আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও তিন দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। এ ছাড়া লাতিন আমেরিকার দুটি এবং আরব বিশ্বের আরও একটি দেশ ইসরায়েল থেকে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

বলিভিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি ইসরায়েলের সমালোচনা করে সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় আক্রমণাত্মক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করছে ইসরায়েল। ২৩ লাখের মানুষের এই উপত্যকায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে ইসরায়েলি সেনারা। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে বলিভিয়া সরকার। সেই সঙ্গে গাজাবাসীর জন্য সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

বলিভিয়ার প্রতিবেশী কলম্বিয়া এবং চিলিও গাজায় বেসামরিক মানুষ হত্যার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল থেকে নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জর্ডান। একই সঙ্গে আম্মানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে আর জর্ডানে না ফেরার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল-সাফাদি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করলেই রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ পদে ফিরবেন। এরই মধ্যে বিষয়টি ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিতে নিজ দেশের মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মিসরের পর দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র জর্ডান।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। টানা বোমা হামলার মধ্যেই গত শনিবার সেখানে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকেই হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল লড়াইয়ের খবর আসছে।

মাত্র তিন সপ্তাহের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার শিশু রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সংঘাতে মোট যত শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জতিক শিশুবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।


আরও খবর



অপেক্ষার প্রহর শেষ, কুতুবদিয়া পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাসের এই ঝঞ্ঝার পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। এখন নোঙর করবে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি মোটরসাইকেলে দুজন বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা গরুবোঝাই নছিমনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

হাকিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর



নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়ালের ওপর হামলা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জলের সমর্থক শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান ও ইউপি সদস্য দেলোয়ার আকন, ইউপি সদস্য দুলাল মোল্যা, মামুন আকন ও ইউসুফ মুন্সীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শৌলপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভিডিও করতে গিয়ে ভোরের পাতার শরীয়তপুর ব্যুরো প্রধান জামাল মল্লিক, দেশ টিভি ও দৈনিক আমাদের সময়ের শরীয়তপুর প্রতিনিধি রোমান আকন্দ এবং দৈনিক প্রতিদিনের শরীয়তপুর প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হামলার শিকার হন।

হামলায় মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা ধাওয়া করে। এতে মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থক ও তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

এর আগে বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল গাড়ি নিয়ে চন্দ্রপুর বাজার দিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ঘোড়া প্রতিকের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করে। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নুরুল আমিন কোতোয়াল বলেন, চন্দ্রপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা বাঁধার সৃষ্টি করে৷ এরপর আমরা শৌলপাড়া বাজারে পৌঁছালে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক ও তিনজন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক জামাল মল্লিক, রোমান আকন্দ ও আশিকুর রহমান বলেন, শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচারণার সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছি। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সন্ধ্যায় শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার চলছিল। এ সময় ঘোড়ার সমর্থকরা বাধাঁ দেয়। এর সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন তিন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর