আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সংগঠনের প্রধান নিরীক্ষকের তথ্য

হেফাজতের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বাবুনগরী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ঢাকা ঘেরাও এবং এর অংশ হিসেবে শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি যখন তুমুল সাড়া জাগায়, তখন আন্দোলন সফল করতে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সহায়তা আসছিল। সে সময় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন

রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি 'সফল' করতে নানা উৎস থেকে টাকা নিয়েছিল সংগঠনটি। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকাও সে সময় অন্তত ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই অর্থের অন্তত এক কোটি টাকার হিসাব দিতে পারেননি হেফাজতের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। পুরো টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে জনপ্রিয় একটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান নিরীক্ষক (অডিটর) মাওলানা সলিমউল্লাহ।

সংগঠনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে দফায় দফায় চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সঙ্গে থাকা খাদেম (একান্ত সচিব) মাওলানা ইন'আমুল হাসান ফারুকীর মাধ্যমে চেষ্টা করা হলে তিনি জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন বলে জানান। পরে তাকেও পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার রাত ও শনিবার বিকেলে মাওলানা সলিমউল্লাহর সঙ্গে দুই দফায় কথা হয় ওই সংসাদপত্রটির। এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা ঘেরাও এবং এর অংশ হিসেবে শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি যখন তুমুল সাড়া জাগায়, তখন আন্দোলন সফল করতে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সহায়তা আসছিল। সে সময় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও নগদ ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন সংগঠনের তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে। কিন্তু সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দেন তিনি।

মাওলানা সলিমউল্লাহ বলেন, শাপলা চত্বরে আন্দোলন চলাকালে হুজুরকেও (হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ্‌ আহমদ শফী) অনেকে টাকা-পয়সা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো টাকা তিনি নিজের কাছে তেমন একটা রাখতেন না। একদিন হুজুর নিজ হাতে তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকাও তিনি হজম করে ফেলেছেন।

শাপলা চত্বরে আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। কারাভোগের পর তিনি জামিনে বেরিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। মাওলানা সলিমউল্লাহ এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে একদিন তার মেয়ের এক ভাসুরকে পাঠান এবং তার মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে সংগঠন থেকে ২০ লাখ টাকা নেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া দূরে থাক, কোনো হিসাবই দেননি তিনি। চিকিৎসার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে; সেটাও কারও জানা নেই। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় সংগঠন থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। সংগঠনের তৎকালীন মহাসচিব হিসেবেও অনেকে তার কাছে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো হিসাব নেই।

২০১৬ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত হেফাজতের প্রধান নিরীক্ষক ছিলেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। তবে জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে অর্থের হিসাব চাওয়া এবং এ বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করায় তাকে শেষ পর্যন্ত প্রধান নিরীক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে হেফাজতের যে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি রয়েছে, সে কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। অবশ্য কাগজ-কলমে নাম থাকলেও কয়েক মাস ধরে হেফাজতের সঙ্গে তেমন একটা সম্পৃক্ত নন ফটিকছড়ির নাজিরহাট আল জামিয়াতুল ফারুকীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) মাওলানা সলিমউল্লাহ।

আর্থিক অনিয়মের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মাওলানা সলিমউল্লাহ বলেন, ২০১৬ সালে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ্‌ আহমদ শফী আমাকে হেফাজতের প্রধান নিরীক্ষক করে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর সংগঠনের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে গিয়ে দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয়। মূলত শাপলা চত্বরে আন্দোলনের সময় বিভিন্নভাবে নেওয়া টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে এ সমস্যা তৈরি হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি- সেটা মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী চাইতেন না। তাই যখনই আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করি, তখন পদাধিকারবলে আমার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দেন তিনি। যখন যাকে পছন্দ তাকে প্রধান নিরীক্ষকের দায়িত্ব দেন। অবশ্য কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে প্রধান নিরীক্ষকের পদ দেওয়া হতো। এভাবে তিনবার কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রামের চাক্তাই মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লোকমান হাকিম।

আমি যখন প্রধান নিরীক্ষক ছিলাম, তখন সে কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে তথাকথিত হেফাজতের কমিটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

শাহ্‌ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠভাজন ছিলেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। কয়েক মাস আগেও ফটিকছড়ির আল জামেয়াতুল আরাবিয়া নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি। তবে আহমদ শফী ইন্তেকাল করার পর তাকে সে পদ থেকে সরিয়ে দেন জুনায়েদ বাবুনগরী ও তার সমর্থকরা। তবে এর নেপথ্যে আরও গভীর রহস্য রয়েছে বলে মনে করেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। তিনি বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ মারা যাওয়ার পর ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার শরীফের পীর মুজিবুল হক মাইজভাণ্ডারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য কওমিদের সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করেছিলেন তিনি। একাধিকবার আমার মাধ্যমে শফী হুজুরকে দিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে ফোন করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেটা করিনি। এমন প্রেক্ষাপটে তার সঙ্গে বাবুনগরীর সুসম্পর্ক হয়। শফী হুজুর ইন্তেকাল করার পর তারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে দেন।

ফটিকছড়িতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি সংগঠন রয়েছে। প্রায় ২২ বছর ধরে জুনায়েদ বাবুনগরী সভাপতি ও সলিমউল্লাহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও মাদ্রাসার পাশাপাশি সেই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সলিমউল্লাহকে।

রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চলাকালে কথিত নাস্তিক-ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি শেষে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজতের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। দিনভর বিভিন্ন স্থাপনা, যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন ৬ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় রাজধানীসহ রদশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ২২ কর্মীসহ ৩৯ জন নিহত হয়। সূত্র : সমকাল


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার এ এম খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের চিঠি পৌঁছে দেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্টের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি।


আরও খবর



মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় ট্রলারডুবি, জেলের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে হারুন মাঝি (৫০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১০ মে) ভোরে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কাঠিরমাথা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন মাঝি একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কালিকা নগরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা বাকি দুই জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হারুন মাঝিসহ তার তিন ছেলে ধনিয়া কাঠিরমাথা মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। শুক্রবার ভোরের দিকে একটি কার্গো জাহাজ এসে তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কায় দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় জেলেদের চিৎকারে স্থানীয় জেলেরা ছুটে এসে দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও হারুন মাঝি নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। দু’ঘণ্টা পর অপর এক জেলের জালের সঙ্গে হারুন মাঝির মরদেহ নদীর পানিতে ভেসে ওঠে।

ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ জেলের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ২০/০৫/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২১/০৫/২০২৪ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।

এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে ২০ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এবার আবারও ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর