আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

হেফাজতের ২৩ মামলা তদন্তে সিআইডি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৩ সালে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে আসছিল হেফাজত। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সেসব মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হেফাজতে ইসলামের নানা কর্মসূচির নামে চালানো নাশকতার মামলাগুলো অতি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাশকতায় জড়িতরা যাতে কোনো ধরনের ছাড় না পায় এবং তদন্তে যাতে ফাঁকফোকর না থাকে, সে জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঝুলে থাকা মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করারও চিন্তা রয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে এরই মধ্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ ২৩টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। গত রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে আসছিল হেফাজত। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সেসব মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দেড় শতাধিক। এর মধ্যে মাত্র চারটি মামলার তদন্ত শেষ করতে পেরেছে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাগুলো তদন্ত করছে। তবে অগ্নিসংযোগ, ডিভাইস ব্যবহার করে লোকজনকে জড়ো করা এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনায় প্রয়োজনীয় ফরেনসিক আলামত সংগ্রহ ও তা পরীক্ষাসহ যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তদন্ত কর্মকর্তাদের। এ জন্য নিবিড় তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক প্রমাণের জন্য ২৩টি মামলা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, হেফাজতের নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো সিআইডি মূলত নাশকতার ঘটনার ফরেনসিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়টি প্রমাণ করবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর এরই মধ্যে আলামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও সংগ্রহ ছাড়াও গণমাধ্যম থেকেও ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে। সিআইডিপ্রধান বলেন, ফরেনসিক তদন্তে নাশকতার প্রমাণ করতে পারলে অপরাধীদের ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সিআইডি সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। ওই নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা হয়। ২০১৬ সালেও হেফাজতসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন ওই জেলায় তাণ্ডব চালায়। এসব ঘটনায়ও পাঁচটি মামলা হয়। ওই ১৫টি মামলা এত দিন জেলা পুলিশ তদন্ত করে এলেও তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। এ ছাড়া স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর এবং চলিত মাসের শুরুর দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নাশকতা চালায় হেফাজত ও তাদের সমর্থকরা। প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও সিরাজদীখানেও নাশকতা চালানো হয়। ওই ঘটনাগুলোতে দায়ের করা আটটি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় অন্তত ৫৫টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আগেরও বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এত দিন ধরে এসব মামলা জেলা পুলিশ তদন্ত করে আসছিল। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় বেশ কিছু মামলার তদন্তের দায়িত্ব অন্যান্য তদন্ত সংস্থার মধ্যে বণ্টন হয়েছে। সিআইডি ছাড়াও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভাগও বেশ কিছু মামলার তদন্ত দায়িত্ব পেয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ইউনিট বা কর্মকর্তার সংশ্নিষ্টতা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হেফাজতের তাণ্ডব ও নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মনিটর করছে পুলিশ সদর দপ্তর। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাই তদন্ত সংস্থার লক্ষ্য। তাই প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বেশ কিছু মামলা এরই মধ্যে সিআইডি ও পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক তদন্তের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে লিচু চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সোনারগাঁয়ে এখন প্রতিটা বাড়ির আঙিনা ও উচু জমিতে ব্যপক ভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লিচু ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে এখন  ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু।

তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন অনেকটা কম হয়েছে। তাছাড়া গুটি থাকার সময় শিলাবৃষ্টিতে লিচুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত।

খরার কারণে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ বাগানের লিচু। অনাবৃষ্টি ও অতি তাপের কারণে লিচুর সাইজও হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ছোট। এ বছর বেশিরভাগ লিচু ব্যবসায়ীই লিচুর সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

সোনারগাঁয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর ফলন হয়ে থাকে। পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু।

বাংলাদেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। যে কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু প্রতিবছরের মে মাসের প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় লিচু চাষিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই শতাধিক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে প্রতিবছর পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচুর ফলন হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লিচুচাষিরা তাদের লিচু বাগানে অব্যাহতভাবে পাহারা দিচ্ছেন। কাক, বাদুর, চামচিকা ও চোরের হাত থেকে লিচু রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ফলন খুবই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝরে পড়েছে। তাছাড়া আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তাই এবছর লিচু ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে তোলা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কেমিক্যাল প্রয়োগ করে না। তবে লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোন জাতীয় ওষুধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়। তবে পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তাই এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তিভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর



স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা প্রকাশ্যে দেখাবেন না। বিলটি এবার যাবে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি-র কাছে অনুমোদনের জন্য। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

একবছর আগে ন্যাশভিলের স্কুলে গুলিচালানোর ঘটনায় তিন শিশু-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিলে বলা হয়েছে, স্কুলের ভেতরে কেউ যদি বন্দুক নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে প্রতি বছর ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন না। বন্দুক গোপন রাখতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন। তার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং বন্দুকধারীর পরিচয় দিতে হবে।

রিপাবলিকানদের সংখ্যাধিক্য থাকা টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি যখন পাস হয়, তখন দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আপনাদের হাতে রক্ত লেগে থাকবে।

রিপাবলিকান নেতা রিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, একটি প্রতিরোধক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যজুড়ে গুলির ঘটনা থামানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ও চারজন রিপাবলিকান বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা জাস্টিন জোনস বলেন, রিপাবলিকান সহকর্মীরা আমাদের রাজ্যকে বন্দুকের নলের সামনে রাখছেন। তারা বন্দুক প্রস্তুতকারকদের সাহায্য করছেন। নৈতিক দিক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

জিফোর্ড ল সেন্টারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে স্কুলের কর্মী ও শিক্ষকরা স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুকধারীদের তাণ্ডবে অনেক শিশু ও শিক্ষকের প্রাণ গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে গোলাগুলির এক বছর পর বিলটি পাস হলো।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর