আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

কন্যা সন্তানের জনক হলেন মুশফিক

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

স্ত্রী সন্তান সম্ভবা, এ কারণে এশিয়া কাপের মাঝপথেই দেশে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। তখনই জানানো হয়েছিলো, কী কারণে তিনি দেশে ফিরবেন। সে অনুযায়ী, শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে রোববার সকালেই ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।

ঢাকায় আসার একদিন পরই সুসংবাদ শোনালেন মুশফিক। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মুশফিকের স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মন্ডি। আজ এক ফেসবুকে পোস্ট করা এক বার্তায় এ সংবাদ নিজেই জানিয়েছেন মুশফিক।

দুপুর ১২টার দিকে পোস্ট করা এই বার্তায় মুশফিক লেখেন, আসসালামু আলাইকুম সবাইকে... আলহামদুলিল্লাহ সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের একটি কন্যা সন্তান দান করেন... মা এবং শিশু- দুজনই পর্যবেক্ষণে রয়েছে.. সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

নিউজ ট্যাগ: মুশফিকুর রহিম

আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন মার্ক রুট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। ন্যাটো শরিকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর তাকে মহাসচিব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে ন্যাটোর নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে থাকা রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইওহানিস নিজের নাম প্রত্যাহার করে মার্ক রুটকে ন্যাটো জোটের প্রধান হিসেবে সমর্থন করেন।

রোমানিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ায় ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার রাস্তা সহজ হয়ে যায় ৫৭ বছর বয়সী মার্ক রুটের জন্য।

ন্যাটের বর্তমান মহাসচিব স্টলটেনবার্গের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুলাইয়ে। তিনি নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ের তার মেয়াদ শেষ হয়। রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধের মুখে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে। এরপর স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুট।

১৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন রুট। নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী।

জোটের মধ্যে অভিযোগ ওঠে, রুট অভিবাসীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। এর ফলে চার দলীয় জোট ভেঙে যায়। এরপর নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা সবচেয়ে বেশি আসন পায়। রুটে তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় হারের মুখে পড়েন। তারপর থেকে তিনি কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন। কারণ দক্ষিণপন্থি দল এখনো সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে রুট তার অবসর ঘোষণার কথা ভুলে ন্যাটোর শীর্ষ পদে বসার ইঙ্গিত দিতে থাকেন। তিনি ন্যাটো দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার সূত্রে তাদের আগে থেকেই চিনতেন ও জানেন রুট। রুটে হলেন ইউক্রেনের একনিষ্ঠ সমর্থক। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতেও তার অসুবিধা হয়নি। পরে ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশও তাকে সমর্থন জানায়।

তবে হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সমর্থন পেতে তার কিছুটা দেরি হয়। অরবানের সঙ্গে রুটের সম্পর্ক আগে খুব একটা মধুর ছিল না। রুটেকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, তিনি যতদিন ন্যাটোর নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন হাঙ্গেরি ন্যাটোর সীমার বাইরে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। অরবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুব ভালো এবং তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।

১৯৪৯ সালের ৪ জুলাই ন্যাটো প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে এর সদস্য ৩২টি। রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের মধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। প্রথমে ফিনল্যান্ড সদস্যপদ পায়। তুরস্কের দীর্ঘ আপত্তি শেষে সুইডেন চলতি বছরের ৮ মার্চ ন্যাটোর সদস্য পদ পায়।


আরও খবর



স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় দুই হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা গবেষণার জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে বিজ্ঞানের মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার গুরুত্ব বিবেচনায় সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া, আধুনিক ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, চিকিৎসা শিক্ষায় সকল স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসা, পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্য সেবা খাতকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রবর্তন করেন। এ সব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং ২৭ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং নীতিসহায়তার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদনে সক্ষম। দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৯৮ ভাগ ঔষধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবার কল্যাণ সেবা সহজীকরণসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ ধাত্রী ও মিডওয়াইফের মাধ্যমে নিরাপদ প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের তালিকা পেলে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটকে ভারসাম্যমূলক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। এ বাজেটকে সাহসী, গণমুখী ও জনবান্ধন বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিতে তারা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তারা বলছে, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন। যাদের নেতারা দুর্নীতিবাজ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন, এটা এই বছরের সেরা জোক।

আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তালিকা চাইলেন কাদের। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের তালিকা দেন, আমরা তা দুদককে দেব।

সিপিডি, সুজন, টিআইবি কী বললো তাতে আমাদের মাথাব্যথা নেই জানিয়ে কাদের বলেন, অনেকের গোপন টাকা আছে। বাজেটের মাধ্যমে ওই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আছে, কিন্তু অন্যায়ের শাস্তি কমানোর সুযোগ নেই। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে আমরা তাদের অর্থনীতির মূল ধারায় আনার চেষ্টা করেছি।

কাদের আরও বলেন, বাজেটের একটাই চ্যালেঞ্জ, তা বাস্তবায়ন করা। তা বাস্তবায়নে সরকার এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমরা কাজ করছি।’


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৪ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বদা দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনো নীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের কোনো প্রকার সফলতা দেখে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐক্যমত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিল। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। এবারের সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালনের ঘটনা ঘটেছিল এবং ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি তো সেই দল যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিতাপের বিষয় যে, তারাই আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর