আজঃ রবিবার ০২ জুন 2০২4
শিরোনাম

কবরে ঢুকে লাশ কোলে নিয়ে বসে আছে যুবক!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

দুদিন আগে মৃত বৃদ্ধার কবর দেখতে যান কয়েকজন স্বজন। ভোরে কবরস্থানে গিয়ে তারা দেখেন নতুন কবরটির মাটি খোঁড়া। ভেতর থেকে গোঙানোর শব্দ আসছে। তারা ভয়ে সেখান থেকে দূরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানান।

এরপর পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবরের মাটি সরিয়ে দেখতে পায়, ভেতরে স্থানীয় এক যুবক মরদেহ কোলে নিয়ে বসে আছেন। 

সফিকুল ইসলাম (২২) নামের ওই যুবককে ২৯৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সফিকুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুজারের ছেলে। মৃতের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৫৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 

ঘটনার বর্ণনায় আজহারুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে আমার স্ত্রী, বোন এবং মেয়ে আমার মায়ের কবর দেখতে যায়। গিয়ে মাটি সরানো এবং গোঙানোর শব্দ পেয়ে ভয়ে দূরে সরে গিয়ে আমাকে ফোন করেন আমার স্ত্রী। আমি এসে কবরের কাছে গিয়ে বাঁশের চাটাই সরিয়ে দেখি ভেতরে একজন বসে আছে। আমি ভয়ে কাঁপতে থাকি। গ্রাম পুলিশ আলতাফকে ফোন দিই। তিনিও এসে দেখেন। ভেতরে বসে থাকা যুবককে তিনি চিনতে পারেন। এরপর পুলিশকে ফোন দেন।

আজহারুল ইসলাম বলেন, এই ছেলে আমার মায়ের কবরে কেন ঢুকেছিল, এটা বুঝতে পারছি না।

সারাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (১ মার্চ) সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি চাদমিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আছিমুল্যা হাগুড়ার স্ত্রী সবিরন নেছা (৮৬) মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজা শেষে তাঁকে জয়বাংলা বাজার সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজ সকালে স্বজনেরা কবর জিয়ারতে গিয়ে দেখেন কবরের মাটি খোঁড়া এবং মানুষের গোঙানোর শব্দ। ভয়ে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান। পরে তাঁরা কবরস্থানে গিয়ে কবরের ভেতরে মরদেহ কোলে নিয়ে ওই যুবককে বসে থাকতে দেখেন। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ওই যুবককে কবর থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা বলেন, আটক ওই যুবক নেশাগ্রস্ত। তিনি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর আগেও নেশার টাকা না পেয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছেন। কয়েকবার এ নিয়ে সালিসও হয়েছে। 

রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ওই যুবক মানসিক রোগী। তবে এ ঘটনায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত এবং কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মরদেহের অসম্মান করার অপরাধে মামলা হয়েছে। আজ তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে কবর থেকে যুবক আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতারা ভিড় করেন। তাদের সরাতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়।


আরও খবর



ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে মারধরের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ তাদেরকে দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরও বলেন, সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলামের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সাংবাদিকদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই। তিনি সব সাংবাদিককে কেন্দ্র চলে যেতেও বলেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গজারিয়ার উপজেলায় মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর



রেমালের আঘাতে সারাদেশে নিহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সারাদেশে অন্তত ১০ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের সাতজন, খুলনা বিভাগের দুজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের একজন রয়েছেন। এ তিন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের বরাত দিয়ে এই সংখ্যা জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী সাতজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধিকাংশই নিহত হয়েছেন বিধ্বস্ত ঘর অথবা ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এখনো চলছে এবং একই সঙ্গে বাতাসও বইছে তীব্র গতিতে।

খুলনা বিভাগে দুজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে খুলনা বিভাগে অন্তত ১ লাখ ২৩ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রামে একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে  জানিয়েছেন, প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো তার বিভাগে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে, রিমালের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষ বিদ্যুৎসংযোগহীন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মুখ্য প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার জানিয়েছেন, অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগহীন অবস্থায় আছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করব।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে মুহুরি হাট বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আব্দুল মোতালেব টুকু (৭০) ও মো. আবছার (৫৫)।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এই ঘটনায় সিএনজিতে থাকা দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়ি পরিবহণ নামে একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যজনের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার এ উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে, ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২ হাজার ১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।


আরও খবর



বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে কঠিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছি। বর্তমানে ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠানোর।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বে চলমান যুদ্ধ আজ শান্তিতে বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী-শিশু, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত।


আরও খবর