আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনে নির্বাচন দিতে নারাজ জেলেনস্কি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী বছর শেষ হচ্ছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকারের মেয়াদ। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছে পশ্চিমারা। তবে যুদ্ধের সময় দেশে নির্বাচন আয়োজন দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে বলে এ ধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। যদিও কয়েক মাস আগেই বলেছিলেন, পশ্চিমাদের অর্থ সহায়তা পেলে তিনি দেশে নির্বাচন দেবেন।

নিয়ম অনুযায়ী, আগামী বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেন যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করতে পারে তা দেখাতে কিয়েভকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামসহ অন্যান্য পশ্চিমা কর্মকর্তা।

সোমবার নিয়মিত নৈশকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক চ্যালেঞ্জের দিকে মনোনিবেশ করা গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের ২০ মাস চলছে। ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। অধিকৃত এসব ভূখণ্ড উদ্ধারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র

তিনি বলেন, আমরা সবাই বুঝি। যুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচনের মতো বিষয়ে এমন ফালতুভাবে জড়ানো সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে।

অবশ্য এর আগে গত আগস্টে মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম নির্বাচনের আহ্বান জানালে জেলেনস্কি বলেছিলেন, মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আমাকে নির্বাচনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাকে বলেছি, আমাদের আইনপ্রণেতারা চাইলে সম্ভব। কারণ যুদ্ধকালীন নির্বাচনের জন্য আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। আমি তাকে বললাম আমাকে ৫০০ কোটি রিভনিয়া (ইউক্রেনীয় মুদ্রা) দিন। আমি এই পরিস্থিতিতে বাজেট থেকে এত অর্থ নিতে পারব না।


আরও খবর



চাকরির বয়স ৩৫ নিয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠান।

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



পাইকগাছায় নতুন রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে নতুন একটি বিকল্প রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার সরজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গড়ুইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে অত্র ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ অবস্থিত। এদিকে ইউপি পরিষদের পিছনে দান কৃত জায়গায় একটি কবরস্থান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত কবরস্থানের পার্শ্বে প্রায় ত্রিশটা পরিবারের বসবাস। এমতাবস্থায় উক্ত পরিবারগুলোর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম উল্লেখিত কবরস্থানের রাস্তা। সেকারণে এলাকাবাসী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (কেরু) বরাবর একটি বিকল্প রাস্তার জন্য গন সাক্ষরিত দরখাস্ত করেন।

চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু গণসাক্ষরিত দরখাস্ত বিবেচনা ও জনস্বার্থে বিকল্প একটি রাস্তা করার পরিকল্পনা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ইউপি সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে ৮ ফুট চওড়া ও ৪শ ফুট লম্বা একটি বিকল্প রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান গাউসুল করিম সরদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিউলি মনি, ইউপি সদস্য সরত চন্দ্র মন্ডল, আঃ মমিন গাজী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

উক্ত বিকল্প রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু'র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাইকগাছা

আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিজেপির মাইল ফলক ও বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই।

প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সময় বিকাল ৫টায় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে।

এছাড়া আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা কোচবিহারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর