কলকাতায় গিয়ে
নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রায় ১০ দিন
নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার (২২ মে) এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসে।
ঘটনা তদন্তের ভার যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (সিআইডি) হাতে।
তদন্তে নেমেই
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় জিহাদ হাওলাদার নামে ২৪ বছর বয়সী এক
যুবককে। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার অধীন দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার
পিতার নাম জয়নাল হাওলাদার।
জিজ্ঞাসাবাদে
জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে এমপি আনারকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে
শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ফ্ল্যাটের মধ্যেই শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে পলিথিনের
ব্যাগে ঢোকানো হয়। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরা হয়। তারপর সেগুলো
ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয় এবং কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ভাঙরের কৃষ্ণমাটি
ও জিরানগাছার বাগজোলা খালে ফেলে দেওয়া হয়।
বাগজোলা খাল সম্পর্কে যা জানা যায়
কলকাতার পার্শ্ববর্তী
শহরাঞ্চল বরাহনগর বিধানসভা এলাকার ডানলপের কাছ থেকে শুরু হয়ে কুলটির ঘুসি ঘাটার কাছে
গিয়ে বিদ্যাধরী নদীতে মিশেছে এই বাগজোলা খাল। কোথাও এই খালের দুইধারে গড়ে উঠেছে বসতি।
আবার কোথাও দু’পাশেই ঘন জঙ্গল।
পশ্চিম থেকে পূর্বে দিকে প্রবাহিত হওয়া প্রায় ৪০ কিলোমিটার এই জলপথের দুটি অংশ রয়েছে।
এর সঙ্গে আরও সাত থেকে আটটি খাল এসে মিশেছে।
ওইসব শাখা খাল
দিয়ে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সব পানি বাগজোলা খালে এসে পড়ে। এই খালে বিভিন্ন
প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এর দু’পাশে
থাকা জঙ্গলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর বাস। আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাংশ এই
খালে ফেলা হলে তা খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
মোজাফফর হোসেন
নামে এক বাসিন্দা বলেন, এই খালে মরদেহ পাওয়া কঠিন। এই অঞ্চলে প্রচুর শিয়াল, বনবিড়াল
রয়েছে। আর যদি পানিতে ফেলা হয়, তাহলে খালের যে স্রোত, তাতে দেহাংশ পাওয়া খুব মুশকিল।
সাইফুল ইসলাম
নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, দেহাংশ খালের পানিতে ফেলা হলে পানির টানেই চলে যাবে। সহজে
খুঁজে পাওয়া যাবে না।