![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/59351cf055a42f88b858db400cab8030.jpeg)
পশুর হাট থেকে গরু কিনে বাসায় যাচ্ছে মোহাম্মদ নুরুল কাদের। পথে অনেকেই তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করছেন, বদ্দা গরু হতো অয়্যি (‘ভাই গরুর দাম কত)। ’ কোরবানির ঈদ আসলেই সবচেয়ে সুপরিচিত প্রশ্ন, ‘ভাই গরুর দাম কত বা কত নিল?
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এরই মধ্যে অনেকেই গরু কিনতে হাটে এসেছেন। কিনছেনও অনেকে। তবে গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় দাম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে পরৈকোড়া ছত্তার হাটে দেখা যায়, হাট থেকে মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন শাহজাদা মিরু নামে এক ক্রেতা। গরু দেখে আরেক ক্রেতা তাকে জিজ্ঞাসা করেন,ওয়া বদ্দা গরু হতো অয়্যি (ভাই কত দিয়ে কিনলেন)।
এ প্রসঙ্গে শাহজাদা মিরু বলেন, কোরবানির ঈদ এলেই এই মধুর সমস্যায় পড়তে হয়। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জনে জনে ডেকে দাম জিজ্ঞেস করে। বিষয়টি মজার হলেও অনেক সময়ই দাম বলতে বলতে হাঁপিয়ে উঠতে হয়।
শাহজাদা মিরু মতো একই মধুর সমস্যায় পড়েছে মোহাম্মদ নুরুল কাদের ও। তাকেও মানুষ ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে, গরুর দাম কত?
উত্তরে নুরুল কাদের হাসি মুখে বলছে গরুর দাম। সে জানায়, গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেশ কয়েকজনকে বলতে হয়েছে দাম। মজাই লাগছে।
এদিকে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় ১২টি পশুর হাট বসে। এসব হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন প্রতারিত হতে না পারে, সেজন্য মোবাইল কোর্ট টহলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন।