আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আলুর কেজি ৭০ টাকা স্বাভাবিক মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রান্নায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত এই উপকরণটি বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত এই পণ্যটির চড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে, আলুর এ দামকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ মতামত জানান।

বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন কি না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু-পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে। এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দামের যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখব, সেটি বার বার বলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, যেকোনও প্রাইস নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি, তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে, সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারব না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অন্তত আমি পারব না। সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম জানা নেই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়... তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করেনি। এটা নিয়ে কোনও কিছু করণীয় আছে কি না সেটি দেখব। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের কি না সেটি দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের, তাই সাবানের দাম নির্ধানের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটি দেখে আপনাদের জানাব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।


আরও খবর



সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষে ১২ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।

এবার দেশের ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭২৫টি।

অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থগিত পরীক্ষাসমূহের রুটিন শিগগির ঘোষণা করা হবে। 

এর আগে ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছিলেন দেশের যেসব অঞ্চলে বন্যা হবে, সেখানে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

তিনি বলেছিলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পানিসীমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে বন্যা ছড়াবে, শুধু সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাজধানীর ২০ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুটি স্থায়ী হাটসহ ২০টি হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে কোরবানির পশুতে পরিপূর্ণ দেখা গেছে হাটগুলো। ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারাও।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসেনি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে হাটের মধ্যে রয়েছে: গাবতলীর স্থায়ী হাট, উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

ঢাকা দক্ষিণে হাটের মধ্যে রয়েছে: সারুলিয়ায় স্থায়ী হাট, খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানির তারিখ আগামী ১০ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

শুনানি পেছাতে আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানি করতে বলেন। পরে খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে বিষয়ে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে আবারও শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তিনি। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়। যা এখনও চলমান।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এখন এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৫ জন। ৯ আসামি মারা গেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউর কন্যা ইপ্সিতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে একে একে বের হতে থাকে মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শুধু মতিউর না তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে বেনামে থাকা সম্পদের তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য এবার ফাঁস হয়েছে।

মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কানাডায় নিজস্ব ফ্লাটে বসবাস করেন ইপ্সিতা। কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হইচই চলছে। তবে কানাডার চেয়ে দেশেই তার বেশি সম্পদ রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে।

ইপ্সিতার সম্পদ নিয়ে একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে, ২০২৩ সালে মতিউর কন্যার প্রকাশিত আয়কর ফাইলেই ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ইপ্সিতার।

আয়কর নথিতে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি আছে তার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল এলাকার সাততলা বাড়ি মালিক তিনি। বাড়িটির মূল্য অন্তত ৫০ কোটি হলেও আয়কর নথিতে তা ৫ কোটি দেখানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, বয়স ও পেশার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। বাবার প্রভাবে তার আয়কর ফাইল রাজস্ব বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান, আর স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চাওয়া মানুষেরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এখন দুদকের উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।


আরও খবর