আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার হিমসাগর

প্রকাশিত:শনিবার ২২ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব

সাতক্ষীরার হিমসাগর আম ইউরোপের বাজারে পাড়ি জমিয়েছে। গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আমের পর এবার সাতক্ষীরার নামকরা সুমিষ্টি আম হিমসাগর যাচ্ছে লন্ডন ও ইটালিতে। আম চাষীরা এবার ইউরোপের যুক্তরাজ্য ও ইতালি ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগালসহ মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলোতে আম রপ্তানি করছেন। ১৪টি বায়ার কোম্পানি এসব আম সংগ্রহ করছে এবং সাতক্ষীরার মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স-এর মাধ্যমে এই আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এক বছর আম বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আবারও বিদেশে আম পাঠাতে পেরে বেশ খুশি সাতক্ষীরার আম চাষিরা।


আম চাষ বদলে দিচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষিদের জীবনযাত্রা। ধানের পরিবর্তে সেই জমিতেই আম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কৃষকরা। জেলার এই আম অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে। সারাদেশে সাতক্ষীরা জেলার হিমসাগর আমের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম। এবছর আম মৌসুমে বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ায় আম চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। কৃষক, দিনমজুর থেকে অনেকেই হয়েছেন আমচাষী। প্রতি বছরই বাড়ছে আম চাষের পরিধি। তবে যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে আমের পরিবহণ খরচ বেশি পড়ায় আমের প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না চাষিরা। রাজশাহী থেকে ঢাকা পৌঁছাতে কেজি প্রতি আমের খরচ পড়ছে মাত্র এক টাকা ১৭ পয়সা। সেখানে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা পৌঁছাতে আমের কেজি প্রতি খরচ পড়ছে ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা। এরপরও গতকাল শুক্রবার থেকে ইউরোপের পথে সাতক্ষীরার আম। এদিকে দ্বিতীয় দফায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম। ৫ হাজার কেজি হিমসাগর আম ইতালি, ফ্রান্স ও লন্ডনে রফতানির জন্য সাতক্ষীরা থেকে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে এ মৌসুমে এই সাতক্ষীরা থেকে আম রফতানি শুরু হলো। আম চাষিরা বলছেন, বিদেশে আম পাঠাতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি।


সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, আগের দুই বছর প্রথমবার যে দামে আম রফতানি হয়েছিল, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি আম রফতানি হচ্ছে সাতক্ষীরা থেকে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধবকাটি ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ হাফিজুর রহমানের আম বাগান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে ৫ মেট্রিক টন হিমসাগর আম পাঠানো হয়েছে। রফতানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এসয় তাঁকে সহযোগিতা করেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম। সাতক্ষীরার মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স-এর মাধ্যমে এই আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ১৪টি বায়ার কোম্পানি জেলার প্রান্তিক পর্যায় থেকে এসব আম সংগ্রহ করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রপ্তানিকৃত আমের জন্য সাড়ে ৩শ চাষীকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রপ্তানিকারকরা ন্যায্য মুল্যে আম ক্রয় করে সকল প্রস্তুতি শেষে বিদেশে পাঠাচ্ছে। ফলে চাষী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে রেমিটেন্স আসবে বলে জানায় সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তর।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এর আগে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএও এর যৌথ কারিগরী সহায়তায় গত ৯ মে জার্মানীতে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ছাড়ে এক হাজার কেজি গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ জাতের আম। সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগেই বাজারজাত করা যায় সাতক্ষীরার আম। আমের স্বাদও বেশ ভালো। এসব কারণে ২০১৪ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও পর্তুগালে। গত মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে রপ্তানি বিঘ্নিত হলেও কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় এবং বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সফল প্রকল্পের সহযোগিতায় চলতি মৌসুমে ৮ মে থেকে গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ জাতের আম পাঠানোর মাধ্যমে বিদেশে আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ক হিমসাগর আম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২১ মে থেকে সরকারী ভাবে হিমসাগর আম পাড়ার কথা থাকলেও গত ১৫ দিন ধরে সাতক্ষীরার বাজারে দেদারসে হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে। এসব অপরিপক্ক আমের রং বাড়াতে ক্ষতিকর রাসায়নিক (ক্যামিকেল) মিশিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাচ্ছে মুনাফালোভী আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন আম চাষী ও আড়তদারদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার মনিটরিং কমিটিও নিয়মিত তদারকি করলেও আম বাগান বা গাছ তলায় কোন তদারকি না থাকায় আমে ক্যামিকেল মেশানো সহজ কাজ বলে মনে করেন আম চাষীরাও। বেশী লাভের আশায় অনেক আম চাষী অপরিপক্ক আম পেড়ে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তা বাজারে বিক্রি করছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে তথ্যানুন্ধানে এসব জানা গেছে।


ব্যবসায়িরা জানান, ক্ষতিকর ক্যামিকেল মেশানো আম সাতক্ষীরার বাজারে বিক্রি হয় না। বাজারে বর্তমানে আমের ভিতরে ৫০ ভাগ কাঁচা ও ৫০ ভাগ পাকা দেখেই পাইকাররা আম কিনে থাকে। ক্রয় করা আম ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকা বা তার বাইরে যেতে ৩/৪ দিন সময় লাগবে। ট্রাক থেকে তিন চার দিন পর আম আনলোড করার পর আমটি সম্পূর্ন পেকে যাবে। এ অবস্থায় আমে ক্ষতিকর কেমিকেল মেশানোর প্রয়োজনই নেই। তারা আরও জানান, বাজারে বর্তমানে প্রতি মন হিমসাগর আম ১৪ থেকে দুই হাজার টাকা, গোবিন্দভোগ ১৬ থেকে ১৮শ টাকায়, গোপালভোগ ১৪ থেকে ১৬শ টাকায় ও আটিগুটি সাত থেকে আটশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমচাষীরা জানান, আম বেচাকেনার জন্য সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে পাইকারি হাটবাজার ও আড়ত। আমের মৌসুমে ওই আম বাজারের আড়তে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আমগাছের আম বেচাকেনা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকররা এখানে এসে ট্রাক ট্রাক আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ী অনেকে কয়েক মাস আগে থেকেই এখানে এসে গাছ দেখে অগ্রিম আমসহ গাছ কিনে নেন। অনেকে এখন একেকটি আম গাছ কয়েক বছরের জন্য কিনে নেন, যা ফলন হবে সেটার জন্য। ওই সকল আম গাছের পরিচর্যা, দেখভাল, আমভাঙা, বাজারজাতকরণ, বেচাকেনাসহ সার্বিক এই আমকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থান।

কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বাইরে থেকে যারা আম কিনতে আসবেন, তাদেরকে কমপক্ষে তিন দিন কোয়ারিন্টিনে থাকতে হয়। এছাড়া আম চাষিদের সুবিধার্থে ২১ মে হিমসাগর, ২৭ মে ল্যাংড়া, ৪ জুন আম্রপালি ভাঙার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমের মৈৗসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত কলারোয়ায় ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। তবে তাপদাহে আম কিছুদিন আগে থেকে পরিপক্ক হয়েছে। তাই আমভাঙার দিন ও তারিখও এগিয়ে আনা হয়েছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, এবার সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজর ১শ হেক্টর জমিতে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি করা হবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় সফল প্রল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত আম রফতানি হচ্ছে। আশা করছি এই আম রফতানি ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে বাধা নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে আগামী ৫ মে এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার (৮ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভায় শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ৫ জুন উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।


আরও খবর



চাকরি দেওয়ার নামে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। জাহিদুল ইসলাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন আবু হেনা ফুল মিয়া (৪৬) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। তারা জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার একটি পাঁচতলার বাসার তিনতলায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে একই মহল্লার আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর তারা জাহিদুল ইসলামকে এসেনসিয়াল ড্রাগস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ এনে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা আর চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত দিতে তালবাহনা শুরু করেন।

চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল মিয়া তার নামীয় ব্র্যাক জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় অঙ্কের টাকা না থাকায় দুটি চেক নগদায়ন হয়নি। পরে গত ২৭ এপ্রিল ওই দম্পতি ও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট জজ আদালতের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

আইনজীবী ফরিদুজ্জামান বলেন, হজে যাওয়ার জন্য টাকা রেখেছিলাম। সেখান থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা ও আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ২০ দিনে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। তারা আমাকে ধারের টাকা ফেরত দেননি। পরে আমাকে চেক দিয়েছিল। সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছি।

মামলার বাদি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী ও ফুল মিয়ার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, প্রতারণার মামলায় এক দম্পতিকে রোববার ভোরে নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই-ভাগনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের (এমপি) স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে।

উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই, ভাগনেসহ ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিন আরা ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাগনে মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অপর প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম ও রেহানা আক্তার। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নেই।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

তবে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী থাকলে তা আইনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেসার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। 


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর