আদালত বা দুদক কেউই আমা‌কে জানায়‌নি। অভি‌যোগ‌ হা‌তে পে‌লে এ বিষ‌য়ে কথা বল‌ব।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. সায়েদুজ্জামান ব‌লেন, মামলা হওয়ার বিষয়‌টি জান‌তে পেরেছি। ত‌বে অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠিপত্র পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাহা‌সিন মুনাবীল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরু‌দ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্প‌দ অর্জনের প্রাথ‌মিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে। আশা ক‌রি, তিন মা‌সের ম‌ধ্যে তদন্ত প্রতি‌বেদন আদাল‌তে দা‌খিল কর‌তে পার‌ব।


আরও খবর



মহেশপুরের দোবিলা বিল বালুখেকোদের দখলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের সরকারি বিল দোবিলা এখন বালুখেকোদের দখলে। দীর্ঘদিন ধরে এ বিল থেকে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি শক্তিশালী চক্র। যার ফলে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে সে এলাকার ফসলি জমিসহ বসতভিটা। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা এর সাথে জড়িত থাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন না ওই চক্রটি।

এদিকে প্রায় আড়াই মাস ধরে একাধিক স্থানে বালু উত্তোলনের ফলে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙন ঝুঁকিতে দিনপার করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি বিলে বালু উত্তোলন চললেও প্রশাসন কোন হস্তক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে বালু উত্তোলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতাদের নাম থাকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকার সাধারণ মানুষ।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আজমপুর ইউনিয়নের আজমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের দোবিলা বিলে বালু উত্তোলন করছেন একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। বিলের পাশেই করেছেন বিশাল বালুর স্তুপ। এর আগেও তিনি প্রায় ২২ শ ট্রাক বালু বিক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিলের সৈয়দপুর অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন জালাল উদ্দিন নামে অপর এক ব্যক্তি। একই বিলের হোগলডাঙ্গায় বালু উত্তোলন করছেন ফিরোজ আহম্মেদ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাগামহীন ভাবে নির্ধারিত শ্রমিক দিয়ে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সৈয়দপুরে গিয়ে দেখা যায়, তিন শ্রমিক বালু উত্তোলনের কাজ করছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ড্রেজার মেশিনের শব্দ বাড়িয়ে দেন এক শ্রমিক। তাদের সাথে কথা বলতে গেলে হাত নেড়ে জানান কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দোবিলা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোন ভাবেই বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছি। অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুষ্ঠুন করে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন অনেকে। 

বালু উত্তোলনকারী জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য ৪২/৪৫ লাখ টাকা দিয়ে বিল লিজ নিয়েছি। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়া আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। যে কারণে বিল থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের পরিকল্পনা করছি। সৈয়দপুরে বালু তুলছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার নামের দোহায় দিয়ে দোষ এড়ানোর চেষ্ঠা করেন।

অপর বালু উত্তোলনকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ ভাই বালু উত্তোলন করছি। তবে এসব কথাতো আর ফোনে বলা যাই না। আপনি একটু নিরিবিরি সময় করে আমার সাথে দেখা করেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন বলেন, যতদ্রুত সম্ভব বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরও খবর