আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

‘কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতি বেগবান হচ্ছে’

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আনুষ্ঠানিকভাবে টাকাগুলো আসায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বুধবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে অনলাইনে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মুস্তফা কামাল।

ছয় মাসে কালো টাকা সাদা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে, করোনার মধ্যে এটা কীভাবে হলো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সাদা করতে চাই বলে সাদা হলো। আমাদের বাজেটে আছে। বাজেট বক্তৃতায় আছে, আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অ্যাডড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। আরো একটা ক্ষেত্র রয়েছে, যেটা প্রতিটা দেশের জন্য বড় এলাকা। সেটা হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনো রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অর্থচ বিক্রি দেখাচ্ছে না। আর বিক্রি যেখানে ১০ টাকা সেটা দেখাচ্ছে এক টাকা। ১০ টাকার উপরে গেলে স্ট্যাম ডিউটি দিতে হয়, সেজন্য স্ট্যাম ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেখানে যেখানে হাত দেওয়া দরকার সেখানে সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, গত এক বছরে বা ছয় মাসে আমাদের রেমিট্যান্স অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরো বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা বেশি আসবে। এই টাকাগুলো কোথায় যাবে, পুঁজিবাজারে যাবে। অফিসিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকাগুলোর মাল্টিটেরিফাই অনেক বেশি। এতে একজনের একটা ট্রানজেকশন ১০ হাত ঘুরে। এতে অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরোপুরি না হলেও বেশির ভাগই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। যখন কালো হয়ে গেছে তখন সাদা হবে। আর কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেক বার ব্যাখ্যা দিয়েছি। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা আমাদের পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয় আবার অনেকেই ট্যাক্স দেয় না। আবার ট্যাক্স রেট অনেক বেশি ছিল। আস্তে আস্তে যদি এগুলো কমিয়ে আনতে না পারি তাহলে হবে না। আমাদের সুদের হার অনেক বেশি ছিল। এত বেশি সুদহারে কোনো দেশে শিল্পায়ন হয় না। পাশাপাশি কোনদিন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। আমরা সেখানেও সফল, মোটামুটি আমরা যেটি করে দিয়েছি সেটা সবাই গ্রহণ করেছে। এখন যে ৬ শতাংশে ঋণ পাচ্ছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না, যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক। এটা আমাদের দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অনেকের টিআইএন নম্বর আছে কিন্তু আমরা ট্যাক্স পাচ্ছি না। টিআইএন নম্বর দিয়ে কী হবে যদি ট্যাক্স না পাই। সেই কাজটি করার জন্য আমরা ফুল অটোমেশনে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত অটোমেশন শেষ করতে না পারি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ সমস্যা থাকবে। সেজন্য সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজস্ব খাতে অটোমেশনের।

বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার দুই বছর পূর্তি হলো এটাকে কীভাবে মুল্যায়ন করবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, কতটা করলাম আর কতটা করতে পারলাম না সেটা মূল্যায়ন তো আপনারা করবেন। আমার কাজ হচ্ছে কাজ করা দেশ ও দেশের প্রতিটা নাগরিকের জন্য।

তিনি বলেন, আমাদের আমদানি কমে গেছে, যদি আমদানি বেশি থাকতো তাহলে আমাদের ডিউটি বাড়তো। আমাদের আয়করের হার ভালো আছে। তুলনামূলক আমরা অনেক দেশের থেকে ভালো আছি।

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকতো তাহলে তারা যেকোনো মুহূর্তে পুঁজি তুলে নিতে পারতো। যেটা আমরা ১৯৯৭ সালে দেখেছি। সাউথ এশিয়ার সাথে যেটা হলো। সে সময় বিদেশিদের টাকা তারা তুলে নিয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি বসে গেছে। আমাদের এ ধরনের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ, আমাদের ফিসক্যাল পলিসি ও মনিটরি পলিসি, বাজেট, পঞ্চবার্ষিক প্ল্যান সঠিক আছে। সেজন্য আমরা ভালো আছি।


আরও খবর



বন্যায় কেনিয়াতে ৭০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনিয়া। গত মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বন্যায় ৭০ জন মারা গেছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।

কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষ দিচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার এক এক্স বার্তায় কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মাউরা বলেন, বৃষ্টিবন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নাইরোবিতে টানা বৃষ্টিতে ৩২ জনের প্রাণ গেছে।

এ ছাড়া দেশটির রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলে আরও ১৫ জনের প্রাণ গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার কেনিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া কমিটি বৈঠক করেছে।

সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কেনিয়ায় বন্যার কারণে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ২২ জন আহত হয়েছেন এবং আরও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়া সরকার জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের তহবিল ছাড় করার চেষ্টা করছে। এ অর্থ দিয়ে অবকাঠামো সংস্কার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসন তৈরি করা এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশটির শিক্ষা বিভাগের মুখ্যসচিব বেলিও কিপসাং জানান, বন্যায় নাইরোবিতে ৬৪টি সরকারি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেননা, আগামী দিনগুলোতেও কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

শুধু কেনিয়া নয়, পাশের দেশ তানজানিয়ায় বন্যাভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জনের প্রাণ গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া গত বৃহস্পতিবার বলেন, দুর্যোগে ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বন্যা ও ভূমিধসে বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, রেলপথ ও বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ভেঙে পড়েছে।


