আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চট্টগ্রামে দেয়াল ধসে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানাধীন চন্দ্রনগর বাজার রোডে অবস্থিত নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গ্রামের বাবুল হোসেনের সন্তান।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানা সংলগ্ন টেক্সটাইল আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সীমানার প্রাচীর ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল ৮টার দিকে বায়েজিদ থানাধীন নির্মাণাধীন ভবনের দেওয়াল ধসে এক যুবক মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা কয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ দেয়ালের অপর অংশগুলোও ভেঙ্গে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বাদুড়তলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, কালারপোল, বড়পোল, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামীকাল বুধবার (২৬ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পাবে। তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে ২টি চুক্তি ৫টি নতুন সমঝোতা স্বারক ও ৩টি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করছি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের কোনো চুক্তি না করা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না করা, একতরফাভাবে ভারতকে সকল সুবিধা প্রদান করে বাংলাদেশের স্বার্থ ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগের সমঝোতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা, ওষুধ সংক্রান্ত সমঝোতা, বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতের অবাধ বিচরণ এবং ভারতের ইনস্পেস ও বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, রেলমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা ইত্যাদি সমঝোতাগুলোতে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভারতকে সব সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ভারতের কাছে থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ আদায় করতে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটা ম্যান্ডেট বিহীন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বহিঃপ্রকাশ।

এই অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেছে। এই চুক্তিগুলোকে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী হওয়ায় বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন আগামী ২৮ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৩টা অনুষ্ঠিত হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিশোরগঞ্জে হাওরের মাঝখানে সড়ক নির্মাণ এবং বেশ কিছু এলাকায় মাটি ভরাট করে কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরসহ বিভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির তলে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারের কোনো ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের জন্য সভায় দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির একটি ত্রাণ টিম অতিদ্রুত সিলেট সফর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



বিপদ আঁচ করতে পেরে পালাতে চেয়েছিলেন এমপি আনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফয়সাল আলী সাহাজি পেছন থেকে তাকে টেনে নিয়ে ক্লোরোফর্ম ভেজানো রুমাল তাঁর মুখে চেপে ধরে। তারপরই আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াসহ অন্যরা তাকে হত্যা করে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারের মেয়ের দায়ের করা অপহরণ মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাফুজুর রহমান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল এমপি আনারকে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের কলকাতার বাসা থেকে প্রলোভন দেখিয়ে বের করে এনেছিলেন। এরপর দুজনে একটা গাড়িতে উঠে অন্য জায়গায় চলে যায়। সেখানে আমানুল্লাহ তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং তারা অন্য একটি গাড়িতে উঠে। এরপর তারা তিনজন নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে যান, যেখানে আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান আগে থেকেই ছিলেন।

তদন্তকারীরা জানান, শিলাস্তি ট্রিপলেক্স ওই অ্যাপার্টমেন্টের উপরের তলায় গেলে শিমুল ও অন্য অভিযুক্তরা আনারকে একটি কক্ষে নিয়ে যায়।

ক্লোরোফর্মের প্রভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার আগে অভিযুক্তের সঙ্গে এমপি আনারের ধস্তাধস্তিও হয়। এরপর অভিযুক্তরা আনারকে হত্যা করে, তারপর বিবস্ত্র করে মরদেহ চেয়ারে বাঁধে। পরে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়।

তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার জন্য ফয়সাল ও মোস্তাফিজুরকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী আমানুল্লাহ ও আক্তারুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গের বরানগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বন্ধু বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। ২০ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করার তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতকদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, ১৩ মে দুপুরেই আনারকে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ধীরগ‌তি, দীর্ঘ যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়কটিতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পশু ও পণ্যবাহী পরিবহন বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। কোথাও কোথাও যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বুধবার (১২ জুন) ভোর থে‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়‌কে এমন প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৪০১ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, গাড়ির চাপ বৃদ্ধি ও এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় সারি রয়েছে। মহাসড়কে পুলি কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



সাপের শরীরে কীভাবে প্রাণঘাতী বিষ তৈরি হয়, কী বলছে বিজ্ঞান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি দেশের অন্তত ২৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বিশেষ করে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহীসহ পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রবের কারণে জনমনে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে দেশবাসীর মধ্যেও।

