আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কৈলাশটিলায় ফের এলপি গ্যাস উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টে পুনরায় উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পেট্রোবাংলা এ তথ্য জানিয়েছে।

পেট্রোবাংলা জানায়, পেট্রোবাংলার মালিকানাধীন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পরিচালিত কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের অপরিশোধিত গ্যাস, এলপিজির কাঁচামাল এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) সমৃদ্ধ। ১৯৯৫ সালে এই ফিল্ড থেকে উৎপাদিত গ্যাস থেকে এনজিএল আহরণের জন্য দেশের একমাত্র মলিকুলার সীভ টার্বো-এক্সপান্ডার (এমএসটিই) প্রসেস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।

ওই প্ল্যান্টে উৎপাদিত এনজিএল পেট্রোবাংলার অপর কোম্পানি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টে ফ্র্যাকশনেশন করে এলপিজি ও পেট্রোল (অকটেন নম্বর ৮১) উৎপাদন করা হতো এবং বিপিসির মাধ্যমে বাজারজাত করা হতো।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিএসটিআই কর্তৃক বাজারজাত পেট্রোলের অকটেন নম্বর ৮৯ নির্ধারণ করায় এবং বিপিসি কর্তৃক এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোল উত্তোলন না করায় প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখতে হয়। আরপিজিসিএল কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেও পেট্রোলের অকটেন নম্বর বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি।

এলপিজি প্ল্যান্ট না চালানোর কারণে এমএসটিই প্ল্যান্টটি ভিন্ন মোডে পরিচালনা করে এনজিএল-এর পরিবর্তে কনডেনসেট উৎপাদন করতে হতো। এজন্য এলপিজির উপাদানগুলো ফ্লেয়ার করতে হতো। ফলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় হতো তেমনি অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি হতো।

গত ৩০ মে কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্টটি এসজিএফএলের নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ শেষে এসজিএফএল কর্তৃক ২ জুন এলপিজি প্লান্টটি চালু করা সম্ভব হয়। এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত এলপিজি কৈলাশটিলায় অবস্থিত বিপিসির একটি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বটলিং প্লান্টে সরবরাহ করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুরে এসজিএফএলেএর দুটি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট এবং একটি অকটেন উৎপাদনকারী ক্যাটালাইটিক রিফরমিং ইউনিট (সিআরইউ) রয়েছে। এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোল (অকটেন নম্বর ৮১)-কে এসজিএফএল-এর ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্টে উৎপাদিত পেট্রোলের সঙ্গে মিশ্রণ করে অতঃপর সিআরইউ-এর মাধ্যমে অকটেন নম্বর বৃদ্ধি করে বিপিসির মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে।

এতে এলপিজি উৎপাদন যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি কৈলাশটিলা এমএসটিই প্ল্যান্ট স্বাভাবিকভাবে চালানোর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ হবে। এছাড়া প্রতি বছর এলপিজি প্ল্যান্টে উৎপাদিত ৪০০০ মেট্রিক টন এলপিজি দেশের জ্বালানি খাতে যোগ হবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর



রাশিয়ায় কারাগারে ছয় জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী দুই কারারক্ষীকে উদ্ধারসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ গুলি করে হত্যা করা হয়।

রোববার (১৬ জুন) ওই দুই কারারক্ষীকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রসটভে কারাগারে জিম্মি করা হয়। দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া এ বছরের মার্চে মস্কোর কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠীটি।

ছয় জিম্মিকারীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেডব্যান্ড দিয়ে আইএসর পতাকা বাঁধা ছিল। যেখানে আরবিতে কিছু লেখা ছিল। কারারক্ষীদের উদ্ধার করতে গেল তারা রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল ১১২ তে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ছয় জনের একজন ছুরি নিয়ে কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালায় এবং কারাগার থেকে বের হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালায়। এ অবস্থায় রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী কারাগারে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। টেলিগ্রামে চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয় গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ওই ভিডিওতে নিহত ছয় জনের রক্ত গড়িয়ে যেতে দেখা যায়।

রাশিয়ার ফেডারাল পেনিটেনশিয়ারি সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারে এক বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিম্মিকারীদের মধ্যে তিনজন রাশিয়ার দক্ষিণ প্রজাতন্ত্র ইংগুশেটিয়ার বাসিন্দা। ২০২২ সালে রুশ প্রজাতন্ত্র কারাচে-চের্কেসিয়ার আদালতে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা -২০২৪ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি হবে বাংলাদেশে। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আছে আমাদের চোরা চালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে অনেক কিছুই দেশে ঢুকে, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা তারা করছেন।  রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে আমাদের প্রস্তুতি আছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।

মন্ত্রী কর্মশালায় বক্তব্যে আরো বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব,  জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমাদের ইতিমধ্যে রয়েছে ৩টি জাতীয় স্বীকৃত গবেষণাগার, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য BSLII+ জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, পিপিআর-এর জন্য সার্ক রিজিওনাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিইয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণার জন্য ন্যাশনাল রেফারেন্স গবেষণাগার রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের বিএলআরআই এর উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ, ইউরিয়া-মলাসেস স্ট্র (ইউএমএস), ঘাস সংরক্ষণে সাইলেজ প্রযুক্তি, উচ্চ ফলনশীল ঘাসের জাত বিএলআরআই নেপিয়ার- ১, ২, ৩ ও ৪ উদ্ভাবন, পিপিআর ভ্যাকসিন সিড, গোটপক্স ভ্যাকসিন সিড, বিএলআরআই এফএমডি ট্রাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন সিড (ও, এ, এশিয়া-১), শুভ্রা ও স্বর্ণা (লেয়ার স্ট্রেইন), ছাগল ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পিলেট ও TMR তৈরি, এফএমডি এবং পিপিআর নিয়ন্ত্রণ মডেল ইত্যাদি কৃষক পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় এবং মাংস, দুধ এবং ডিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রধানগণ ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত হতে হবে। সারা বাংলাদেশে সবার উদ্দেশ্যে বলছি, বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা এই দেশে বেশি দুর্নীতি দুর্নীতি করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মধ্যে কত যে দুর্নীতিবাজ, একটু খুঁজে দেখেন, পেয়ে যাবেন। দুর্নীতিবাজ আছে আশে-পাশে। দুর্নীতিবাজের ক্ষমা নেই।

বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির কোনো কথা বলার থাকে না। কারণ, বিএনপি মানেই দুর্নীতিবাজ। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতিবাজ দল, আমরা শক্তি আমরা বল।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কীসের অভিযোগ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার। এখন বিএনপির নেতারা দুর্নীতির বিরেুদ্ধে কথা বলে। আপনাদের এক নাম্বার নেতাই তো দুর্নীতিবাজ, হাজার হাজার টাকা পাচার করে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন প্রমুখ। 


আরও খবর



ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউরের স্ত্রী লাকীর খোঁজ মিলেছে!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

ছাগলাকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীর খোঁজ মিলেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার দিকে ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন লায়লা কানিজ লাকী। পরে তিনি আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে এক প্রস্ততিমূলক সভায় যোগ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান। এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনা ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেলে অনেকটাই আত্মগোপনে ছিলেন লায়লা কানিজ নাকী। এরপর থেকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। তিনি সর্বশেষ ঈদুল আযহার দুই দিন আগে অফিস করেন। ঈদের ছুটির পর অফিসে আর আসেননি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান লাকী। পরে তিনি দুটি প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন। সভা শেষে লাকী নিজ কার্যালয়ে আ. লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর গতকাল পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ওই সময় অনেক ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদে এসে তাকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। এতে সেবাবঞ্চিত হয়েছেন তারা।


আরও খবর