আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন ঘাট থেকে শুরু হয়ে এফডিসি ঘাট পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম নৌ শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নৌ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মৎস্যজীবীগণ ও মৎস্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নৌ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য। এজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ মৎস্য খাত গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ উৎপাদনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের বহুমুখী ব্যবহারের বাড়াতে হবে। মাছ রপ্তানি বৃদ্ধি করা গেলে মাছ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে, মাছ বেড়ে উঠতে যাতে কেউ অসহযোগিতা করতে না পারে, বিদেশি রপ্তানির সময় মাছে বিষাক্ত কোন উপাদান যাতে কেউ মেশাতে না পারে সেজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি যোগ করেন, এবারের মৎস্য সপ্তাহের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও স্মার্ট মৎস্য খাত বিনির্মাণ করতে চাই। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন, নৌপুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড এমনকি গণমাধ্যম সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে একসময় মাছের আকাল ছিল। এখন সেই বাংলাদেশে মাছে-ভাতে বাঙালির কৃষ্টি পরিপূর্ণ করেও ৫২ টি দেশে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। মাছের গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় ৩৯ প্রজাতির মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে যেখানে একশত প্রজাতির বেশি মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। যে অঞ্চলে যে মাছ পাওয়া যাবে না সে অঞ্চলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা নিয়ে অবমুক্ত করা হবে।

তিনি যোগ করেন, দেশের প্রান্তিক সীমা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মাছের উৎপাদন, বিপণন, বহুমুখী ব্যবহার, মাছের রপ্তানি সব নিয়ে সরকার কাজ করছে। এসব কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসের একটি অংশ হিসেবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে নৌ শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য খাতে যারা উৎপাদনে, বিপণনে প্রক্রয়াজাতকরণে, রপ্তানিতে সম্পৃক্ত তারা উৎসাহিত হবেন। শেখ হাসিনা সরকার তাদের পাশে আছে। মৎস্য খাত হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের এক বিস্ময়কর সাফল্য।

নৌ শোভাযাত্রায় ১৫ টি সুসজ্জিত নৌকা অংশগ্রহণ করে।


আরও খবর



১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  আহতরা হলেন- ইদ্রিস  হাওলাদার (৫৫), বাদশা হাওলাদার (৬৫), বাবুল হাওলাদার (৫০), শাহিন হাওলাদার(৪৫), চানমিয়া হালাদার(৬০) ইউনুস হাওলাদার (৫০) জামাল হাওলাদার(৪৫) বিল্লু সর্দার (১৬) ফেরদৌস মাতুব্বর(২২)  বিউটি বেগম  (৪৫)। তাদের মধ্যেককটেল বিস্ফোরণে আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান জানান, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ৮/১০ জনের মত আহত হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়  ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার (১৮ মে) গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) হামাসের ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।

সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাফার মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকার আবু হাশেম’ ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও ডজন খানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দরজায় জড় হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহে পানি নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আট জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারাহিনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। উত্তরপশ্চিম রাফাহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েরি সামরিকবাহিনী উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা চালাবে। তাই সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। তারা রাফায় তাদের স্থল অভিযানও আরও বাড়াচ্ছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৬ মে থেকে রাফাহতে তাদের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফাহ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। উত্তর গাজায় জোরপূর্বক আরও ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।


আরও খবর



বিষপানের পর গলায় দড়ি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বিষ খাওয়ার পর আমগাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে সকিন রায় (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী গ্রামে এক আমবাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেন।

মৃত সকিন রায় ওই উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের মংলু রামের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকিন রায় সকালে তার বাড়িতে মরিচ তুলছিলেন। পরে নেকমরদ বাজার আসার কথা বলে মীরডাঙ্গী এলাকায় আসেন। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোজাখুজি করেন। এক পর্যায়ে খবর পান সকিনের লাশ আমবাগানে ঝুলে আছে।

তবে সকিন রায় আট মাসে আগে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। নেকমরদ বাজারের এক মেয়ের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। হঠাৎ প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সে আত্মহরণের পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, সকিল রায় নামে এক যুবককের মরদেহ আমবাগানে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়৷ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।


আরও খবর



বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু-কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে চারজন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।


আরও খবর