পদ্মার তীরবর্তী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর চরেই জেঁকে বসেছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। গত তিন মাসে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরেছেন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি সাপ।

ওই চরে ভুক্তভোগীর এক স্বজন জানান, তার বোনজামাই ভুট্টা আনতে গেলে সাপ ছোবল মারে। সেই সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরে তার বোনজামাইকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টিভেনম দিলেও বিষক্রিয়া থামানো যায়নি। পরে রাজধানী ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনে জেগে উঠতে পারে প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন। রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপগুলো কীভাবে নিজের শরীরে এমন প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করে?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপের বিষ হলো একটি অত্যন্ত বিষাক্ত লালা। সাপ তার মাথার পিছনের দিকে চোখের নিচে থাকা অতিক্ষুদ্র গ্রন্থিগুলোতে তৈরি করে এই বিশেষ লালা। এই গ্রন্থিগুলো সাধারণত পেশীবহুল আবরণে আবদ্ধ থাকে।

উৎপন্ন এই বিষ অ্যালভিওলি নামক অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রন্থিতে জমা হয়। ছোবল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থি থেকে অতিসরু নালী দিয়ে সাপ এর ফাঁপা বিষদাঁত (ফ্যাং) দিয়ে শিকারের রক্তনালীতে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। নির্গত এই বিষে ২০ টিরও বেশি বিভিন্ন যৌগ রয়েছে, যা বেশিরভাগই প্রোটিন এবং পলিপেপটাইড। এই বিষ শিকারের স্নায়ুতন্ত্রসহ পেশিকে অকেজো করে দেয়।

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ যাকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আবারও দেখা মিলছে এই সাপের। গবেষকরা বলছে, প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে স্বভাব পরিবর্তন করছে রাসেলস ভাইপার।

সাপ ও সরীসৃপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, সঠিক সার্ভে না করেই বাংলাদেশ থেকে রাসেলস ভাইপার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপটি টিকে ছিল। পরবর্তীতে গঙ্গা হয়ে পদ্মা দিয়ে ২০০৯-১০ সালে ভেসে এসে পদ্মার চরাঞ্চলে অবস্থান নেয়। পরে তারা বংশ বিস্তার করে এবং বন্যায় এগুলো বিভিন্ন জেলায় ভেসে যায়।

চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মিলছে যেসব এলাকায়, সেখানকার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানালেন, সংকট আছে অ্যান্টি ভেনমের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অ্যান্টি ভেনেমের কোনো সংকট নেই।


আরও খবর



মধ্য গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ‍উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে গাজার এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলা ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি বলেন, আল-আকসা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে দেইর এল-বালাহ শহরের পূর্ব অংশে যেতে দেখেছি। ওই অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ওই হামলায় হতাহতদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনও রয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তৃতীয়জনকে হাসপাতালে আনা হয় ও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১২ নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুন) রাতে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই স্কুলটি পরিচালনা করতো জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। হামলার সময় স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, স্কুলটিতে হামাস যোদ্ধারাও আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের একটি স্কুলে শিশুসহ কয়েক ডজন লোককে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে। তাছাড়া মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আল জাজিরা আরবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। এর আগে রাতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্য গাজার একটি মিউনিসিপ্যাল ​​অফিসে হামলা চালালে নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আল-মাঘরিসহ পাঁচজন নিহত হন।

এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা ও মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজায় কাজ করা নার্স ও মেডিকেল রেফারেন্ট কারিন হাস্টার বলেছেন, আল-আকসা হাসপাতাল এখন একটি ডুবন্ত জাহাজ। আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের মরদেহ রাখতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। হাসপাতালটির জরুরি কক্ষের ভিতরের দৃশ্য এখন গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গুরুতর আহত অবস্থায় আল-আকসায় আসা অধিকাংশ মানুষই মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসা কর্মীরা বলছেন, আমরা রোগীদের ছেড়ে দিচ্ছি না কিন্তু নানা সংকটের কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাও দিতে পারছি না। জানি না, কবে সবকিছু ঠিক হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ জন।


আরও খবর