আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

জুন মাসে সড়কে ঝড়ল ৩৯৮ প্রাণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা

গত জুন মাসে দেশে ৩২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন মানুষ এবং আহত ৪২৩ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫২, শিশু ৩৩। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

১৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫১ জন, যা মোট নিহতের ৩৭.৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩.৪২ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৪ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩.৬১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৭ জন, অর্থাৎ ১৬.৮৩ শতাংশ। এই সময়ে ২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত এবং ১ জন আহত হয়েছে। ১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫১ জন (৩৭.৯৩%), বাস যাত্রী ১৪ জন (৩.৫১%), ট্রাক-পিকআপ-ট্রলি যাত্রী ৩৮ জন (৯.৫৪%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ২০ জন (৫.০২%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-টেম্পু-লেগুনা) ৫৭ জন (১৪.৩২%), নসিমন-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি-টমটম যাত্রী ৯ জন (২.২৬%) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ও ঠ্যালাগাড়ি আরোহী ১৫ জন (৩.৭৬%) নিহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১৫টি (৩৫.১৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ১২৭টি (৩৮.৮৩%) আঞ্চলিক সড়কে, ৫১টি (১৫.৫৯%) গ্রামীণ সড়কে, ৩০টি (৯.১৭%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (১.২২%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ৭৮টি (২৩.৮৫%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১৩টি (৩৪.৫৫%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৯৭টি (২৯.৬৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৫টি (১০.৭০%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৪টি (১.২২%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৪.৯০ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ৩.০৬ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৬.১৩ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২.০৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৭.২০ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পু) ১৯.৩৪ শতাংশ, নসিমন-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি-টমটম ২.৪৯ শতাংশ, প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল-ঠ্যালাগাড়ি ৩.৪৪ শতাংশ এবং অন্যান্য (তেলবাহী ট্যাংকার-ড্রাম ট্রাক-ডাম্পার-হ্যান্ড ট্রলি) ১.৩৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫২২টি। (ট্রাক ৮৭, বাস ৬৩, কাভার্ডভ্যান ১২, পিকআপ ৩১, ট্রলি ৮, ট্রাক্টর ৬, লরি ২, মাইক্রোবাস ১৬, প্রাইভেটকার ১২, এ্যাম্বুলেন্স ৩, জীপ ১, তেলবাহী ট্যাঙ্কার ১, ড্রাম ট্রাক ৩, ডাম্পার ২, হ্যান্ড ট্রলি ১, মোটরসাইকেল ১৪২, থ্রি-হুইলার ১০১(ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পু), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ১৩ (নসিমন-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি-টমটম) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল-ঠ্যালাগাড়ি ১৮টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩.৯৭%, সকালে ২৫.০৭%, দুপুরে ২২.৯৩%, বিকালে ১৯.৫৭%, সন্ধ্যায় ৭.০৩% এবং রাতে ২১.৪০%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৬.২৯%, প্রাণহানি ২৫.৮৭%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১১.৬২%, প্রাণহানি ১৩.৫৬%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.৭৯%, প্রাণহানি ২১.৩৫%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.২৫%, প্রাণহানি ৭.৫৩%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.৮৬%, প্রাণহানি ৮.৫৪%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.০৩%, প্রাণহানি ৫.৫২%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.৬৪%, প্রাণহানি ৫.৭৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৪৮%, প্রাণহানি ১১.৮০% ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ১০৩ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ২৩টি দুর্ঘটনায় নিহত ২২ জন। একক জেলা হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত। সবচেয়ে কম নড়াইল জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ৩ জন, আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্য ২ জন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ১ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ৮ জন, আইনজীবী ২ জন, আমিরাত প্রবাসী ১ জন, স্থানীয় সাংবাদিক ২ জন, ব্যাংক কর্মকর্তা ৩ জন, বিআরডিবির কর্মকর্তা ১ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৪ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১১ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ১৮ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ১ জন, সেনা নিবাসের কর্মচারী ১ জন, রেল কর্মচারী ১ জন, পোশাক শ্রমিক ৬ জন, জুতা কারখানার শ্রমিক ২ জন, কৃষি শ্রমিক ৪ জন, মটর শ্রমিক ১ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৩ জন, ইটভাটার শ্রমিক ৫ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধি ২ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ৯ জন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি।  এর মধ্যে রয়েছে,  দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে গত মে মাসে ৪৪১টি দুর্ঘটনায় ৫৬২ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৮.১২ জন। জুন মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৩.২৬ জন। জুন মাসের অর্ধেক সময়জুড়ে এলাকাভিত্তিক লকডাউনে বিভিন্ন জেলা শহরে যানবাহন বন্ধ ছিল এবং ২৮ জুন থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। তার পরেও দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই উদ্বেগজনক চিত্র বলে মন্তব্য করা হয়।

দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩২৯ জন, অর্থাৎ ৮২.৬৬ শতাংশ।


আরও খবর



স্ত্রী-কন্যাসহ বেনজীরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে মামলা করার পথে হাঁটছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেনজীরকে তলব করেছে দুদক। তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে তলব করা হয়েছে আগামী ৯ জুন। কিন্তু অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না বেনজীর ও তার পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি। এ অবস্থায় দুটি মামলা করবে দুদক।

সূত্র বলছে, বেনজীর ও তার পরিবারের নামে একটি মামলা করা হবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে। এ ছাড়া আরেকটি নন-সাবমিশন’ মামলাও করবে দুদক। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া নন-সাবমিশন মামলায় আরও তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বেনজীর ও তার স্ত্রী-কন্যাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চেয়ে শিগগিরই তাদের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হবে। নোটিশ গ্রহণ করার মতো কাউকে পাওয়া না গেলে তা বাসার দেয়ালে টানিয়ে দেওয়া হবে। তবে খবর অনুযায়ী বেনজীর আহমেদ সপরিবারে দেশত্যাগ করায় নোটিশ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নন-সাবমিশন’ মামলা হবে।

প্রসঙ্গত, সাবেক আইজিপি ও র‍্যাবপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয় গত মার্চে। পরে সেই সংবাদ আমলে নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান করতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এরপরই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গত ২২ এপ্রিল অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার নামে থাকা অবৈধ বিশাল সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নামে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বাইরেও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। অবসরে যাওয়ার পর তিনি তুরস্কে নাগরিকত্ব নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকায়। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায়ও করেছেন বিনিয়োগ। স্ত্রী জিশান মির্জার নামে সেকেন্ড হোম করেছেন স্পেনে। এছাড়া দুবাইয়ের পাম জুমেরা ও মেরিনা এলাকায় নামে-বেনামে বেনজীরের বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের খোঁজ পেয়েছে দুদক। দুবাইয়ের মস্কো নামের একটি হোটেলে তিনি বিনিয়োগ করেছেন বলেও তথ্য আছে সংস্থাটির কাছে।

এদিকে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অন্যদেরও তালিকা করছে দুদক। তালিকা তৈরির পর তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করবে সংস্থাটি। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। ঢাকা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অবৈধ সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। এসব এলাকার ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রারদের নাম তালিকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ আচরণ: ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। সীমান্তে হত্যা করলেও পানি না দিলে সরকার কথা বলে না।

ফখরুল বলেন, বেনজীর, আজিজ ও আনারের ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করেছে। ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিচার দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান ডাকাতের মতো সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

সরকার পতনের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



দুই ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নিয়ন্ত্রণে এসেছে চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি ঝুটের গোডাউনের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিটি গেট মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, সকালে উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি গার্মেন্টসের পাশে থাকা ঝুট গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এখনও আগুন নির্বাপনের কাজ চলছে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।


আরও খবর



রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় চার সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণের উদ্ভাবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শাক হিসেবে পালংপাতা বেশ জনপ্রিয়। এর সাথে যখন টমেটো, ধনিয়া পাতা মিশিয়ে সবজি তৈরি করা হয় তখন এটির স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিউপাদান হাজারগুণে বেড়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার তালিকায় লেবু থাকলে এতে যোগ করে ভিন্নমাত্রা। এমনি চার ঔষধি গুণসম্পন্ন ভোজ্য খাবার, যা ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়। রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি রোগ প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে।

একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধী ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম। তাঁর গবেষক দল ড. মো. গোলাম সাদিক, ড. মামুনুর রশীদ, ড. আজিজ আব্দুর রহমান এবং বেশ কিছু ছাত্র মিলে বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যায় এমন ভোজ্য খাবারের (Edible Foods) প্রায় ৬৮টি প্রকরণ সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৩১টি শাকসবজি, ১৭টি ফলমূল এবং ২০টি মসলা ছিল যা নিয়ে গবেষণা করে যাচাই করার চেষ্টা করেন এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা পালন করে কিনা।

