আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।   

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, স্বাধীরতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত,চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ সবুজ প্রমূখ। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভারত এর নয়াদিল্লির মেডান্টা হাসপাতালে যান ওবায়দুল কাদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তিনি ঢাকায় ফিরবেন। এর আগে বুকে ব্যথা নিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউর উপাচার্যের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি হাসপাতাল ছাড়েন। ২০১৯ সালের মার্চে ওবায়দুল কাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিএসএমএমইউর করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অ্যানজিওগ্রামে তাঁর করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক পেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা, যার মধ্যে একটি অপসারণ করা হয়। এরপর তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই মাসের বেশি সময় ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে।


আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টনের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে মৃত্যুর সনদ তৈরি করা কিংবা মরদেহে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।

কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

আগামী ৩০ মের মধ্যে সংস্থাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর



সনদ জালিয়াতি: অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ডিবির মুখোমুখি হতে পারেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান যেসব সাংবাদিকের নাম বলেছেন সেসব সাংবাদিক চাইলে তার মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (১১ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবিপ্রধান।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছেন এ কে এম শামসুজ্জামান। সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের মোটা অংকের অর্থ দিতেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, সাংবাদিকরা ডিবির শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। আমরা অন্যায়ভাবে কোনো সাংবাদিকদের নাম বলতে চাই না। শামসুজ্জামান গুটিকয়েক সাংবাদিকের নাম বলেছেন। কখন কোন সাংবাদিককে কোথায় কত টাকা দিয়েছেন তা সবকিছু স্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকের নাম এসেছে তারা চাইলে শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারেন অথবা ডিবির মুখোমুখিও হতে পারেন। যদি তাদের (সাংবাদিকদের) স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তা উপস্থাপন করতে পারেন। যাদের নাম এসেছে প্রয়োজন হলে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ঈদের আগে যখন প্রথম রিমান্ডে ছিল তখন এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ঈদ চলে এসেছে টাকা কবে দেবেন? সেই মুহূর্তে শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তোমার কাছে সাংবাদিক টাকা চাইছে কেন? তখন শামসুজ্জামান আমাদের কাছে খোলামেলা জানান, তার এ পদ ধরে রাখার জন্য তাকে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। তাদের ম্যানেজ না করলে এ পদ থেকে সরিয়ে দিতো।

রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে চলবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের এ তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করেন। যা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যাচাইয়ের জন্য বৈধ বলে ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণ করতো।

তিনি বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যা বলেছেন যদি সেগুলো দুদক যাচাই-বাছাই করতে চায় তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুদকের কর্মকর্তারা কীভাবে জড়িত। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল শ্রেণির লোক, শিক্ষা বিটের সাংবাদিক এবং দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যদি শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকে তবে সে তার সার্টিফিকেট বাণিজ্য আরও বড় আকারে করতে পারে। এ উদ্দেশ্যে সে ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসার ভেতর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে তুলেছিল।


আরও খবর