আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর



ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লিতে পৌঁছেই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিকে আর কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সৌজন্য বৈঠক। মূলত শনিবার হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে যেসব বিষয় উপস্থাপিত হবে, সেসব নিয়েই বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেন তারা।

এই বৈঠকের পর তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।


আরও খবর



বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন সম্ভব নয় : মমতা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

চিঠিতে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যদি বাংলাদেশের সাথে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, ‘‘এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়।’’

নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনার একদিন পর সোমবার ওই চিঠি লিখেছেন মমতা। এতে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ এবং মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণযোগ্য কিংবা কাম্য নয়।

মমতা লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এই ধরনের চুক্তিতে ‌‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়, ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালুর দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

তবে পানি অত্যন্ত মূল্যবান এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার। আমরা এমন একটি সংবেদনশীল ইস্যুতে আপস করতে পারি না; যা জনগণের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে, চিঠিতে লেখেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় নদী তিস্তার পানি বন্টনের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সিকিমে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ এবং নদীর ঊর্ধ্ব জলাভূমি এলাকায় বন উজাড়ের কারণে ভারতের দিকে তিস্তা ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন ভাগাভাগি করার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই।

মমতা লিখেছেন, বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তাকে পুনরুজ্জীবিত করার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি যে, জলশক্তি মন্ত্রণালয় ভারতে নদীটিকে তার আসল রূপে ফেরানোর জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।

এর আগে, গত শনিবার নয়াদিল্লিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল শিগিগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আর্মেনিয়ার ওপর চটল ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া। আজ শুক্রবার (২১ জুন) এই স্বীকৃতি দেয় দেশটি। এতে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। খবর এএফপি।

আর্মেনিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের সামরিকবাহিনীর আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যদের বন্দি বানানোর নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, আর্মেনিয়ার ঘোষণার পরপরই এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আর্মেনিয়ার স্বীকৃতিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর তিরস্কারের জন্য রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।


আরও খবর



ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহার জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এসব উপহার পাঠানো হয়।

উপহার হিসেবে ২০টি কার্টনে ৪০০ কেজি হাঁড়িভাঙা জাতের আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৫০ কেজি মিষ্টি পাঠানো হয়। সীমান্তের শূন্যরেখায় উপহারসামগ্রীগুলো গ্রহণ করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও আল আমিন।

উপহার হস্তান্তরের সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার, স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবি আইসিপি হাবিলদার মো. রহুল আমিন ও আগরতলা কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট দিব্যেন্দু ভৌমিক।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসের প্রথম সচিব রেজাউল হক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম, ইলিশ ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে যে সম্পর্ক, সেটি ১৯৭১ সালের আগে থেকেই। এই উপহার পাঠানোর মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীগুলো আমরা ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব।


আরও খবর



ঈদে মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানি ঈদে মাংস বিতরণের পরেও অনেকটা মাংস থেকে যায় বাড়তি। আবার পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও মাংসের ভাগ পাওয়া যায়। ফ্রিজ ছোট হলে এতো মাংস রাখার জায়গা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য উপায়ে রাখতে পারেন মাংস।

১. লবণ দিয়ে মাংস সংরক্ষণ বেশ প্রাচীন পদ্ধতি। লবণ মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন মাংস। এরপর ফ্রিজে রেখে দিন। ১ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এই মাংস। মাংসের অক্সিডেটিভ ও মাইক্রোবিয়াল পচন প্রতিরোধ করে এই পদ্ধতি।

২. মাংস শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। এজন্য সরু স্ট্রিপে কাটুন মাংস। এগুলো ৩-৪ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করে নিন যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। পানি পুরোপুরি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। একটি ওভেনে (সর্বনিম্ন সেটিংয়ে) ৮-১২ ঘন্টা বেক করুন। এভাবে ডিহাইড্রেটেড মাংস রেফ্রিজারেশন ছাড়া এয়ার-টাইট পাত্রে ১-২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৩. রোদে বা চুলায় জ্বাল দিয়ে মাংসের শুঁটকি বানিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য প্রথমে মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে শুধু হলুদ দিয়ে সেদ্ধ নিন। ভেতরের কাঁচা ভাব চলে না যাওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করবেন। সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর গুনা তারে গেঁথে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। মাংসের ভেতরের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তার থেকে খুলে মুখবন্ধ টিনে বন্ধ করে রাখুন। রান্নার আগে কিছুক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

৪. দুই থেকে তিন কেজি মাংস সংরক্ষণের জন্য ৪ টেবিল চামচ বিট লবণ ও ৪ টেবিল চামচ বাদামি চিনি মাখিয়ে নিন প্রথমে। এরপর ১ লিটার ভিনেগারে মাংস পুরোপুরি ডুবানো অবস্থায় ঢেকে রেখে দিন।

৫. পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ মেখে মাংস জ্বাল দিন। জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ করতে চাইলে চর্বি রেখে দেবেন মাংসের। প্রতিদিন দুইবার করে জ্বাল দিলে এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন মাংস।

৬. মাংস সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ফ্রিজারে রাখা। তবে রাখার আগে স্লাইস করে কেটে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে রাখবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে চর্বি ফেলে দিন মাংস থেকে। একবারে বেশি পরিমাণে না রেখে ছোট ছোট ব্যাগে অল্প করে রাখুন। এতে প্রয়োজন মতো বের করে খাওয়া যাবে। একসঙ্গে অনেক মাংস রাখলে ডিফ্রস্ট করতে হবে পুরো অংশই।


আরও খবর