এই গবেষণার বিশেষত্ব হলো আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের ক্যান্সার কোষ ব্যবহার করা যেমন ফুসফুস, সার্ভিকাল, কিডনি, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন প্রায় সকল ভোজ্য খাবার গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা। আশ্চর্যজনকভাবে ৪টি ভোজ্য খাবারে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় তাঁরা প্রমাণ করেন টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধী।

গবেষণাটি ২০২৪ সালে পহেলা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত 'ক্যান্সার রিসার্চ' (Cancer Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়। অপর একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে ১১টি ভোজ্য খাবারের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী (boost up) করায় আমেরিকা থেকে প্রকাশিত 'হেলিয়ন' (Heliyon) জার্নালে ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. খুরশীদ আলম বলেন, ভোজ্য খাবারের এই উপাদানগুলো শরীরে ২টি মাত্রায় বাড়তি সুরক্ষা দেয় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। এদের পুষ্টি উপাদানগুলো একদিকে দেহের ইমিওনিটি বুস্ট আপ করে আবার সুস্থ কোষকেও ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। সুস্থ কোষগুলো আশেপাশের ক্যান্সার কোষকে নিধন করতেও সক্ষম হয়। এই খাবারগুলো সহজলভ্য এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সত্যি বলতে এগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অবচেতনভাবে আমরা এগুলো গ্রহণ করে থাকি। আমরা যদি জানতে পারি, কোনগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, তাহলে সেই অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারলে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার গোটা বিশ্বে অন্যতম মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্য খাদ্যসামগ্রী, যেগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে সেগুলোর সনাক্তকরণ ও সঠিক ব্যবহার আক্রান্তের হারকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারে।

ফার্মেসির অধ্যাপক ড. খুরশীদ আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বায়োমার্কার অথবা ক্যান্সার ইনিশিয়েটিং সেল (সিআইসি) নির্ণয় করার মতো কোনো যন্ত্র এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ২০ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ রোগী নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় এক লাখ মারা যায়। এছাড়াও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন যা প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যান্সারে মারা গেছে।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের (এনসিআই) দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে যা ১ম স্থান দখল করবে বলে গবেষকদের ধারণা। বাংলাদেশেও মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার। অতএব কীভাবে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটাই এখন সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এখনি সরকারকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে এটিকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি গবেষকদেরও ক্যান্সার চিকিৎসায় বিকল্প পদ্ধতি বের করার প্রতি জোর দিতে হবে। এই সব চিন্তা মাথায় রেখেই ড. খুরশীদ আলম ও তাঁর গবেষক দল প্রমাণ করলেন সবজির মধ্যেই রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ।

এর আগে, ড. খুরশীদ তুঁত ফল, বাকল ও মূল নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োমেড সেন্ট্রাল রিসার্চ নোট। পরে আরেকটি গবেষণা নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী পোলস ওয়ান-এ গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সালে ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন স্বর্ণপদক পান। এছাড়াও তাঁর ৯৪টি গবেষণাপত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর



দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর লিঙ্গ কর্তন, স্ত্রী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

স্বামী জাহিদুল ঘরামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী নাসরিন বেগম স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ স্ত্রী নাসরিনকে আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে রবিবার গভীর রাতে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামীর ছেলে জাহিদুল ঘরামীর (২৮) সঙ্গে পটুয়াখালীর গেরাখালী গ্রামের মজিবর মাদবরের মেয়ে নাসরিন বেগমের (২০) বিয়ে হয়। তাদের একটি ৭ মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জাহিদুল এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। গত জানুয়ারী মাসে গোপনে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্বামী জাহিদুল প্রথম স্ত্রীকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ দেয়। এতে রাজি না হয়নি নাসরিন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে স্বামী জাহিদুল স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছে। রবিবার গভীর রাতে স্ত্রী নাসরিন বেগম ধারালো দা দিয়ে লিঙ্গ কর্তন করে। এ সময় জাহিদুলের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তারা রক্তাক্ত জাহিদুলকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাতেই স্ত্রী নাসরিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।

জাহিদুলের বাবা আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামী বলেন, আমার ছেলের এই করুন পরিণতির জন্য ছেলের বউ নাসরিন দায়ী। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করছি।

স্ত্রী নাসরিন বেগমের অভিযোগ, আমার স্বামীর গত ৬ মাস পূর্বে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করছিল। আমি মেনে না নেওয়ায় আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাচন করছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে স্ত্রী নাসরিনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর