আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (০২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত উল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন, আস্থানগর গ্রামের হোসেন আলীর (মৃত) ছেলে কাশেম আলী (৫০), দাদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৩০), আব্দুল মালিথার ছেলে রহিম মালিথা (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার মণ্ডল (৪০)। রহিম মালিথা বাদে বাকি তিনজন ফজলু মণ্ডলের সমর্থক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝাউদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী ও ফজলু মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিল ও হাট-বাজার দখল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন নিয়ে সেই বিরোধ চরমে ওঠে। এরই জের ধরে আজ ইফতারের পর ইউনিয়নের আস্তানগরে কেরামত আলী গ্রুপের লোকেরা মোক্তারের নেতৃত্বে লাঠিসোঠা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফজলু মণ্ডলের বাড়ির ভেতর অতর্কিতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় ফজলু মণ্ডলের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের জাফর, সাবু, মনোয়ার, কামলা, আতিয়ার, মুসাসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানান, ঘটনা শোনার পরপরই এলাকাই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর



এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, ঘরে বসেই যেভাবে করবেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গতকাল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলে সন্তুষ্ট না-হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন। সোমবার (১৩ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে, রোববার (১২ মে) ফল প্রকাশের পর আন্তশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, সোমবার থেকে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

যেভাবে আবেদন করতে হবে-

শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএস-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes PIN Contact Number (যেকোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন- ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC Dha Roll Number । ফল পুনঃনিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর



নওগাঁয় ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর বদলগাছীতে পৃথক অভিযানে ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল। শনিবার সকালে র‌্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৫।

চকবনমলী এলাকা হতে ২৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ চকবাড়িয়া গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফুরের মেয়ে মোছাঃ মাহফুজা বেগম (৪৬), চকরামচন্দ গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফিরের মেয়ে মোছাঃ নাহার বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করা হয় এবং মথুরাপুর এলাকা হতে ১২০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ গয়েশপুর গ্রামের নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার মোঃ দেলোয়ার হোনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল হোসেন (৩১)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গতকাল শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পৃথক অভিযানে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন চকবনমালী ও মথুরাপুর এলাকা থেকে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীদেরকে তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।

মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, রফিকুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফজিলাতুন নেসা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় পরিচিতি পর্ব। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বিবরণ, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পগুলোর বিবরণ উপস্থাপন এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১১টি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৫ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং দুটি স্থগিত রয়েছে মর্মে জানানো হয়। বাস্তবায়নাধীন ও প্রক্রিয়াধীন প্রতিশ্রুতিগুলোর বিপরীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রমগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়।

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহিত প্রকল্পের কাজের গুণগতমান ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ ও মতামত দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) জোর সুপারিশ করা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত সচিব, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর প্রধান, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জাকের পার্টি ছেড়ে বিএনপির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া অংশ নেন। তিনি এক সময় জাকের পার্টির নেতা ছিলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান তাকে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদ দেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এ কারণেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বহিষ্কারের চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ বা চিঠি পাইনি। তবে আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে যাবো।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাইকমান্ড থেকে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার কড়া নির্দেশ রয়েছে। তাই এ নিয়ম যে মানবে না তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর