আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

হলুদ তরমুজ চাষে ১০ গুণ বেশি লাভ দেখছেন জয়পুরহাটের চাষিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

কৃষির উপর নির্ভরশীল দেশের উত্তরের জেলা জয়পুরহাট। ধান ও আলুর উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের কৃষকরা এবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক রকমের তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। কম খরচে অধিক লাভ আর বারোমাস ফলন হওয়ায় এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচা পদ্ধতিতে বিদেশী নানান জাতের এই তরমুজের চাষ।

পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্টি, ভূতড়াড়ি ও মাধাইনগর এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে অসময়ের ফসল এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকরা। সাধারন  অসময়ে ক্ষেতে তরমুজ মাচায় মাচায় ঝুলছে চায়না ও থাইলান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজ। বাজার মূল্য অনেক ভালো হওয়ায় ধানসহ অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে কালচে ও হলুদ রঙের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। খাদ্য গুণাগুণে সমৃদ্ধ এ ফলের ভেতরে দেখতে লাল ও রসাল, খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি। ফলে বাজারে এ তরমুজের চাহিদাও অনেক বেশি। বর্তমানে এ তরমুজ জেলার বিভিন্ন আনাচে-কানাচে বিক্রির পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা সহ  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি গ্রামের সোহেল, সুজাউল, ডাবলু, দুলু মিয়াসহ অনেকেই বিদেশী জাতের এই তরমুজের চাষ করছেন। জমিতে বেড করে মাটির সঠিক আদ্রতা ধরে রাখতে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ১৮ ইঞ্চি ফাঁকে জুন মাসে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের বীজ রোপন করেন কৃষকেরা। পুরো ক্ষেতে বাঁশের খুঁটির উপরে চিকন দড়ি জালের মতো করে বিছিয়ে মাচা তৈরী করা হয়েছে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ও কুঁড়ি আসে। আর ৭০-৮০ দিনে পরিপক্ক হয়ে মাচার ডগায় ডগায় ঝুলে পড়ে হলুদ, কালো, ডোরাকাটা নীল রঙের এ তরমুজ। ওইসব তরমুজের ওজন আড়াই থেকে চার কেজি হয়। এখানকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বলে দাবী চাষিদের। চহিদা বেশি, ভলো দাম পাওয়ায় খুশি বলেও জানান তারা। অন্যান্য ফসলের মতো তরমুজ বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাজীপাড়া গ্রামের সফল তরমুজ চাষি পাপ্পু মন্ডল বলেন, পাশের গ্রাম ভূতগাড়ী এলাকায় তরমুজ চাষ হচ্ছে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার ১০ শতাংশ জমিতে বেড করে চায়না ও থাইল্যান্ডের মধুমালা জাতের তরমুজের বীজ বপন করি। ৪০দিনের মধ্যে গাছে প্রচুর ফুল ও কুড়ি আসে। এখন মাচায় ডোগায় ডোগায় দোল খাচ্ছে আড়াই থেকে চার কেজি ওজনের তরমুজ। তরমুজগুলো কাটলে ভেতরে টুকটুকে লাল, রসাল আর খেতে মিষ্টি ও খুব সুস্বাদু। বর্তমানে বাজারে এ তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। খরচ বাদে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রী করার আশা করছেন পাপ্পু মন্ডল।

পাশের তরমুজ চাষি দোলন কুমার বলেন, এক ময় ধান, আলু, বেগুনসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতাম। অনেকেই বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ করছে দেখে আমি এবার পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে তিন রকম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। ১ বিঘায় খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে বলে জানান দোলন কুমার। তিনি বলেন- জমিতে থাকা তরমুজ বিক্রি হবে আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সবকিছু মিলিয়ে খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকবে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে দেখা গেল তরমুজের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। আবার কেউ কেউ তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন জমি থেকে। অসময়ে এ তরমুজ বাজারে বিক্রি হয় ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে এবং জমির পাশে রাস্তায় বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে।

কথা হয় তরমুজ ক্ষেত দেখতে আসা ইলিয়াস, আলমগীর হোসেন, কনকসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ হচ্ছে এবং এর ফলনও বেশ ভালো। এছাড়া স্বাদ ও গুনগতমান ভালো হওয়ায় এখন আগ্রহভরে তরমুজ চাষের জন্য পরমর্শ নিতে আমাদের মতো অনেকেই আসছেন।

জয়পুরহাট পৌরশহরের তরমুজ ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, আওলাই ইউনিয়নের উৎপাদিত তরমুজগুলোর গুনগত মান অনেক ভালো। এ এলাকার তরমুজগুলো বিষ ও ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা অপনেক বেশি। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত কিনে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশন এসো সর্ব প্রথম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভাড়াহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা মাত্র আড়াই শতক জমিতে মাচায় বস্ন্যাকবেরি মধুমালা তরমুজ চাষ শুরু করেন। মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে এ তরমুজের চাষ করে ৭০ দিনে লাভ হয় ২২ হাজার টাকা। তার এ সাফল্য দেখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষ চড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন  এলাকায় প্রায় ৪০০ বিঘার বেশি জমিতে এই তরমুজের চাষ চলছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও এসো এনজিও নির্বাহী পরিচালক মোঃ মতিনুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস ও এনজিওর উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে এলাকার কৃষকেরা অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে আগামী বছরে এ জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি জানান, জেলার তিনটি উপজেলয় প্রায় ৪০০ বিঘারও বেশি জমিতে এবার মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। ইয়োলো, গ্রিন, বস্ন্যাকবেরি, মধুমালা, জেসমিন ও তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউনসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ এখানে হচ্ছে। এলাকারয় তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ এবং বালাইনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতির এ তরমুজ চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। সফল হওয়ায় এ তরমুজ চাষ নিয়ে এলাকার কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত, আহত ৬

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয় শ্রমিক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-মোস্তফা (৫৫) এবং মিলন (৩৫)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুরে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে আহত মোট আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বজ্রপাতের পর ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত।

শরণখোলা থানার ওসি বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর



আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, মোজাফফর হোসেন জয়ের সার্বিক সহযোগিতায়, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে আশুলিয়ায় পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করেছে সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে, সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের শেরআলী মার্কেট শাখা এই শরবত বিতরণ করেছে।

শেরআলী মার্কেট শাখা টিম লিডার ইমাম হুসাইন বলেন, আমরা পানীয় লেবুর শরবতের পাশাপাশি খাবার সেলাইন ও পানির বোতল বিতরণ করছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের অন্যান্য শাখা টিম এই কাজ চলমান রাখবে যতদিন তাবদাহ থাকবে। এছাড়াও দেশের এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে, আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলমান রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমাদের সকল শাখা টিম একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোজাফফর হোসেন জয় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজকের দর্পণের আশুলিয়া প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খাইরুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য মোঃ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকে এসময় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন জয় জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। বিশেষ করে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তায় বেড় হলে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে হিটস্ট্রোকের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই শরীর শীতল রাখার জন্য সামাজিক ব্লাড ডোনার টিম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে  আরও জানান, রাস্তায় বেড় হলে রোদ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য ছাতা ও একটি পানির বোতল সঙ্গে নিতে। যাতে হিটস্ট্রোকের মতো ঝুঁকি থেকে আমরা সকলে রেহাই পেতে পারি।

উল্লেখ্য এই সংগঠনটির উদ্যোগে এর আগেও ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ও রক্ত দেওয়াসহ নানা রকম সামাজিক কাজ করে আসছে।


আরও খবর