মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
সীমান্ত বর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল ও চিকিৎসক সল্পতার কারণে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এতে করে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের এই উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা লাজুক হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই হাসপাতালে, কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেশপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারি মিলে একশ পদের বিপরীতে আছে ৩৬ জন এবং ৬৪টি পদ খালি রয়েছে। ২১ জন ডাক্তারের মধ্যে আছে ৬ জন। ৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ৩ জনের পদ থাকলেও একজনও নেই। সহকারী সেবিকা নেই, নেই ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মী। এ যেন শুধু নাই নাই রাজ্যের গল্প।
সীমান্তবর্তী উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র মহেশপুর হাসাপাতাল। কৃষি নির্ভর সহজ সরল মানুষেরা যে কোন রোগের চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন এ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র। অনেকে এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিতে ভর্তি হলেও স্বজনসহ রোগী অসুস্থ হয়ে পরে বেশি। দিনে একবার ডাক্তার রাউন্ডে আসে, অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ,নিম্ন মানের খাবার সরবরাহ, ব্যবহারের অযোগ্য ওয়াশরুম, টয়লেটের দূর্গন্ধসহ নানা সমস্যার কথা বলেন রোগী ও রোগীর স্বজনেরা।
আরও পড়ুন>> আসল র্যাবের হাতে আটক ৩ ভুয়া র্যাব সদস্য
পুরুষ ওয়ার্ডের ২নং বেডের রোগী রবিউল ইসলাম বলেন, ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি, দিনে একবার ডাক্তার এসে দেখে যায়। খাবারের কথা জানতে তিনি বলেন সকালে কলা, রুটি, ডিম দুপুরে ভাত ডাল, সবজি, রাতে মাছ, সবজি, ডাল, ১০ দিনেও দেখা মেলেনি মাংসের। ৪দিন ধরে ভর্তি পাশের বেডের নুর ইসলাম বলেন, অধিকাংশ ঔষধ বাহিরে থেকে কিনে আনতে হয় হাসপাতাল থেকে সামান্য পরিমান ঔষধ দেওয়া হয়।
মহিলা ওয়াডের্র টয়লেটের পাশের বেডে ভর্তি আনোয়ারা খাতুন বলেন, টয়লেটের দূর্গন্ধে এখানে থাকতে পারছি না। আরো অসুস্থ হয়ে পরছি।
নার্সিং সুপার ভাইজার মাহমুদা সুলতানা বলেন, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন চুক্তি ভিক্তিক দু-একজন কাজ করছে,তারা ঠিকতম কাজ না করায় নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় আমাদেরকে।
ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ হেদায়েত বিন মোহাম্মদ সেতু বলেন, মহেশপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য কর্মচারি মিলে একশ পদের বিপরীতে আছে ৩৬ জন ৬৪টি পদ খালি রয়েছে। সে কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া চাহিদা মোতাবেক ঔষধ সরবরাহ না পাওয়ায় তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না বলে জানান।