আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ক্যান্সার প্রতিরোধী জাদুকরী গুণাগুণ রয়েছে করোসল ফলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমর্থন না থাকলেও করোসল ফল, করোসল গাছের পাতা ও ছাল ক্যান্সার প্রতিরোধী জাদুকরী গুণাগুণ রয়েছে এবং ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির বিকল্প চিকিৎসা এমন সংবাদ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় করোসল গাছের চারা কেনার জন্য মানুষ ভীড় করছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন নার্সারীগুলোতে। এই সুযোগে সাতক্ষীরার নার্সারীগুলো ৫০ টাকা দামের করোসল গাছের চারা এখন বিক্রি করছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়। ক্রেতারা লাইন দিয়ে সেই করোসল গাছের চারা কিনতে নার্সারীতে ভীড় জমাচ্ছে। এদিকে করোসল নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত তথ্য নিয়ে দেশব্যাপী বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। টেলিভিশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের গাজী আশরাফ করোসল (টক আতা) গাছের ফল ও রস খেয়ে তার ক্যান্সার নিরাময় হয়েছে।

এই করসল বা টক আতা গাছ নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরের গাজী আলী আশরাফ। গাজী আশরাফের দাবি, ২০১১ সালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে করোসল গাছের বীজ সংগ্রহ করে নিজ বাড়িতে ৭টি চারা তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে ৬টি ফলবান করোসল গাছ এখনো বেঁচে আছে। নিজের লাগানো করোসল বা টক আতা গাছ থেকে দীর্ঘ ৭ বছর পর প্রথমবার ফল পান তিনি। যার একটির ওজন ছিল ১ কেজি ২৭ গ্রাম। গায়ে কাঁটাযুক্ত করোসল ফলের ভিতরটা অনেকটা আতার মতোই। স্বাদও অনন্য। ক্যান্সার প্রতিরোধে করোসল ফল ও করোসল গাছের পাতা বেশ উপকারী বলে দাবি করেছেন তিনি।

গাজী আলী আশরাফ আরও জানান, ২০২০ সালে তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। বয়স বিবেচনায় তাঁকে কেমোথেরাপি দিতে চাননি চিকিৎসকরা। ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের উপেক্ষা করে নিজেই সিদ্ধান্ত নেন আর ক্যান্সারের চিকিৎসা নিবেন না। বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে গাজী আলী আশরাফ নিয়ম করে করোসল পাতার রস পান করা শুরু করেন।

গাজী আলী আশরাফ বলেন, করোসল ফল তো আমাদের দেশে দুষ্প্রাপ্য। তাই করোসল গাছের পাতার রস খেতে শুরু করি। প্রতিদিন তিন বেলা করোসল পাতা পানি দিয়ে জ্বালিয়ে চায়ের মতো করে খেতাম। তিন বেলা খেলে সহ্য হতো না। এরপর কমিয়ে ২ বেলা, তারপর আস্তে আস্তে আরো কমিয়ে দেই। একপর্যায়ে সুস্থ হয়ে উঠি এবং এখনো আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এখন মাঝে মধ্যে খাই। শুধু আমি না, আমার কাছ থেকে ৭ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী করোসল গাছের পাতা নিতে আসেন। তারাও উপকার পাচ্ছেন বলে জানি এবং তারা সুস্থ ও ভালো আছেন। করোসল ফল ও পাতা খুবই উপকারী। তবে, তা অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উইকিপিডিয়া বলছে, করোসল বা টক আতার বীজ ও পাতাকে নিউরোটক্সিন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা ক্ষতিকর। আবার, একথাও বলা হচ্ছে যে, ক্যান্সার চিকিৎসায় করোসল ফলের অবদান আছে দাবি করে তালিকাভুক্ত করেছে। একই সঙ্গে ক্যান্সারের বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে করোসল ফল ব্যবহারের বেশ প্রচারও রয়েছে।

যদিও ক্যান্সার গবেষণা ইউকে এ সম্পর্কে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে, গ্রাভিওলা বা করোসল ক্যান্সারের নিরাময়ের জন্য কাজ করে এমন কোনো প্রমাণ নেই। পরীক্ষাগার গবেষণায় গ্র্যাভিওলা সূত্রগুলি কিছু ধরনের লিভার এবং স্তন ক্যান্সারের কোষকে মেরে ফেলতে পারে যা নির্দিষ্ট কেমোথেরাপির ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী। তবে এর চেয়ে বড় কোনো চিহ্ন এখনও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বড় কোনো স্টাডি নেই। তাই আমরা এখনও জানি না এটি ক্যান্সারের চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে কি না।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার কামালনগরের সায়েম ফেরদৌস মিতুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যিনি একজন ক্যান্সার রোগী এবং কেমোথেরাপি নিয়েছেন। একই সঙ্গে করসলের পাতার রসও খাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি একবার করসল ফল খেয়েছি। এর পাতার রস এখনো সপ্তাহে একবার খাই। করোসল পাতার রস অত্যন্ত এন্টি অক্সিডেন্টাল। এটি যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি কওে, তেমনি টানা দুই-তিনদিন খেলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। যেমনটি হয় কেমোথেরাপি দিলে।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: সবিজুর রহমান জানান, করোসল গাছের ফল, পাতা বা ছাল খেলে ক্যান্সার সেরে যাবে এ তথ্যের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনই ভিত্তি আমাদের কাছে নেই। করোসলের পাতা বা ফলের রসে ক্যান্সার সারে এ ধরনের কোন গবেষণা কোথাও পাওয়া যায়নি। সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রেসনোট দেয়া হয়েছে, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়। তিনি এ বিষয়ে সকলকে আরও সর্তক হওয়ার আহবান জানান।

অসমর্থিত সূত্র জানায়, করোসল ফল ও করোসল গাছের পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এই করোসল ফল ও করোসল গাছের পাতার রস খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। এই ফল ও পাতার রস ক্যান্সার সেলের মৃত্যু ঘটাতে কেমোথেরাপির চেয়ে এটি ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিরুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সারে এটি বেশি কার্যকর। এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। শরীরও চাঙ্গা থাকে এবং দুর্বল ভাব আসে না। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রোসটেট সমস্যাও নিরাময় হয়ে যায়।

ডিম্বাকৃতির এই ফল ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং একটি মাঝারি দৃঢ় গঠনবিন্যাস রয়েছে করোসল ফল রসালো, অ্যাসিডিক, সাদাটে এবং সুগন্ধযুক্ত। ফলটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ রয়েছে। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ করোসল ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি এন্টিক্যান্সার ফল হিসেবে বিবেচিত।

অসমর্থিত সূত্র আরো বলছে, ক্যান্সার রোধে করোসল বা টক আতার উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশেই প্রমাণিত। এই ফলের এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। শরীরও চাঙ্গা থাকে, দুর্বল ভাব আসে না। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রোসটেট সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়। চায়না, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো বিভিন্ন দেশে এই ফল খুবই  বেশী জন্মে। এ ফল শীত প্রধান অঞ্চলে বাঁচতে পারে না।

ইন্টারজার্নার অব মণিকুলার সায়েন্সের প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, আগ্নেয় অন্ত্র পরিষ্কারক হিসেবে টক সমৃদ্ধ করোসল ফল কাজ করে। একটি গবেষণায় জানা গেছে, উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি থাকায় এ ফল চোখের সংক্রমণ চিকিৎসায় খুবই কার্যকর।

বিশ্বের সমাদৃত ম্যাগাজিন ফুড এণ্ড ফাংশন এ প্রকাশিত লেখাতে বলা হয়েছে, করোসল ফল বা টক আতার ফাইটনট্রিয়েন্টগুলো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। সম্প্রতি মেক্সিকোর টেপিক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা করোসল ফল বা টক আতার এসিটোজিন আবিষ্কার করেছেন-যা ক্যান্সারের শক্তিশালী কেমোথেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। আর নেব্রস্কা মেডিকেল সেন্টারের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, করোসল বা টক আতার পাতার নির্যাস ক্যান্সার কোষের গ্লুকোজের বিস্তারকে রোধ করে। করোসল ফল বা টক আতা ফলের পাশাপাশি এর পাতাও উপকারী বলে বিবেচিত হচ্ছে। এর পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খাওয়া হলে উপকৃত হওয়া সম্ভব।

করোসল ফল বা টক আতার ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে তথ্য সূত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ১.উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ষ্ঠ খন্ড (২০১০)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২. ভেষজ উদ্ভিদের কথা, প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল, ৩.উদ্ভিদকোষ, শেখ সাদী, ৪. উদ্ভিদ বিজ্ঞান শব্দকোষ, প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল, ৫. উদ্ভিদ বিজ্ঞান অভিধান, শেখর রঞ্জন সাহা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন (৮ মে) সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো।

এদিকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এমন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৬ মে) টিআইবির উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর এবং ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

ব্যাঙের বিয়ে! তা-ও মহা ধুমধাম করে। বিয়ের জন্য ছায়ামণ্ডপ, পুষ্পমাল্য, গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। শুধু তা-ই নয়, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী। নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নাগশোষা গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। নেই বৃষ্টির দেখা। অধিকাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে তীব্র তাপদহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রকৃতি যেন পানির জন্য আহাকার। তাই বৃষ্টির আশায়লালপুরে বাড়ি বাড়ি চালডাল তুলে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে বছর তাদের এলাকা অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে, সেই বছরই তারা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের এই ধরনের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এটিকে ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গির বিয়ে বলা হয়। বংশ পরম্পরায় তারা এই রীতি পালন করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়।

আয়োজকরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। জমিতে চাষাবাদের জন্য নেই পানি পাওয়া। ইতোমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এ কারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কুমার ও রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, সনাতন রীতি অনুযায়ী অনেক বছর ধরে এই প্রথা চালু আছে। অনাবৃষ্টি হওয়ায় এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ভগবানের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে।

এদিকে লালপুর উপজেলা জনপ্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির লেয়ার পরীক্ষা করে দেখা গেছে গড়ে ৩২ ফিট নিচে নেমে গেছে। যা সাধারণত ২০/২২ ফিট থাকে। কোথাও যেন সুপেয় পানি সংকট না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, চলতি মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির অভাবে রবি শস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। খরা মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ থেকে ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেও ।


আরও খবর



পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধ চাকরিপ্রত্যাশীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা সহকারে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

এর আগে দুপুর ১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদর ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরতরা। সমাবেশ থেকে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।

তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর ধরে তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততধিক। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি।

পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।


আরও খবর



টাইমস হায়ার র‌্যাংকিং

এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। গতবার এশিয়ার সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ তম এবং ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অন্যদিকে, গতবার তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থান করে দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু এবার তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৫টি। ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গণমাধ্যমকর্মী আইন: অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পায়, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনও ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর