আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বনভূমি উজাড় করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ না করে অংশীজনের মতামত নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম জাহাঙ্গীরগর বাঁচাও আন্দোলন এর আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের  শিক্ষকরা।

সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের  শিক্ষার্থী জোবাঈদা মৌটুসী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী  প্রাপ্তি দে তাপসীর  সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ  ছাত্র ইউনিয়ন  কেন্দ্রীয় সংসদের একাংশের  সাধারণ সম্পাদক  রাকিবুল রনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৪ শত ৪৫ কোটির যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সেই  অর্থই অনর্থের মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা পেয়ে প্রশাসন খরচ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। পরকল্পনা ছাড়া যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করছে। গাছ কেটে উজাড় করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন লেকচার থিয়েটারে প্রতিটি কক্ষে ১০০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন  ৬২ টি কক্ষ তৈরি হচ্ছে। তাহলে নতুন ভবন তৈরি করার প্রয়োজন কোথায়? আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন মনে করছে টাকার ভাগ দিয়ে  আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে।  ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য ফারজান ইসলাম আন্দোলনকারীদের বলেছিলেন তোমাদেরও টাকার দরকার? তাদের কাছে  টাকাই সবকিছু। আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চর জন্য বরাদ্দ  দেওয়া হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া দরকার সেখানে না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ খরচের প্রবণতা প্রশাসনকে বন্ধ করতে হবে

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ১৫শত কোটি বরাদ্দের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মকর্তদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়ে যত্রতত্র  ভবন বানিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পাঁয়তারা করছে। আমার মনে হয় উইকেন্ড প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ই তার চরিত্র হারিয়েছে। উইকেন্ড প্রোগ্রামের টাকা জমিয়ে যখন কোন বিভাগ স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণ করতে চায়, তখন প্রশাসনও  নিজেদের টাকা খরচ না করার উল্লাসে সম্মতি জ্ঞাপন করে। কোথায় ভবন নির্মাণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হবে সে বিষয়টিও বিবেচনা করে না। আমাদের দাবি উন্নয়ন হোক তবে পরিকল্পিতভাবে

মাহা মির্জা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়ত মনে করছেন ক্যাম্পাসে অনেক বেশি বনভূমি রয়েছে। এর থেকে কিছু গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশের মোট আয়তনের তুলনায় বনভূমি অনেকটাই কম। এজন্য আমাদের দেশের যে প্রান্তেই বনভূমি রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। কারণ আমরা গেল গ্রীষ্মের মৌসুমে দেখেছি পরিবেশের তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনের উচিত পরিকল্পিতভাবে প্রকৃতি ধ্বংস না করে উন্নয়ন করা

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শুনে আসছি একটি মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিদের থেকে শুনে আসছি যে, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগে ক্লাশ করার জন্য ও শিক্ষকদের বসার জায়গার অভাব রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করে প্রশাসন একের পর এক নতুন  বিভাগ খুলছে । অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি লেকের পাড়ে রাস্তার পাশে নতুন কলা ভবন নির্মাণ করার ফলে রাস্তার পাশে গাড়ির শব্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ- পরিক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জহির রায়হান মিলনায়তনের ভিতরে গরমে বসা যায় না।এইভাবে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় কারা তার জবাব পাওয়া যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশরুম সংকট নিরসনে ভবন নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার। কিভবে নির্মাণ করলে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হবে না, কারো ক্ষতি হবে না সেভাবেই পরিকল্পনা করা দরকার। পূরাতন অব্যবহৃত ভবনগুলো  ফেলে না রেখে সেগুলো বহুতল ভবনে রুপ দিয়ে চাহিদা মেটানো যেত। আমরা জানাতে চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধান করা হোক।

সংহতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক  মাফরুহী সাত্তার, বাংলাদেশ পরিবেশ  আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর,  ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এর শিক্ষক অলিউর রহমান সান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ,জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সাবেক সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন  গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদিকুল ইসলাম সোহেল,  পরিবেশ উপ-পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক  পারভীন ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক  মেহের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক  সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা মাহাথির মোহাম্মদ, সাভার উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, পরিবেশ বিষয়ক উপ পরিষদের সদস্য সৈয়দ রত্না।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে।

এর আগে ২ মে নির্ধারিত সময় শেষে মোট এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপের ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা ভোটে অংশ নিতে এবার প্রার্থীদের জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপের সব প্রার্থীই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এদিকে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ ছাড়া পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এবং সুনামগঞ্জের ছাতকে সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচন ছাড়াই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করতে পারে ইসি।

এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটের লড়াই শেষ হয়েছে।

ইসি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলায় চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৯ জন রয়েছেন। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ মে।


আরও খবর



দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যশোরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টাই যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই মৌসুমে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি আজ ছাড়িয়ে যশোরে সর্বোচ্চ পারদ উঠল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।

তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।


আরও খবর



গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি মোটরসাইকেলে দুজন বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা গরুবোঝাই নছিমনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

হাকিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর