ঢাকা-টাঙ্গাইল
মহাসড়কে ক্রমেই ঘরে ফেরা মানুষ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের
চাপ। এতে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি
ধীর গতিতে চলাচল করছে।
গণপরিবহণ বন্ধ
থাকায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গন্তব্যের অপেক্ষায় শতশত মানুষ। যাদের
অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ।
রবিবার সকাল সাড়ে
এগারোটায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতীর বিরোতি রিসোর্ট এলাকায় দেখা গেছে সড়কের
দুই পাশে গন্তব্যের অপেক্ষায় কয়েক শতাধিক মানুষ। যাদের অধিকাংশ ধানকাটা শ্রমিকসহ নিম্ন
আয়ের মানুষ।
প্রায় কয়েক শতাধিক
ধানকাটা শ্রমিকসহ অন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম। ট্রাক ও অন্যান্যে যানবাহনের
হাকানো ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাবার সাধ্য তাদের নেই। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, বড়লোকরা
অনেক টাকা দিয়ে হাইয়েচ ভাড়া করে যেতে পারছে। আমরা কিভাবে যাবো। আমরা এখানে কোথায় থাকবো,
কী খাবো? তাদের দাবী বাস চললে কম টাকায় তারা বাড়ি যেতে পারতাম। এখন কী হবে জানিনা।
সকালের দিকে মহাসড়কে
যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি
পেয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৩২ হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি বিশ লাখ টাকা। যা গত ২৪ ঘন্টার তুলনায় ৬ হাজার
যানবাহন পারাপার ও ৩৫ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ফলে এই অতিরিক্ত চাপের বঙ্গবন্ধু সেতু
পূর্ব থেকে থেকে কালিহাতির এলেঙ্গায় পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দুই লেনের সড়কে যানবাহনকে
ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।