আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঘুরে আসুন শুভ্রতা ছড়ানো বঙ্গবন্ধুর জন্মভিটা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা এক সময় মোগল আমলের ঐতিহ্যবাহী ভবনে বসবাস করলেও বংশবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির চারপাশে ঘর তোলেন পরবর্তী প্রজন্ম। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে টিনের চৌচালা ঘর তোলেন বঙ্গবন্ধুর দাদা শেখ আবদুল হামিদ। বঙ্গবন্ধু এ ঘরেই জন্মগ্রহণ করেন। স্মৃতিবিজড়িত এ ঘরের স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন, এ বংশের অনেকেই এখন এ বাড়ির চারপাশে টিনের ঘরে বসবাস করেন। আমি এ টিনের ঘরের এক ঘরেই জন্মগ্রহণ করি। বঙ্গবন্ধুর দাদা সে সময়ে শাল ও সেগুনকাঠ দিয়ে টিনের চৌচালা ঘর নির্মাণ করেন। পরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯ মে পাকিস্তানি হানাদাররা ঘরটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

যুদ্ধপরবর্তী ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সহোদর শেখ আবু নাসের ওই স্থানে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বর্তমানে সাদা রঙের এ বাড়িটি সেই আগের ভিটায় শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বাড়িতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর আর রাজনৈতিক জীবনের গৌরবান্বিত নানা ছবি। এ ছাড়া বাড়ির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতার ব্যবহৃত নানা তৈজসপত্র এখনো বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বহন করে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া আগমনকালে এ স্মৃতিঘেরা বাড়িতে বিশ্রাম নেন। সাদা এ দালানটিকে দেখভালের জন্য এখনো বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমানের আমলের গৃহকর্মী নির্মল বিশ্বাস রয়েছেন। এর একেবারেই গা ঘেঁষে রয়েছে শেখ পরিবারের পূর্বপুরুষদের সেই বাড়ি। আদি বাড়ির চারপাশে এখনো বেশ কয়েকটি ঘরে বঙ্গবন্ধুর পরিজন বসবাস করছেন।

স্মৃতিধন্য এ বাড়ির সামনে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঘিয়ার নদীর পাড়ে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক কবরস্থান ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এ কমপ্লেক্স। ১৯৯৬ সালের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরে ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৭৯তম জন্মবার্ষিকীতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন এ সমাধির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দীর্ঘ দুবছর কাজ শেষে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এ সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। লাল সিরামিক ইট আর সাদা-কালো মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত এ সৌধের কারুকাজে ফুটে উঠেছে বিষাদের চিহ্ন। বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৩৮.৩০ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বোর্ডের পরামর্শ মতো এ সমাধিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

শুধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নয়, এর আশপাশের এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার খেলার মাঠ, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বালিশা আমগাছ, শেখবাড়ি জামে মসজিদ (স্থাপিত ১৮৫৪ সাল) হিজলতলা ঘাট, রকেট স্টিমার ঘাট ও লঞ্চঘাট। মোটকথা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এসব স্থানে ভ্রমণ করে মুজিবপ্রেমীদের মনে জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ধরা দেয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাশেই টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। সেখানে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর জন্য রাখা হয়েছে বিশ্রামাগার।

যাওয়ার উপায়: বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকেই গোপালগঞ্জের বাস ধরে টুঙ্গিপাড়া আসা যায়। এ ছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। গুলিস্তান থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬৩ কিলোমিটার। গুলিস্তান বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, দোলা, পালকী, ওয়েলকাম, ইমাদ, গোল্ডেন লাইন, সেবা গ্রিন লাইন ও কমফোর্ট লাইন নামের বাসে টুঙ্গিপাড়া যেতে সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। প্রতি পনেরো মিনিট পরপর বাস পাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন: টুঙ্গিপাড়ায় বাঘিয়া নদীর তীরবর্তী মধুমতী নামে পর্যটনের একটি মোটেল আছে। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে এখানে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। রুম ভাড়া নন-এসি টুইন বেড ১,৩০০ টাকা ও এসি টুইন বেড ২,০০০ টাকা। এ ছাড়া ডরমিটরি বেডে ৪০০ টাকা করে থাকার সুযোগ রয়েছে। ডরমিটরির প্রতি রুমে চারজন করে থাকার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাত যাপনের জন্য চাইলে গোপালগঞ্জ শহরেও থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে হোটেল সোহাগ, রোহান, রাজ, জিমি, লুচি, শম্পা, শিমুলসহ বেশকটি হোটেল রয়েছে। রুম ভাড়া গুনতে হবে ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।


আরও খবর



ভিয়েতনামে স্যান্ডউইচ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬০ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামে স্যান্ডউইচ খেয়ে ৫৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় এবং সাত বছরের দুই ছেলে শিশুসহ ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। দক্ষিণ ভিয়েতনামে একটি শপ থেকে ঐতিহ্যবাহী বান মি স্যান্ডইউচ’  খাওয়ার পর তারা ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়।

এ ঘটনায় ডং নাই প্রদেশে অবস্থিত ওই বেকারিটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমের কারণে স্যান্ডউইচগুলো নষ্টে হয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক পরিদর্শনে দেখা গেছে ওই বেকারি খাদ্যের ন্যূনতম নিরাপত্তা মান পূরণ করেনি। বান মি স্যান্ডউইচ হল ভিয়েতনামের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।

সোমবার লং খান শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল বাং বেকারি থেকে ওই স্যান্ডউইচ খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে ৫৬০ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২০০ জনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই বেকারি থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ স্যান্ডউইচ বিক্রি করা হয়। ওই বেকারি থেকে যারা স্যান্ডউইচ খেয়েছে তাদের অনেকে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর এবং পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়।

ভিয়েতনামের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই স্যান্ডউইচ খেয়ে এক নারী তার তিন সন্তানকে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হন। এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।


আরও খবর



বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গোলাগুলি, সংঘর্ষ, ভোটগ্রহণ স্থগিত, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আটকসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন।

তবে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। 

ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে। একেক জায়গায় একেকরকম ভোট পড়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রকৃত হার আরো পরে পাব।

এবারের নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম (আনারস) ও মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর (কাপ পিরিচ) সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া নির্বাচন চলাকালীন পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

এছাড়া সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সদর উপজেলায়। সদরের ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক যুবক আটক হলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে ছবি সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

টাঙ্গাইলে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রার্থীদের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। মধুপুর উপ‌জেলার গাংগাইর আহম্মদ আলী মেমো‌রিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কে‌ন্দ্রে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ দুই উপজেলায় আতঙ্ক ও বৃ‌ষ্টির কার‌ণে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপ‌স্থি‌তি অনেক কম ছিল।

সুনামগঞ্জের শাল্লার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন। এর আগে সোমবার (৭ মে) রাত ২টার দিকে একই কেন্দ্রের সামনে থেকে অন্য কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।

ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া কুসুমকলি কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজন আটক হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের জাল ভোট দিতে না দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিন বেলা ১১টায় উপজেলার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় চৌপল্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের পক্ষে মাসুদ পারভেজ নাম এক এজেন্টকে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণকালে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একটি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে মীর রেজাউল ইসলাম বাবু নামে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে বিজিবি টিম।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নূর উদ্দিন নামের এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।

জয়পুরহাট ও দিনাজপুরের ৩ উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করায় সাময়িক সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ৫ উপজেলার ৮ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী।

উপজেলাগুলো হলো, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর।

এছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



তীব্র গরমে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ, গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।


আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



ধর্মপাশায় থাপ্পরের আঘাতে কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে ইনসানের (১৮) থাপ্পরের আঘাতে আকিব শাহ (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের গোরস্থানের সিঁড়ির নিচে সরকারি খাস জায়গায় এই ঘটনা ঘটে।

আকিব শাহ রাজাপুর গ্রামের কামরুল শাহ্'র ছেলে। অপরদিকে ইনসান একই গ্রামের শাজাহান কবিরের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আকিব শাহ ও ইনসানের মধ্যে লুডু খেলা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ইনসান উত্তেজিত হয়ে আকিব শাহর পিঠে সজোরে থাপ্পর মারে। থাপ্পরের চোটে মাটির উপর পড়ে জ্ঞান হারায়। পরে আকিব শাহর স্বজন ও আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ধর্মপাশার থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, মৃত আকিব শাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সহিত জড়িত ইনসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর