আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

লকডাউন : বেতনের বেশিরভাগ টাকাই যাচ্ছে সড়কে

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
তাছনিম আদনান

Image

রাজধানীর পল্টনের একটি পত্রিকা অফিসে চাকরি করেন অমিতাভ হালদার। ভাড়া থাকেন বাড্ডা। লকডাউনের মধ্যে অফিস খোলা থাকায় নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে তাকে।

অফিস থেকে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় নিজের খরচেই অফিসে যেতে হচ্ছে। শুধু অমিতাভ একা নন, এমন অনেক স্বল্প আয়ের মানুষকে  প্রতিদিন বাড়তি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে অফিস খোলা রাখলে কৃর্তপক্ষকে কর্মীদের আনা-নেওয়ার ব‌্যবস্থা করতে হবে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) মগবাজার থেকে এস এম মনির নামে একজন বলেন, জরুরি সেবার কারণে লকডাউনের মধ্যে আমাদের অফিস খোলা রাখা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। তাই নিজ খরচে অফিস করছি।

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস। এ মাসের এমনিতেই খরচ বেশি। মাসে যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর। অল্প বেতনের চাকরি করে রিকশায় অফিস যাওয়া সম্ভব না। তাই চাকরি বাঁচাতে কিছু পথ হেঁটে কিছু পথ রিকশাতে করে আসা-যাওয়া করি। মগবাজার থেকে পল্টনে রিকশা ভাড়া ২০০ টাকা আর সিএনজি অটোরিকশাতে গেলে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বেতনের বেশির ভাগ টাকা রাস্তাতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে।

পল্টনে তোপখানা রোড থেকে একটি দৈনিক পত্রিকার অফিস সহকারী শেখ রাসেল বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই আমাদের অফিস খোলা রয়েছে। চাকরি বাঁচাতে অফিস করতে হচ্ছে। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কখনও রিকশায়, অটোরিকশায় আবার হেঁটে অফিস করছি। কিছু তো করার নাই। অফিস থেকে কোনো পরিবহন খরচ দেয় না।

নিউজ ট্যাগ: লকডাউন পল্টন

আরও খবর



বিএনপি নেতা ফালু অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু গুরুতর অসুস্থ। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। গত ৯ জুন তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

মোসাদ্দেক আলী ফালুর বড় ভাই ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূরউদ্দিন আহমেদ নূরুর বলেন, বর্তমানে তার ছোট ভাই আগের চেয়ে ভালো। কদিন আগে হঠাৎ করেই ফালু অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মাথা ঘোরায়, বমি হয়। কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যায়। তবে ফালুর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। ফালুর সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন নূরউদ্দিন আহমেদ নূরু।

প্রসঙ্গত, মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৬০ সালের ৭ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং একজন রাজনীতিবিদ। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন ও অত্যন্ত সম্ভাব্য শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষ সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য তিনি অবদান রেখেছেন। সেইসঙ্গে স্থানীয় শিল্পে নতুন পণ্য ও সেবা চালু করার সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছিলেন।

ফালু ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম অটোমেশন ভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি) চালু করেন। তিনি আরও একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল আরটিভি এবং বাংলা দৈনিক পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের (এসটিসিও) সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

মূলত মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৮০ এর দশকে এরশাদ বিরোধী-স্বৈরাচার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। পরে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটিতে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটি ঘোষণা করেন। তবে কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিএনপির নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। তিনি বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।


আরও খবর



‘সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় শিক্ষক ও গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সমুদ্র বিজয়ের বিষয়। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেরিন সায়েন্স এবং সমুদ্র সম্পদ নিয়ে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষক-গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে চবি সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলনে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য রাখেন চবি মেরিন সাইন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। সেমিনারে উক্ত ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দিন সভাপতিত্বে সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

৭০০ কোটি মানুষের বসবাসের এই ছোট্ট সবুজ পৃথিবীর তিন-চতুর্তাংশই সমুদ্র। সভ্যতার এই অত্যাধুনিক যুগে বিশাল এই সমুদ্রকে জানতে, সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে বেগবান করতে বহুবছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস। এরই ধারাবাহিকতায়, অত্র ইনস্টিটিউটের তরুণ সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‍্যালি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ্য, একুশ শতকে সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞানকে পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে দিতে, বিশাল সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ আহরণ, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, সমুদ্রের পরিবেশ ও আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, উপকূলীয় জনসাধারণের উপর জলবায়ুর প্রভাব নিরুপণ এবং সমুদ্র সম্পদের টেকশই ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সাল থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর পাঠদান করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।


আরও খবর



অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্টের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিপিএসএ। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ভূমিকার সমর্থনে কথা বলেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।

বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্র্যাব। এবার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (২৪ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনায় সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক কাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান।

মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ইস্যুতে হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়েও এদিন প্রশ্ন করা হয় ম্যাথিউ মিলারকে। জানতে চাওয়া হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে দুই সরকারপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন স্বার্থের প্রতিফলন ঘটায় কিনা?

জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় চা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প।’ মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৮টি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চা কোম্পানি বা ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় চা দিবস

আরও খবর



মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক শুরু হয়। চার বছর পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি এ বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন ও ট্রাম্প।

বিতর্কের শুরুতে আসে অর্থনীতি ইস্যু। এরপর একে একে গর্ভপাত অধিকার, কর, স্বাস্থ্যসেবা এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বিতর্কে জড়ান বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রসঙ্গক্রমে আসে করোনাভাইরাসের সময় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও।

এবার বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয় টেলিভিশন স্টুডিওতে। আগের বিতর্কগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি থাকলেও এবার তেমনটা ছিল না। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি পাওয়া যায়নি। বাইডেনের প্রচার দলের অনুরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ ছাড়া এবারের বিতর্কে একজনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এটি করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।

এদিকে বিতর্ক মঞ্চে উঠলেও প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কেও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে করমর্দন করেননি দুজন।

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, তার বিশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী। পুতিন পুরোনো সোভিয়েত সাম্রাজ্য আবার প্রতিষ্ঠা করতে চান বলেও অভিযোগ তোলেন বাইডেন।

বিতর্কে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের চেয়ে বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথাও জোরালোভাবে বলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব কারণেই আমরা শক্তিশালী।

এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের শর্ত নিয়ে ট্রাম্পকে প্রথমে একবার প্রশ্ন করেন সিএনএনের সঞ্চালক ডানা বাশ। প্রথমবার ট্রাম্প এর উত্তর এড়িয়ে যান। এরপর বাশ দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, পুতিনের শর্তগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য কি না? এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, না, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।

পুতিন বলেছেন, মস্কোর নিজেদের বলে দাবি করা চারটি অঞ্চল কিয়েভ ফিরিয়ে দিতে রাজি হলে ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে সরে আসলে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে। এসব শর্ত নিয়েই ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন ডানা।

ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাবেন। নির্বাচনী প্রচারেও ট্রাম্প এমনটা বলে থাকেন। তবে তিনি কীভাবে যুদ্ধ থামাবেন তা স্পষ্ট করেননি।


আরও খবর