আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার (২২ জুন) জামা ইসলামিয়া গ্রুপ তাদের কমান্ডার আয়মান গোতমেহের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা এলাকার খিয়ারায় অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে তারা সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ফজর ফোর্স, জামা ইসলামিয়া সশস্ত্র শাখা এবং হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী ছিলেন আয়মান গোতমেহের।

এদিকে রোববার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে, তার যোদ্ধারা খিয়ারা শহরে ইসরায়েলি শত্রুদের হাতে তাদের কমান্ডার হত্যার জবাবে বেইত হিলেল ব্যারাকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই ঘটনায় কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে হামলা চালানো হলে তার পরিণত কতটা ভয়াবহ হতে পারে সে বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ইরান।

শুক্রবার (২১ জুন) ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইসরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে তা হবে দেশটির চূড়ান্ত পরাজয়।


আরও খবর



পাড়া-মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

আজ সোমবার সকালে মহল্লায় মহল্লায় নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।

এদিকে, চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।

এদিকে, কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজকে কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি দেবেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কসাই না পাওয়ায় প্রথম দিন পশু কোরবানি করছেন না।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে রেমালের অজুহাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের পর নিত্যপণ্যের বাজারে এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাত। দাম বেড়ে গেছে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের। তবে সামান্য কমেছে মুরগির দাম। ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা, কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।’

স্বস্তির খবর নেই ডিম ও গরুর মাংসের বাজারেও। তবে দাম কমেছে সব ধরনের মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে মুরগির বাজারে। তীব্র গরমের কারণে প্রচুর মুরগি মারা গেলেও এর হার এখন কমে এসেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা কারণ বা অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের। যদিও দাম কমার সময় কমে খুবই সামান্য।

মশিউর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোনো একটি পণ্যের দাম ১০ টাকা বাড়লে, কমার সময় কমে মাত্র ১-২ টাকা। আবার যখন বাড়ে, তখন বাড়ে ৫-১০ টাকা। তাহলে ২ টাকা কমিয়ে লাভ কী!

আদনান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এখন ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। চাহিদা-যোগানের কোনো ভিত্তি নেই। কোনো একটা ছুতো পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ইলিশ বাদে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারে। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। এর প্রভাবে মাছের দাম একটুও কমেনি।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাছ বিক্রেতা জয়ন্ত বলেন, মাছের দাম একটু চড়াই। এ সপ্তাহে নতুন করে খুব একটা দাম বাড়েনি। কোনো কোনো মাছের দাম হয়তো ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাছের ঘেরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামনে দাম বাড়তে পারে।’

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৫০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়।

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার বাজারও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজারে দাম বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর আদা কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর



শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিদ্বন্ধী দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত'র কর্মী টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, খান মতিয়ার রহমান, আলমগীর শিকদার, ওবায়দুল আকন, ময়নুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের কর্মী আসাদ কবিরাজ, মাসুম তালুকদার, শাহিন গাজী, মাহাবুব মোল্লা, মেহেদী হাসান, জলিল হাওলাদার। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আসাদ কবিরাজ, ওবায়দুল আকন ও খান মতিয়ার রহমানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তার কর্মী সমর্থকরা শরণখোলা বাজারে একটি পথসভা করছিল। এসময় প্রতিদ্বন্ধী দোয়াত কলমের প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী পথসভায় হামলা চালায়। ওই হামলায় তার ছয়জন কর্মী আহত হয়।

দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, পূর্বে হামলার শিকার তার দুই কর্মীকে দেখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শরণখোলা বাজারে যান। সেখানে একটি সভা চলতে দেখে তিনি গিয়ে কিসের সভা চলছে বলে জানতে চান। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমানকে দেখে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আনারস প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তার ছয়জন কর্মী সমর্থক আহত হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল) আসিকুর রহমান শরণখোলায় এসে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।


আরও খবর



গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার জন্য ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে (৩২) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বুধবার রাতে ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন (৪০), একই এলাকার আব্দুস শুকুর (৩৩), আলীম উদ্দিন (৩০), মো. রুবেল (৩০) ও অজ্ঞাতপরিচয়ের তিনজন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, মামলার কথা তিনি পুলিশের মাধ্যমে জেনেছেন। এমন কোনো ঘটনায় জড়িত নন, এমনকি ওই নারীকেও চেনেন না বলে দাবি তাঁর।

মামলার আরজিতে বলা হয়, দাম্পত্য কলহের জেরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কাপ্তানপুর গ্রামের তিন সন্তানের জননীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী। এর পর থেকে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি। সংসারের প্রয়োজনে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ওলিপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এসে একটি দামি কোম্পানির বিস্কুট কারখানায় চাকরি নেন ভুক্তভোগী। ৮ জুন ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ির এলাকার ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় মামুন স্বামীর সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে তাঁকে চুনারুঘাটের শানখলা ইউনিয়নের রঘুনন্দন পাহাড়ে নিয়ে ছয় সহযোগীর সঙ্গে রাতভর ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বুধবার রাতে মামলা করেন। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ওই গৃহবধূ।

চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরির চক্রান্ত প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয় এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন) এ বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ লোক তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল - তিনি যদি বাইরের কোনো দেশকে বিমানঘাঁটি করার সুযোগ দেন তাহলে বিনা চাপে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করা এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। আপনি যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের দাবি করছেন; শেখ হাসিনা কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে খুব বেশি তীর ছুড়ছেন?

জবাবে মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এই মন্তব্যগুলো কাদের ইঙ্গিত করে করা হয়েছে। তবে যদি এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় - তবে আমি বলবো মন্তব্য সঠিক নয়।

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন- নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত রোববার আদালতকক্ষে আসামিদের অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো ঘেরে প্রবেশ করে বলেছিলেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে আছেন। একইভাবে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, আইনের শাসন এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমরা দেখেছি আপনি কিছু নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যার মধ্যে তাত্ক্ষণিকভাবে আছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধান। আপনি কি মনে করেন গত বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটা যথেষ্ট হবে? নাকি আপনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন, যেমনটা আপনি আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অনুমিত অপব্যবহার আইনের শাসন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

তিনি বলেন, আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ড. ইউনূসের জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা অব্যাহত রাখবো। তবে আমার কাছে পূর্বরূপ দেখানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নেই।


আরও খবর