আরও খবর



শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে অনেক জীবাণু জমে থাকে। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় সেই অঙ্গে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে, আর একারণেই সেই স্থানকে সবচেয়ে অপরিষ্কার বলা হয়। এর মানে এই নয় যে সেই স্থান পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু তারপরও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে সেটিই শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান বলে মনে করা হয়।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে শরীরের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো আমাদের পা। এর কারণ হিসেবে বলতে পারেন সারাদিনে পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা জমে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, মূত্রনালীর মুখ হলো শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গা। কেউ বলতে পারেন পায়ুদ্বারের কথা। কিন্তু এসব স্থান নয়, ব্যাকটেরিয়ার হিসাব করা হলে এর থেকেও অপরিষ্কার স্থান শরীরে রয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশে অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। আর সেই স্থানটি হলো আমাদের নাভি। নাভিকেই শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলা হয়ে থাকে। এখানে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে তাই নিয়মিত নাভির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান হওয়ায় নাভি নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। শরীর থেকে কিংবা পোশাক থেকে নাভিতে ময়লা জমতে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণও। নাভি মূলত মানব শরীরের একটি ক্ষতস্থান। শিশুর জন্ম হলে মায়ের শরীর থেকে তাকে আলাদা করার জন্যই এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শিশু গর্ভে থাকার সময় এই নাভির মাধ্যমেই পুষ্টি পেয়ে থাকে।

নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করা হলে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। যে কারণে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। সেটি হলো, নাভিতে যখন তখন হাত দেওয়া উচিত নয়। কখনো হাত দেওয়া হলে সেই হাত না ধুয়ে কোনোকিছু খাওয়া কিংবা ধরা উচিত নয়। আবার নাভিতেও অপরিষ্কার হাত দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



চাঁদপুরে উপজেলা নির্বাচনে কোস্টগার্ড মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুরের উপকূলীয় নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন রয়েছে কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ৮ মে  বুধবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গত ৬ মে থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড চাঁদপুর-২ আসনের মতলব উত্তর উপজেলার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী কেন্দ্রগুলোতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্লাটুন এবং ২টি জাহাজ ও ৩টি উচ্চ গতিসম্পন্ন টহল বোটের মাধ্যমে সার্বোক্ষণিক টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এ কার্যক্রম নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



কয়রায় গণমাধ্যম সপ্তাহকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন‍্যায় খুলনার কয়রা উপজেলায় জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কয়রা উপজেলার শাখা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম তারিক উজ-জামান এর নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিটি প্রদান করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কয়রা উপজেলার আহবায়ক তারিক লিটু, কয়রা সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন, ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি মো.মোক্তার হোসেন, প্রতিদিনের কাগজ এর মিনহাজ দিপু, বায়জিদ হোসেন, মো.সোহরাব হোসেন, শেখ ইউসুফ আলী, শাহ হিরো, সুমাইয়া সুলতানা, আব্দুল আলিম, তাইজুল ইসলাম এবং অফিস স্টাফ মো.আছাদুল হক।


আরও খবর



তালতলীতে এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলী সরকারি কলেজে এইচএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক করে অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষাথীরা জানিয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনী বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু তালতলী সরকারী কলেজে কতৃপক্ষ বিজ্ঞান শাখায় ৩ হাজার ১০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছর এই কলেজ থেকে ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।

এছাড়া অনিয়মিতি পরিক্ষার্থী আছে শতাধিক এর বেশি। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগে যাদের দুই বিষয়ে ব্যবহারিক আছে তাদের ২ হাজার ৪০০ টাকা ও এক বিষয়ের ব্যবহারিক ২ হাজার ২৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেওয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কোন কোনে ফান্ডে যায় তাও জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ।

প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডে ১০০,উন্নয়ন ফান্ডে ১০০, মসজিদ ফান্ডে ১০০ ও ফরমের জন্য ১০০। বাকি টাকা কই যায় তা বলতে পারেনি তারা। এ দিকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ দুই হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে মুখ চেনা প্রভাবশালীদের কাছ থেকে কিছু কম টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকারী কলেজে এমন ফান্ড থাকতে পারে না । এই সব ফান্ড কলেজ শিক্ষকদের বানানো বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ফি এর চেয়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা বেশি নিচ্ছেন। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার ১২০  টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকরা ২ হাজার ৮০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তিন হাজার টাকার নিচে ফরম ফিলাপ করা যাচ্ছে না। কম দিতে চাইলে শিক্ষকরা মন খারাপ করেন।

তারা আরও বলেন, ফরম ফিলাপে জন্য শিক্ষকরা মাথা কাটা ফি আদায় করছে। ঋণ করে ছেলে-মেয়েদের ফরম ফিলাপ করিয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফরম ফিলাপ কমিটির আহবায়ক ও সহযোগি অধ্যাপক আ. রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। পরে আমরা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ দিয়ে দিবো।

তালতলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার বলেন, ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে যেটা বেশি নেওয়া হচ্ছে তা বিবিধ খরচ আছে। অন্য কলেজে তো ৫ হাজার টাকা নেয় তা তো আমরা করিনা।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরনের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর