আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় সৌদিপ্রবাসী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মালিবাগে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় সাহাবুদ্দিন (৬৫) নামে এক সৌদি আরব প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পেশায় খেজুর ব্যবসায়ী ছিলেন। শনিবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলবাগ রেললাইনে ঘটনাটি ঘটে। 

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মৃত সাহাবুদ্দিনের ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নাফিজ জানান, তার মামা সৌদি আরব প্রবাসী। সেখানে থেকে দেশে খেজুরের ব্যবসা করতেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দেশে আসেন। উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডে নিজের বাসায় থাকতেন।

নাফিজ আরও জানান, শনিবার (৪ মার্চ) সকালে মামার সঙ্গে নিয়ে প্রাইভেকারে করে ব্যবসায়িক কাজে বের হন তিনিও। রাতে মালিবাগের গুলবাগে গাড়ি থেকে নেমে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে পথচারীদের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়। স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে উত্তরার বাসায় থাকতেন। চলতি মাসের শেষ দিকে আবার সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল তার।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



দেশব্যাপী হিট স্ট্রোকে পুলিশসহ আরো ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে দূর্বিষহ জনজীবন। এরমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আবারও বেড়েছে। ঈশ্বরদী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, মংলা ও খেপুপাড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ৪১ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ এমন থাকলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি হয়। আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, তাপমাত্রা আজও চড়বে। সহসা নিস্তার মিলবে, এমন আভাস দেশিবিদেশি কোনো আবহাওয়া মডেল দিতে পারছে না।

এদিকে হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে ৩৩ জনের বেশি।

প্রাণঘাতী এই অসহ্য গরমে সবাই এখন চাতকের মতো তুমুল বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উন্মুক্ত প্রান্তরে সালাতুল ইসতেস্কা পড়ছে মুসলমানরা। সিলেটসহ কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে পথের ধুলোর মরণ হলেও মোটেই স্বস্তি মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টানা ভারী বর্ষণ ছাড়া এই দাবদাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফল যান। সোমবার রাত ৯টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশের রাস্তায় মো. আলমগীর শিকদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর যাত্রাবাড়ির পশ্চিম শেখদি এলাকার মৃত জমির শিকদারের ছেলে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষক আফসার আলী ও মো. হাসান আলী, নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বকুল হোসেন, জামালপুরে মরিচ ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী, বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেসা, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে শ্রমিক মুজিবুর রহমান ও খুলনার আড়ংঘাটায় ৬০ বছরের অজ্ঞাত একজন মারা গেছেন।

এদিকে পরপর দুই দিন তাপমাত্রা খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। আজ বুধবার আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়টা তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। গত শনিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ঐ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা আরো কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী এক সপ্তাহে পুরো দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



ডিএসইসির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানায় শিশু কল্যাণ পরিষদে বিদায়ী কমিটির সভাপতি মামুন ফরাজির সভাপতিত্বে দুই কমিটির যৌথ সভা শেষে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। সভায় বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটির সদস্যদের বরণ করে নেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পদক জাওহার ইকবাল খানের কাছে সংগঠনের ফাইলপত্র বুঝিয়ে দেন বিদায়ী সভাপতি। লাবিন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডিএসইসির সাবেক সভাপতি মীর মোস্তাফিজুর রহমান, কায়কোবাদ মিলন, মো. আল মামুন, আশরাফুল ইসলাম, জাকির হোসেন ইমন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ, শাহজাহান মিয়া, কেএম ওবায়দুর রহমান, সংগঠনের সদস্য ও বাংলাদেশের আলোর সম্পাদক মফিজুর রহমান খান বাবু, ডেইলি বাংলাদেশ এর সম্পাদক রনি রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মজিবুর রহমান, তরুণ তপন চক্রবর্তী, কাজী তানভির আলাদিন, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাইখুল ইসলাম উজ্জ্বল প্রমুখ।

নবনির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পদক জাওহার ইকবাল খান, সহ-সভাপতি আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক মো. সাফায়েত হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা নাজনীন (ফ্লোরা)। কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আনজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে ভোগানোর পর কয়েক দিন মাঝেমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১০৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর; ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনসাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। ১১৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইসরাইলের তেল আবিব।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর