আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জোয়ারের পানিতে ভাসছে নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। এ ছাড়া অনেক বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় তৈরি হয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। অতিরিক্ত পানিতে এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের ও পুকুর। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বেশ কিছু নদনদীর পানি।

বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি।

জানা যায়, শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে থাকা গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভদ্রপাড়া নামকস্থান থেকে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ স্থান। অতিরিক্ত পানিতে ২০ থেকে ২৫টি ঘের ও বেশকিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। তিন গ্রামে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ও রান্নাঘরে পানি উঠে যাওয়ায় খাওয়াদাওয়া বন্ধ রয়েছে।

ভদ্রপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়িঘের শেখ ওমর আলী বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢোকে। পানিতে তিনটি মাছের ঘের ডুবে আমার ১০ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সদরন উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন।

টানা ৪ দিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর ও দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এবং পর্যটন কেন্দ্র করমজল। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে দুবলার চরে ৫/৬ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোথাও ২ ফুট আবার কোথাও কোথাও কমবেশি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ভাটা হলে আবার পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এ জ্বলোচ্ছ্বাসে দুবলার কোথাও এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি তার নজরে আসেনি।

এদিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে আবারও নদীভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পূর্ণিমার জোয়ারে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধির প্রভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় ৯ নং সোরা গ্রামে ৫০০ মিটারের মতো এলাকাজুড়ে খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন জানান, সোরা গ্রামের হাসান মালীর বাড়ি সংলগ্ন প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় ভেঙে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। বড় বড় মাটির স্তূপ ও গাছপালা নদীতে চলে যাচ্ছে। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি ।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পোল্ডার-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন জানান, কিছু জিওব্যাগ আগেই ছিল। নতুন করে আরও কিছু পাঠানো হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে কাজ করছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, গাবুরা ইউনিয়নের ভাঙনের কথা শোনামাত্রই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙন রোধে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে বিশ্বরোডের সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবরোধ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং- দুই দিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।


আরও খবর



একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

২০২৪ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পছন্দ তালিকায় ন্যূনতম পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে আবেদন জমা দিতে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। তবে এমপিওভুক্ত, নন এমপিওভুক্ত, ইংলিশ ভার্সন, বাংলা ভার্সন, মহানগর, জেলাশহর, গ্রাম বিবেচনায় ভর্তি ফি আলাদা হতে পারে, কত হবে তা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নীতিমালায় বলা আছে। তিন ধাপের প্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দু'পক্ষ সব ধরনের আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ওপারের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দের স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। দীর্ঘদিন এই এলাকায় গোলার শব্দ শোনা না গেলেও আজ ভোর থেকে বড় ধরনের গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বোমা এসে এপারে পড়ছে।

সকাল থেকে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তের আব্দুর গফুর বলেন, ওপার থেকে সকালে ভয়ংকর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। দিনের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের কয়েকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি সদস্যরা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শতাধিক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ বিজিপিকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই দিনে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ১০০ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনে সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর জের ধরে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনও গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'


আরও খবর