আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, অস্থিতিশীলতার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যখন একজন রাজনীতিবিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ আইন প্রণেতাদের সমর্থনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন তখন স্থিতিশীল সরকারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা যখন দুইজন রাজনীতিবিদ করেন তা বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়। নভেম্বরের নির্বাচনের পর মালয়েশিয়ায় ঠিক এরকম পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে। একটি পরিবর্তন নিয়ে মালয়েশিয়ার নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন এক দলীয় রাষ্ট্র থেকে ভগ্ন রাজনৈতিক জগাখিচুড়িতে পা দিয়েছে দেশটি। কারণ কোনো দলই পার্লামেন্টে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। তাই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে যে সরকারই আসুক না কেন তা আগেরগুলোর থেকে শক্তিশালী হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাউকে এককভাবে বিজয়ী না করে ভোটাররা নাটকীয় পরিবর্তন এনেছেন। ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) ১৯৫৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছে। অথচ এখন নির্বাচনী বিস্মৃতির প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। পাঁচ বছর আগে এইএমএনও নেতৃত্বাধীন জোট সংসদের ৬০ শতাংশ আসনে জয় পায়। কিন্তু বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে তখন থেকে দলটি বেকায়দায়। আগস্টে সাবেকে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইভাবে আহম্মদ জাহিদ হামিদিও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগের সম্মুখীন। এবার সেই ইউএমএনও মাত্র ১২ শতাংশ আসনে জয় পেয়ে চতুর্থ বড় দলে পরিণত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বড় বড় রাজনীতিবিদ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মাহতির মোহাম্মাদ। তিনি এই নির্বাচনে জয় পাননি। ৭৫ বছর বয়সী দুই প্রবীণ রাজনৈতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১১টি আসন সংগ্রহ করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন পিএই-এর সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম, যার ৮১টি আসন রয়েছে এবং মুহিউদ্দিন ইয়াসিন, যার পেরিকটান ন্যাশনাল পিএন জোট ৭৩টি আসন জিতেছে। বেশ কয়েকটি স্থানীয় দল মুহিউদ্দিনকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। এর মানে হলো ইউএমএনও-এর আসনের জোট থেকে সমর্থন দুই প্রতিযোগীর মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে।

ইইএমএনও এর ইসমাইল সাবরি ইয়াকব জাহিদের নির্দেশে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন আহ্বান করেছিলেন। এইএমএনও নেতা কিছু রাজ্য-নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন এবং সাবরি তখন স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিতে এক সঙ্গে প্রচারণা চালান। যদিও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাহিদ উল্টো সংকেত দেন।

এদিকে পিএন জোট দাবি করেছে, তারা বেশিরভাগ বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থনের ঘোষণা পেয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে কিছু ইউএমএনও সদস্য এরই মধ্যে জাহিদকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে হিশামুদ্দিন হুসেইন আনোয়ারকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ঝুলন্ত সংসদে বিজয়ীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কাউন্সিলের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন, যা আসার সম্ভাবনা কম। মূলত গত কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত দেশটি বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে। নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্টের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।


আরও খবর



হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? আমরা আপিলে যাবো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে চলমান তাপ প্রবাহে এসি ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সম পর্যায়ের মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর পরিদর্শন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দফতর পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে পৌঁছালে অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রতিমন্ত্রীকে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস-এর পরিচালকগণ, উপপরিচালকগণসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাদন গ্রহণ শেষে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ও গাড়ি-পাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আগ্রহ সহকারে বিভিন্ন সরঞ্জামের কার্যপরিধি ও সুবিধাসমূহের বর্ণনা শোনেন। এরপর তিনি অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর ঢাকা বিভাগ আয়োজিত মহড়া প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

মহড়া শেষে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, পিএসসি।

এরপর অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রতিমন্ত্রীকে অধিদফতরের সাম্প্রতিক সময়ে পেশাগত বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর হাতে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপিত বিষয়ে অধিদফতরের প্রত্যাশা পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী সদর দফতর পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অণুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হয়েছেন বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক, উপপরিচালকসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনসহ সবাই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের পর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরকালে আমি গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করি। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে নাবলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর



এসএসসির ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে। এরই মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মেএই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