আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে রাস উৎসব সমাপ্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পূণ্যস্নান বা গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় জাগতিক সকল পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।

স্নানের আগে সৈকতে মোমবাতি, আগরবাতি, বেল পাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সাগরের পানিতে অর্পণ করে সনাতনী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। এছাড়া মাথান্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ডদান করেন অনেক মানতকারীরা। পরে ১৭ জোড়া যুগল মুর্তি দর্শন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুয়াকাটায় দুদিনের রাসলীলা শেষ হয়েছে।

পূণ্যস্নান ও রাসপূজাকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলা বসে। মেলায় সহস্রাধিক স্টলে শিশুদের খেলনা ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ ঘর সাজানোর যাবতীয় জিনিস স্থান পায়। লক্ষাধিক লোকের সমাগমে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক ছিল।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

এবার ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে একই ব্যাচের ১৭জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে এসএসসি-৯৯ ব্যাচ ঠাকুরগাঁও। আজ জেলা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হল রুমে তাঁদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

একই সাথে এবছরে রংপুর বিভাগের মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রাপ্তি সারোয়ারকেও সন্মাননা ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তাদেরকে সন্মাননা করায় এসএসসি ৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কাউটিং এ অসামান্য অবদান রাখা ও জাতীয় পর্যায়ে ২য় সর্বোচ্চ রৌপ্য ইলিশ পদকে ভূষিত ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষক এবং রংপুর বিভাগীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামানকেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে এসএসসি-৯৯ ব্যাচের সদস্য রক্তিম বড়ুয়ার সঞ্চালনায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান।

এছাড়া এসএসসি ৯৯ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বীরগঞ্জ মনোরঞ্জন শীল গোপাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহেদ কমল কাদেরী, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের সদস্য আফসানা আক্তার চামেলি, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিব রসুল লিটন, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাব্বির মোর্শেদ সাথীসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন করা হয় এবছর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত নিয়মিত ব্যাচের ১৭জন কৃতী শিক্ষার্থীদের। আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাদের অভিভাবকরাও। পরে সংগীতায়োজন দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া, এশিয়ান টেলিভিশনের কর্মরত কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর উপর হামলার ঘটনা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার আয়োজনে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে অবস্থিত প্রেসক্লাব কেপিসির চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেটে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশাদুল ইসলাম বিপ্লব। এ সময় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভি জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লা, সহ-সভাপতি ও আর টিভি'র জেলার প্রতিনিধি শেখ হাসান বেলাল, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি তরিকুল ইসলাম। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনন্দ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কায়সার, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়ান টেলিভিশনে মিরপুর-ভেড়ামারা প্রতিনিধি ফয়সাল চৌধুরী, এশিয়ান টেলিভিশনের কুমারখালী প্রতিনিধি কে এম আর শাহীন, এশিয়ান টেলিভিশনের দৌলতপুর প্রতিনিধি সোহানুর রহমান শিপন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিং-এ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজারস্থ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এসময় পথে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুই পা, দুই হাত ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আরও ১৫ থেকে ২০ জন যুবক-কিশোর মারধরকারীদের ঘিরে রাখেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসার সাহস পান না। দুঃখের বিষয় এ মামলায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।

হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। এই আন্দোলন সংগ্রাম কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। এই সময় সাংবাদিকর নেতৃবৃন্দরা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এর ঘোষণা দেন। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজু ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসিবুর রহমান রিজু হাটশ হরিপুর গ্রামের আমজাদ মালিথার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও হাসিবুর রহমান রিজু ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একই সাথে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও এলাকায় নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় আহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যারিস্টার সুমন, শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী টিম মাঠে নেমেছে- এমন তথ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

শনিবার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় এই সাধারণ ডায়েরি করেন ব্যারিস্টার সুমন।

এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টায় আমার নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারি মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।

তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন। এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি।


আরও খবর



বিশ্ব মরুময়তা দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস আজ। গত ২৭ বছর ধরে প্রতি বছর এই তারিখে দেশেও দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ব মরুময়তা দিবস পালিত হয়। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে নগর থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাকনহাটে জাতীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়।

প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে পৃথিবী। এই পরিবর্তনের ধারায় কখনো সিডর, কখনো সুনামি, কখনো হ্যারিকেন, কখনো ভূমিকম্প, কখনো অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, বিভিন্ন রকমের রোগবালাই দুর্যোগ

আকারে দেখা দিচ্ছে। মারা যাচ্ছে মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠের ফসল। বাড়ছে খাদ্য সংকট। ঘরবাড়ি মিশে যাচ্ছে মাটির সঙ্গে। ফলে মানুষ হারাচ্ছে তার মাথা গোঁজার ঠাঁই। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বে মরুকরণ একটি অন্যতম সমস্যা।

১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব মরুকরণ বিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের পরপরই মরুকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রিও সম্মেলনের এজেন্ডা ২১ এর প্রস্তাবটি ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহীত হয় এবং ইন্টারগভর্মেন্টাল নেগোশিয়েটিং কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি মরুকরণ সংক্রান্ত খসড়া কনভেনশন চূড়ান্ত করে। ১৯৯৪ সালের জুন মাসে কনভেনশনের দলিল চূড়ান্ত হয়। এই কনভেনশনে ৫০টি দেশ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। বাংলাদেশও এই কনভেনশন অনুমোদন করে। পরবর্তীতে খরা ও মরুকরণ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে ১৭ জুন পালন করা হয় বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বারে এনপিও উদ্যোগে “উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) সহযোগিতায় এবং ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার সকালে চিটাগাং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বক্তব্য রাখেন।

এনপিও উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ ফাতেমা বেগম কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়া, এনপিও এর গবেষণা কর্মকর্তা ফারজানা হকসহ এনপিওএর কর্মকর্তা, বিকেএমইএ, বিএসআরএম, কেডিএসর কেওয়াইসিআর, সাইফ পাওয়ারটেক, রিয়ালেন্স শিপিং লিঃ, বনফুল, রাবার ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের প্রতিযোগী দেশের চেয়ে উৎপাদনশীলতা এর ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে। আবার উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারেও আমরা পিছিয়ে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। দেশের অর্থনীতিতে প্রাইভেট সেক্টর ভূমিকা রাখলেও গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে গবেষণা করা এই সেক্টরের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই উৎপাদনশীল শিল্পের চাহিদানুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনপিওকে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে গবেষণা করার দরকার।

জানা যায়, দেশের শিল্প কারখানার শ্রমিক এবং কর্মকর্তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ফাইভএস টেকনিক, কাইজেন প্র্যাক্টিস, টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, টোটাল প্রোডাকটিভ মেইন্টেন্যান্সসহ ২৮ ধরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিনামূল্যে এইসব প্রশিক্ষণ নিতে পারে যেকোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এনপিও।


আরও খবর