ক্যারিয়ার নিয়ে একসময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এ হতাশা তাঁকে এতটাই কাহিল করে রেখেছিল যে আত্মহত্যার ভাবনাও ভেবেছিলেন অভিনেত্রী। তখন পাশে দাঁড়ান তাঁর মা। মেয়েকে নিয়ে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেই অন্ধকার সময় থেকে মুক্তি পান দীপিকা। নানা সময়ে তিনি নিজের হতাশা নিয়ে মুখ খুলেছেন। শুধু স্বীকার করাই নয়, সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কাজও করে চলেছেন দীপিকা।
নিজে ভুক্তভোগী বলেই হয়তো ভালোভাবে বুঝেছিলেন অবসাদ, স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সবার মধ্যে। তাই ২০১৫ সাল থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে দীপিকার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘লিভ লাভ লাফ’। প্রাথমিকভাবে এ সংগঠন কর্ণাটক ও ওডিশার শহরকেন্দ্রিক কাজ করলেও এখন দীপিকার লক্ষ্য, গ্রামীণ অঞ্চলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
সেই উদ্দেশ্যেই গত শনিবার তামিলনাড়ুর থিরুভালুর জেলায় অভিনেত্রী শুরু করলেন রুরাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম। এ দিন সংস্থার অন্যান্য ট্রাস্টি ছাড়াও দীপিকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন ও সংস্থার সিইও অনিশা পাড়ুকোন ও তাঁদের মা উজ্জলা পাড়ুকোন। সেখানে দীপিকা বলেন, সাত বছর আগে যখন এ সংস্থার কাজ শুরু করেছিলাম, চেয়েছিলাম অন্তত একজনের জীবনেও যদি পরিবর্তন আনতে পারি, সেটাও হবে অনেক। তখন আমরাই ছিলাম প্রথম, যারা এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি। এত দিনে বহু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি আমরা। আজ মানুষ নিজের সমস্যার কথা আমাদের জানাচ্ছে, সাহায্য চাইছে। কয়েক বছর আগেও কোনো গ্রামে এই ধরনের কাজ করার কথা ভাবাও যেত না। থিরুভালুর দিয়ে শুরু করে আমরা গ্রামীণ কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
এ সময় স্থানীয় অনেক এনজিওকর্মীও ছিলেন দীপিকার সঙ্গে। তাঁদের নিয়ে দীপিকা ও অনিশা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতেও যান, যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।