আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারা সেই নারী জওয়ানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে থাপ্পড় মারা দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ)ওই নারী সদস্যের জন্য এক লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের এক ব্যবসায়ী। তার নাম শিবরাজ সিং বেইনস।

এ ঘটনায় তিনি কুলবিন্দর কাউর নামে সাহসী ওই নারী নিরাপত্তারক্ষীকে অভিবাদন জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি পাঞ্জাবের জনগণ ও পাঞ্জাবের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কুলবিন্দরকে অভিবাদন জানানা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন কঙ্গনা। নির্বাচনে তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হিসেবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লি আসার পথে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার মুখোমুখি হন কঙ্গনা।

কঙ্গনা বলেছেন, ওই কনস্টেবল আমার মুখে আঘাত করেন এবং আমাকে নিপীড়ন করতে শুরু করেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম তিনি কেন এটা করছেন। তখন তিনি (নারী নিরাপত্তারক্ষী) বললেন যে তিনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেন।”

ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা আরও বলেন, আমি নিরাপদ আছি। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন পাঞ্জাবে যেভাবে উগ্রপন্থা বাড়ছে...তা কীভাবে আমরা সামলাব?

কনস্টেবল কুলবিন্দর কী বললেন?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষুব্ধ কুলবিন্দর কাউর উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। ধারণা করা যায়, ঘটনাটির পর তিনি এ কথা বলেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, কঙ্গনা বলেছিলেন- কৃষকেরা দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন; কারণ, তাদের ১০০ বা ২০০ রুপি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিক্ষোভকারীদের একজন ছিলেন আমার মা।”

কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনা রানাউতের অবস্থানের কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কনস্টেবল কুলবিন্দর কাউর। ঘটনাটির পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা সিআইএসএফ এ ঘটনা তদন্তেরও পদক্ষেপ নিয়েছে।

কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে তার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এই নিরাপত্তাকর্মীর ভাই শের সিং মহীভাল। যিনি নিজে কৃষক আন্দোলনের একজন সংগঠক। একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের খবরে আমি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে ঘটনাটি ঘটেছে কঙ্গনার মুঠোফোন ও পার্স তল্লাশির সময়ে। কঙ্গনা বলেছিলেন যে কৃষক বিক্ষোভের সময় নারীরা সেখানে গেছেন ১০০ রুপির জন্য। এই তর্কাতর্কির মধ্যে আমার বোনের ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে।”

সেনা ও কৃষক—উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদিন তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে শের সিং মহীভাল বলেন, এ ঘটনায় আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সমর্থন করছি।”

জানা গেছে, শের সিং মহীভাল একজন কৃষকনেতা। তিনি পাঞ্জাবের কাপুরথালা শহরের কিষান মজদুর সংহর্ষ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।


আরও খবর



লাঠিতে ভর দিয়ে ভাতিজার হাত ধরে ভোট দিলেন ৯২ বছরের ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

মো. ইউনূস। বয়স তার ৯২ বছর। এই বয়সেও ভোট দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে জাগে তার মনে। অসুস্থ শরীর নিয়ে ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না, তারপর ভোট দেবেন তিনি। তার এই আগ্রহ দেখে তার ভাতিজা তাকে ভোট দিতে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। লাঠিতে ভর দিয়ে ভাতিজার হাত ধরে কেন্দ্রে এসে ভোট দেন ইউনূস। ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি তিনি।

বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ১১ নম্বর সাকুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন ইউনূস। তিনি ওই একই এলাকার বাসিন্দা।

ভোট দেওয়ার পর ইউনূস তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, বয়স প্রায় শেষ। দীর্ঘদিন ধরে আমি অসুস্থ। ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতেও পারি না। ভাবলাম জীবনে শেষবারের মতো উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেই। সেকারণেই কেন্দ্রে আসা। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার ভাতিজা কেন্দ্রে আসতে আমাকে সহযোগিতা করেছে। তার সহযোগিতায় আমি ভোট দিতে পেরেছি।

বৃদ্ধের ভাতিজা মো. শহিদ বলেন, ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার চাচা শেষ বয়সে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসেন। তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে তাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এই বৃদ্ধ বয়সে, অসুস্থ শরীর নিয়ে তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে পরিবারের সবাই অবাক।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো.আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুস্থ ভবে হচ্ছে। তাছাড়া দুইটি উপজেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও কাজ করছে র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। দুইটি উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ২৬টি ইউনিয়নে ৩১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

চরফ্যাশন ও মনপুরা এই দুই উপজেলায় ৩টি পদে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই উপজলায় ২৬টি ইউনিয়নের ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। তা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ব্যালট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ভোলার চরফ্যাশন

আরও খবর



তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ও সানিয়াজান নদী পাড়ের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি ছিল, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি উঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সানিয়াজানে পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চর সিন্দুর্নার বাসিন্দা মফিজার রহমান বলেন, গতরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, গতকাল থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



পাঁচ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিচ্ছেন বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ প্রযোজ্য হবে। আসন্ন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন নীতিকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিছুদিন আগেও হান্টার বাইডেনের আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় সরগরম ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এবার নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করে আলোচনায় এলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ‍জুন) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা দেশটি বসবাস করছেন এমন ৫ লাখ দম্পতিকে কাজের অনুমতি দেবে প্রশাসন। এই পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা কোনো মার্কিন নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন।

'প্যারোল ইন প্লেস' নামে এ পদক্ষেপটি অভিবাসীদের জন্য গ্রীন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরো সহজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদেরও আনা হবে এ নীতির আওতায়। বৈধ হতে খুব দ্রুতই প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 বেশ কয়েক বছর ধরেই অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন অভিবাসন আইনজীবীরা। নতুন নীতির বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। আসন্ন নির্বাচনে নেভাডা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে লাতিন ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বাইডেন। এর অংশ হিসেবেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।


আরও খবর



কুমারী রেখা রাণী গার্লস স্কুলে আর্থিক অনুদান প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) উদ্যোগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক জীবনসংগ্রামী নারীর হাতেগড়া কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান। পাশাপাশি দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে দামপাড়াস্থ  সিএমপির পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)  উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।এসময় গোপালগঞ্জের কলাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বুরুয়া গ্রামে অবস্থিত কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী ওঝার হাতে ৫ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম পুনাক সভানেত্রী রীতা দাস ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কুমারী রেখা রাণী দাস তাঁর জীবন-সংগ্রামের গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বুরুয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের জন্য জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে নিজের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একসময় সরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনের টাকা দিয়ে জমি কিনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবস্থায় নিজের খরচ চালানোর জন্য মঞ্চে অভিনয় পাশাপাশি ওষুধের দোকান চালিয়েছেন। এ জীবনে অনেক ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করার জন্য সহায়তা করেছি। তাঁদের অনেকেই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এত দূর আসতে কারও কাছে হাত পাতেননি। তবে এখন আর পারছি না। ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্কুলটি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না বলে শিক্ষকেরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনা বেতনেই পড়াবেন এমন শর্তেই যোগ দিয়েছিলের।

তিনি বক্তব্যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করায় চট্টগ্রাম পুনাক প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার বলেন, পুনাক অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু আজকের কাজটি অন্য কাজগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। কারণ, আজকে আমরা এমন একজন মহান নারীকে সামনে পেয়েছি যিনি মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার যেখানে নারী ও পুরুষ সমাজে যার যার অবদান রাখার সুযোগ পায় এবং শৈশব থেকেই সমান সুযোগ পায়। অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী অনুরোধে দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিএমপি কমিশনার। এছাড়াও স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিএমপির পৃনাক সভানেত্রী রীতা দাস বলেন, নারী সংগঠন হিসেবে শিক্ষা-চিকিৎসায় আমরা নারীদের পাশে দাঁড়াই৷ পুনাক পরিবার আজ গর্বিত আপনার স্বপ্নপূরণের অংশীদার হতে পেরে।

অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিএমপির পুনাস নেতৃবৃন্দ-সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ছোট ও মাঝারি গরুতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু কেনা। পশু ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে পরিকল্পনার শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য থাকে মাঝারি ও ছোট আকারেরে গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি বাজারে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠের গরুর হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে এ হাট বসানো হয়েছে। হাটে ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না তারা। অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শেরপুর থেকে ২২টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আরশাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মাঝারি ও ছোট গরুর সংখ্যা বেশি ছিল। গতকাল তেমন বিক্রি না হলেও আজ সকালেই ৮টি গরু বিক্রি করেছি। আমি আগামীকালের আশায় থাকতে চাচ্ছি না। মোটামুটি লাভ হলেও গরু ছেড়ে দেব।

মাঝারি সাইজের দুটি গরু কিনেছেন নিজামুল হক। তিনি বলেন, হাজীপাড়া থেকে এখানে এসেছি। প্রথমে ইচ্ছে ছিল বড় আকারের গরু কিনব। পরে আমার অংশীদারদের পরামর্শে ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কিনেছি। দেশি গরু দেখতে ছোট হলেও মাংস ও স্বাদ বেশি। এ কারণে ছোট আকারের গরু কিনলাম। 

তেজগাঁও হাটের ইজারাদার হোসেন খান বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। চলছেও বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি। 


আরও খবর