আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে মাওলানা লুৎফর রহমানের জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, জনপ্রিয় আলেম ইসলামি আলোচক ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমানের জানাজায় মানুষের ঢল দেখা গেছে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকায় কাউকেই মরহুমের মরদেহ দেখানো হয়নি।

চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদের রাসুল (সা.) মাওলানা আনোয়ার হোসাইন তাহেরী জাবেরী আল মাদানী। এতে অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। তার তৃতীয় নামাজে জানাজা বদরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ-মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বদরপুর গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটার মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহসেক্রেটারি এ টি এম মাসুম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ইমতিয়াজ আরাফাত, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মির্জা, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা লুৎফর রহমান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

লুৎফর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পাঁচ কন্যা ও দুই ছেলের বাবা। আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।


আরও খবর



স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা প্রকাশ্যে দেখাবেন না। বিলটি এবার যাবে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি-র কাছে অনুমোদনের জন্য। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

একবছর আগে ন্যাশভিলের স্কুলে গুলিচালানোর ঘটনায় তিন শিশু-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিলে বলা হয়েছে, স্কুলের ভেতরে কেউ যদি বন্দুক নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে প্রতি বছর ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন না। বন্দুক গোপন রাখতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন। তার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং বন্দুকধারীর পরিচয় দিতে হবে।

রিপাবলিকানদের সংখ্যাধিক্য থাকা টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি যখন পাস হয়, তখন দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আপনাদের হাতে রক্ত লেগে থাকবে।

রিপাবলিকান নেতা রিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, একটি প্রতিরোধক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যজুড়ে গুলির ঘটনা থামানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ও চারজন রিপাবলিকান বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা জাস্টিন জোনস বলেন, রিপাবলিকান সহকর্মীরা আমাদের রাজ্যকে বন্দুকের নলের সামনে রাখছেন। তারা বন্দুক প্রস্তুতকারকদের সাহায্য করছেন। নৈতিক দিক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

জিফোর্ড ল সেন্টারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে স্কুলের কর্মী ও শিক্ষকরা স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুকধারীদের তাণ্ডবে অনেক শিশু ও শিক্ষকের প্রাণ গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে গোলাগুলির এক বছর পর বিলটি পাস হলো।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর



ফের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি না মেনে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সকল দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একাডেমিক কার্যক্রম ও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন, কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।

২. এ ছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হবে। আর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হলে সেটা ডিসিপ্লিন কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারের পথ সুগম হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বিশাল বহর নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে, ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে বাধা নেই, প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে হাইকোর্টের রুল জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ক্যাম্পাসটিতে ছাত্ররাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই। সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ারের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন।

২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এরপর গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালে ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি। পরে দুপুরে সেটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



ঈদের দিন থাকবে ঝকঝকে, নেই বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে আজ দিনের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক। রাতের তাপমাত্রাও থকবে প্রায় একই। আজকের মতো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদের দিনেও আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকতে পারে। আশঙ্কা নেই বৃষ্টিপাতের। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই বলছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় আজকের মতোই অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ওইদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে ঈদের পরের দিন শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থকে ২ ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে। সে. বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে।


আরও খবর
ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